হ্যাভিলিতে ইফতার ও সেহেরির আয়োজন

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হ্যাভিলিতে ইফতার ও সেহেরির আয়োজন

হ্যাভিলিতে ইফতার ও সেহেরির আয়োজন

ঐতিহ্য আর পাশ্চাত্যের মিশেলে উত্তরার হ্যাভিলি রেস্টুরেন্টে ইফতারের পাশাপাশি সেহেরিরও আয়োজন করা হয়েছে। মাঝ রাতে টেবিলে থরে থরে সাজনো হয় হরেক রকম দেশি খাবার। ‘বাটার চিকেন’, ‘গরুর মেজবানি মাংস’সহ ১৮ রকমের খাবারের স্বাদ নিতে রাত দুইটার পর থেকে এ রেস্টুরেন্টে ভিড় জমান ভোজনরসিকরা।

উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের হ্যাভিলি রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি টেবিলে দেশীয় খাবারের পাশাপাশি ভারতের জনপ্রিয় বেশ কয়েকটি খাবার সাজানো রয়েছে। সাদা ভাতের সঙ্গে গরুর মেজবানি মাংস, চিকেন বাটার মাসালা, ডাল বাটার ফদ্ধাই, তাওয়া মিক্সড ভেজিটেবেল, ফ্রেশ গার্ডেন সালাদ ও আমন্ড খির ফিরনি। এই প্যাকেজের নাম রাইস প্লাটার। এখানকার বেশ জনপ্রিয় প্যাকেজ এটি। পাশের টেবিল থেকেই রসালো চিকেন কাবলি বিরিয়ানির সুস্বাদু গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। বিরিয়ানি কিংবা তেহেরি খেতে ভালোবাসেন, এমন রসিক ক্রেতাদেরও দেখা মিলেছে। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় সাজানো হয়েছে ‘আস্ল খাসির ট্রেডিশনাল রোস্ট। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে অন্যতম একটি খাবার এই খাসির রোস্ট। বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে রান্নার চল থাকলেও ট্রেডিশন হচ্ছে পুরো খাসি একবারে রান্না করা।

বিজ্ঞাপন

এ রেস্টুরেন্টের প্রধান রন্ধনশিল্পী (শেফ), ব্যাঙ্গালুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ মোস্লফা বলেন, খাবারের পূর্ণ স্বাদ দিতে আমরা সচেষ্ট। এখানে কোনো টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা হয় না। গ্রামগঞ্জের মা-খালাদের মতোই রান্নায় সকল বাটা মসলা ব্যবহার করা হয়, যা খাবারের ভিন্ন স্বাদ আনে। প্রায় দেড়শ রেসিপি থাকলেও রমজান উপলক্ষে সেহেরির বিশেষ আয়োজনে তিন প্যাকেজে সাদা ভাত ও চিকেন কাবলি বিরিয়ানি সহ ১৮ রকমের সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়। রাইস প্লাটার প্যাকেজের মূল্য ৭৫০ টাকা, বিরিয়ানি প্লাটার ৫৯৯ টাকায় এবং পুরো পরিবারের জন্য (৭ থেকে ১০জন) হ্যাভিলি সিগনেচার প্লাটার, মূল্য ১৫ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।


উত্তরার একমাত্র রেস্টুরেন্ট হ্যাভিলি, যেখানে ২০১৮ সাল থেকে সেহেরির আয়োজন করা হয়। তবে করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে গত দুই বছর বেশ সঙ্কট পোহাতে হয়েছে। আয়োজনও তেমন ছিলো না। এখানকার মোট কর্মীর ৫ ভাগকে ছাটাই করা হয়। তবে এবারের রমজানে নতুন উদ্দ্যমে সেহেরির আয়োজন করেছে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। কর্মীও নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে রেস্টুরেন্টের পরিচালক শিহাব উদ্দিন ঢালী বলেন, রমজান মাসে মধ্যরাতে সেহেরি আয়োজনে ব্যস্ল থাকে সবাই। তারপরেও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুস্বাদু ও জনপ্রিয় খাবার খেতে এখানে ছুটে আসেন উত্তরার বাসিন্দারা। করোনার প্রভাব পড়লেও এবার ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। রাত দুইটা থেকেই ভোজনরসিকরা ছুটে আসেন। এ রেস্টুরেন্টে গত রাতে এসেছিলেন স্পেনের বাসিন্দা আলফানজো ও তার এক বন্ধু।


তারা নিয়মিত এ রেস্টুরেন্টে আসলেও সেহেরির বিশেষ খাবারের স্বাদ পেতে মাঝ রাতেই খেতে এসেছেন। অতিথি ও পরিবারের তিন সদস্যকে নিয়ে এসেছিলেন খন্দকার সেলিমা রওশন।

তিনি বলেন, ‘প্রতি রমজানেই সেহেরি খেতে রাজধানীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে যাই। এবার এসেছি হ্যাভিলিতে। ইন্ডিয়ান ফুডের স্বাদ পেতে এটা বেস্ট।