এই ক্যানসারে নারীরা বেশি আক্রান্ত হন
প্রতি বছর প্রায় কয়েক লাখ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ক্যানসার কোনও নির্দিষ্ট বয়সে আসে না। যে কোনও সময়ে ক্যানসার হানা দিতে পারে। সমীক্ষা বলছে, নারীদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তার মানে এই নয় যে, পুরুষরা সুরক্ষিত। তবে কিছু ক্যানসার আছে, যেগুলো নারীদের হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে।
স্তন ক্যানসার
সারা দেশে প্রতি দিন প্রায় কয়েক হাজার নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। বিশ্বে সেই সংখ্যাটি আরও অনেক বেশি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন কারণে হতে পারে স্তন ক্যানসার। তার মধ্যে অন্যতম শারীরিকভাবে ‘ফিট’ না থাকা। সেই সঙ্গে স্থূলতাও স্তন ক্যানসারের অন্যতম কারণ। তাই স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
মলাশয়ের ক্যানসার
স্তন ক্যানসারের পরেই নারীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন মলাশয়ের ক্যানসারে। সব সময়ে প্রাথমিকভাবে এই ক্যানসার ধরা পড়ে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শরীরে জাঁকিয়ে বসার পর জানা যায় এই মরণ রোগের কথা। এই ক্যানসার থেকে দূরে থাকতে নিয়মমাফিক জীবনযাপন করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। রোজের খাওয়াদাওয়া থেকে জীবনযাপন— স্বাস্থ্যকর উপায়ে করতে হবে সবই।
জরায়ুমুখের ক্যানসার
যে ক্যানসারগুলোতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নারীদের বেশি থাকে, জরায়ুমুখের ক্যানসার সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর গোটা বিশ্বের প্রায় কয়েক লাখ নারীর জরায়ুমুখের ক্যানসার ধরা পড়ে। ৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের মধ্যে এই ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। তাই সুরক্ষিত থাকতে বাড়িয়ে তুলতে হবে প্রতিরোধ ক্ষমতা।
ডিম্বাশয়ের ক্যানসার
নারী দেহের নীরব ঘাতক বলা হয় ডিম্বাশয়ের ক্যানসারকে। সমীক্ষা বলছে, ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। এই ক্যানসার থেকে সুরক্ষিত থাকতে প্রথমে উপসর্গগুলো জেনে নিতে হবে। নয়তো এই রোগ ধরা মুশকিল।
ফুসফুসের ক্যানসার
ধূমপান করলে ফুসফুসের ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ে। এ কথা ভুল নয়। নারীরা নিয়মিত ধূমপান করেন, সমীক্ষা বলছে ফুসফুসের ক্যানসার তাদের শরীরে হানা দিতে পারে। পুরুষদের চেয়ে এ ক্ষেত্রে বিপদসীমার কাছাকাছি দাঁড়িয়ে নারীরা।