ভোজনরসিকদের জন্য ডায়েট ছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণের উপায়
ডায়েটের ফলে দ্রুত ওজন ঝরে এ কথা ঠিক, কিন্তু সেই ওজন দীর্ঘদিন ধরে রাখা যায় না। আর শুধু ডায়েটের ভরসায় ওজন কখনওই কমানো সম্ভব না। ওজন বেড়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। ওজন কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। ব্যায়াম ছাড়াও যোগাভ্যাস করলেও কমতে পারে আপনার ওজন। যোগাভ্যাস মন ও শরীর দুই-ই ভাল রাখে। তবে সঠিক পদ্ধতি শিখতে হবে। একান্তই শরীরচর্চা না করতে পারলে, রোজ নিয়ম করে হাঁটাহাটি করুন। এতেই শরীরের নানান রোগ ব্যাধি দূর হবে। ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
জেনে নেয়া যাক উপায়গুলো-
পর্যাপ্ত ঘুম
অনেকেই মনে করেন ঘুমালে ওজন বাড়ে। কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে আপনার পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। রাতে বেশিক্ষণ জেগে মোবাইল ঘাটার পরিবর্তে সময় মতো ঘুমিয়ে পড়ুন। তবে খাওয়াদাওয়া শেষ করেই শুয়ে পড়বেন না। রাতে খাওয়ার দু’ থেকে তিন ঘণ্টা পর ঘুমান। এতে ওজন বাড়ার ঝুঁকি কম।
খাবার খান চিবিয়ে
ভালভাবে চিবিয়ে খাবার খেলে কম ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়। এই অভ্যাস কেবল হজম প্রক্রিয়া ভাল করতেই সাহায্য করে না, এতে খাওয়ার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ফলে ওজন কমে। খাবার ভাল করে না চিবিয়ে কেবল গিলে নিলে অজান্তেই অনেকটা বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি আমরা। এতে ওজনের উপর প্রভাব পড়ে। হজমের সমস্যা, গ্যাসের সমস্যাও দেখা যায়।
বাহিরের খাবার এড়িয়ে চলুন
ওজন বাড়ার আরও একটি বড় কারণ হল প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই খাবারগুলিতে চিনি, লবণ ও তেল অত্যন্ত বেশি পরিমাণে থাকে। পাশাপাশি খাবারগুলিকে মুখরোচক করার জন্য এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারের উপযোগী করার জন্য বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য একদমই ভাল নয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সব খাবারের পরিবর্তে বাড়িতে বানানো খাবারের উপরেই ভরসা রাখুন।
মাঝরাতে খাওয়া বন্ধ করুন
দেরী করে ঘুমান যারা তারা প্রায়ই মাঝরাতে কিছু না কিছু খেয়ে থাকেন। আর এই অভ্যাসের ফলেই বেড়ে যেতে পারে ওজন। তাই সময়মত ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস করুন।
অনেকেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই শুরু করে দেন নানা ধরনের ডায়েট। আদৌ সেটা আপনার শরীরের পক্ষে উপযোগী কিনা তা না জেনেই যে কোনও ডায়েট সঠিক পদ্ধতিতে না মেনে চললে শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই খাওয়াদাওয়া একদম বন্ধ না করে জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন আনলেই পেয়ে যাবেন মনের মতো ফল।