বিপত্তিকর বদহজম!
বদহজমের সমস্যাটি একই সঙ্গে বিব্রতকর ও যন্ত্রণাদায়ক। খাবার খাওয়ায় অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে যেকোন সময়েই এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। বদহজমের সমস্যাটি গুরুত্বর আকার ধারণ করলে বিছানাগতও হতে হয় অনেক রোগীকে। বদহজমের প্রকোপ অল্প সময়ের মাঝে কমাতে চাইলে ও এই সমস্যাটি থেকে দূরে থাকতে উপকারি কিছু নিয়ম জেনে রাখাই যথেষ্ট।
পান করতে হবে পুদিনা চা
গরম এক কাপ পুদিনা চা খুব অল্প সময়ের মাঝেই বদহজমের সমস্যাকে প্রশমিত করে। এমনকি পেটের নানাবিধ সমস্যার ক্ষেত্রেও এই চা উপকারি। পুদিনা চা পান করার আগে দশ মিনিট চায়ের কাপ ঢেকে রাখতে হবে এরপর পান করতে হবে। এতে করে পুদিনার গুণাগুণ পানিতে ভালোভাবে মিশতে পারে।
অন্যদিকে বদহজমের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চাইলে, প্রতিদিন রাতে খাওয়ার পর এক কাপ পুদিনা চা পান করতে হবে। এছাড়া অনেক বেশি খাবার খাওয়া হলেও পুদিনা চা পান করে নিতে হবে।
খাওয়ার আগে ম্যাজিক টনিক
খাবার খাওয়ার অন্তত আধা ঘন্টা আগে ও পরে পানি পান করার নিয়ম থাকলেও, অনেকেই খাবার খাওয়ার মাঝেই ঘনঘন পানি পান করেন। এতে করে খাবার ঠিকভাবে হজম হতে চায় না। তবে খাবার খাওয়ার পনের মিনিট আগে খুব সহজ একটি পানীয় পান করলে, বদহজমের সম্ভবনা এড়িয়ে যাওয়া যাবে সহজেই। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে তৈরি করতে হবে ম্যাজিক টনিক। এই টনিক নিয়মিত পানে বদহজমের সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকা লাগবে না মোটেও।
অ্যালোভেরার চমকপ্রদ জেল
অ্যালোভেরা পাতার জেলে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যামিনো অ্যাসিড। যা পরিপাক ব্যবস্থাকে ভালো রাখে ও পাকস্থলী থেকে টক্সিন পদার্থ দূর করে। হেলথলাইন ম্যাগাজিন জানায়, অ্যালোভেরা জেলের শরবত পান করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। নয়তো ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, প্রতিদিন দুই টেবিল চামচ পরিমাণ অ্যালোজেল গ্রহণ করা। এর বেশি নয়।
বেকিং সোডায় সমাধান
খুব বেশি অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকেও বদহজম দেখা দেয়। এমনটা হলে পান করতে হবে বেকিং সোডা ও লেবুর রসের পানীয়। এক গ্লাস স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিত এক চা চামচ বেকিং সোডা ও ৭-৮ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে হবে। এই পানীয় পাকস্থলীর অ্যাসিডিক অবস্থাকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে কাজ করে।
দারুচিনি সবসময়
দারুচিনির স্টিক, গুঁড়া কিংবা চা, সকলভাবেই এই উপাদানটি তার চমৎকার গুণ বহন করে ও কাজ করে। ওটস, দুধ, স্যুপ কিংবা যেকোন রান্নায় দারুচিনির উপস্থিতি বদহজমজনিত সমস্যাকে দূরে রাখবে। দারুচিনিতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শুধু বদহজমের সমস্যাই নয়, বুক জ্বালাপোড়া ও বমিভাবকে কমায়।
আরো পড়ুন: সুস্বাদু গ্রিন টি!
আরো পড়ুন: খাদ্য তালিকায় যোগ করুন নারিকেল তেল