অকাল বার্ধক্য রুখতে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের উপর নির্ভর করে বার্ধক্য ঠিক কত তাড়াতাড়ি হানা দেবে শরীরে। বেশ কিছু অভ্যাস অকালে বার্ধক্য ডেকে আনে। অল্পেতেই বার্ধক্য হানা দিয়েছে কি না, তা বুঝতে কিছু লক্ষণ জেনে রাখা দরকার। ত্বকে বলিরেখা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, পেশির ক্ষয়, নিস্তেজ ত্বক, ক্লান্তি— এই লক্ষণগুলি মূলত বার্ধক্যের ইঙ্গিত দেয়।

অকালবার্ধক্যে একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে অজান্তেই এমন কিছু ভুল হয়ে যায়, যে বয়সের আগেই শরীরে তার ছাপ পড়ে। তাই সেগুলো এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। জেনে নিন কী সেগুলো-

হাঁটাচলা করুন

দেশের অধিকাংশ মানুষ বসে কাজ করতেই অভ্যস্ত। সারা দিন এক ভাবে বসে থাকার ফলে শরীরের সঠিক ভাবে রক্ত চলাচলে ঘাটতি পড়ে। ফলে অকালেই শরীরে বয়সের ছাপ এসে যায়। তা-ই শুধু নয়, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যার ঝুঁকিও বাড়ায় সারাক্ষণ বসে থাকার অভ্যাস।

বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা

খিদে পেলেই পেট ভর্তি করছেন পিৎজা, বার্গার, চিপসের মতো খাবার খেয়ে। এই ধরনের খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ ভরপুর। খাবারগুলোতে ক্যালোরির পাশাপাশি রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, শর্করা, খারাপ কোলেস্টেরলের মতো ক্ষতিকর উপাদান। দীর্ঘ দিন তারুণ্য ধরে রাখতে লাগাম টানুন এই ধরনের খাদ্যাভ্যাসে।

অপর্যাপ্ত ঘুম

অপর্যাপ্ত ঘুম একাই সময়ের আগে বার্ধক্য ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অন্তত দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনো প্রয়োজন। এর চেয়ে কম ঘুমালে অল্প বয়সে শরীরে পড়তে পারে বয়সের ছাপ।

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন কারণেই চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে। তারমধ্যে ক্লান্তি বা অনিদ্রা যেমন দায়ী, তেমনি ভগ্নস্বাস্থ্য ও বয়স বৃদ্ধির নির্দেশকও এই দাগ। অনেকে এই দাগ দূর করার জন্য কত কিছুই না করেন তবু এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে না। তবে কিছু খাবার যদি রোজের পাতে রাখা যায়, তা হলে সমাধান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভিটামিন সি

ত্বকের খেয়াল রাখতে এই ভিটামিনের ভূমিকা অঢেল। ত্বক টানটান করা থেকে চোখের নীচের দাগছোপ দূর করা, ভিটামিন সি পারদর্শী সবেতেই। টকজাতীয় ফলে মূলত এই ভিটামিন থাকে। রক্ত চলাচলে সাহায্য করে ভিটামিন সি। লেবু, আমলকি, বেরিজাতীয় ফলে এই ভিটামিন ভরপুর পরিমাণে রয়েছে।

ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার

রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না ভিটামিন কে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে রক্ত দলা পাকতে শুরু করে। সেখান থেকে চোখের নীচে দাগছোপ দেখা দেয়। ভিটামিন কে সেই ঝুঁকি কমায়। ব্রকলি, সবুজ শাকসবজি, ছোলাতে ভিটামিন কে রয়েছে।

ভিটামিন ই

ভিটামিন ই হল উপকারী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে এই ভিটামিন। ত্বক আর্দ্র রাখে। ফলে চোখের নীচে কালি পড়তে পারে না। ভিটামিন ই রয়েছে বাদাম, বিভিন্ন ধরনের শস্য, পালং শাক, অ্যাভোকাডোর মতো খাবারে।

;

কাঁঠালের বীজের স্বাস্থ্যগুণ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। সুমিষ্ট গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে এটি অন্যতম একটি ফল। সারাবছর গ্রীষ্মকালীন ফল পাওয়া গেলেও বিশেষ করে জাম, জামরুল, তরমুজ ও কাঁঠাল সব সময় পাওয়া যায় না। গরম পড়তেই দেখা মেলে মৌসুমি এই ফলের। এই ফলের গুণাগুণ সম্পর্কে কেউ তেমন ওয়াকিবহাল নয়। বিশেষ করে এই ফলের বীজের পুষ্টিগুণের কথা তো অনেকেরই অজানা। কাঁঠালের বীজে থাকা জিঙ্ক, লোহা, তামা, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের প্রাচুর্যের ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়াও রাইবোফ্ল্যাভিন ও থিয়ামিনের উপস্থিতিতে শরীরও চাঙ্গা থাকে।

কী কী গুণ রয়েছে কাঁঠালের বীজের?

>> কাঁঠালের বীজ খেলে মানসিক চাপ কমে, কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস।

>> এই বীজে ভরপুর মাত্রায় লোহা থাকে, যা হিমোগ্লোবিনের অন্যতম উপাদান। রক্তাল্পতা থাকলে আয়রন সমৃদ্ধ ডায়েটের জন্য পুষ্টিবিদরাও কাঁঠাল বীজ খেতে বলেন।

>> কাঁঠাল বীজে ভিটামিন এ থাকে। তাই দৃষ্টি স্বচ্ছ রাখতে এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে এই বীজ রাখা যেতেই পারে ডায়েটে।

>> যারা নিরামিষ খান তাদের পক্ষে মাছ-মাংস থেকে প্রোটিন পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। কাঁঠাল বীজ সেক্ষেত্রে ডায়েটে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এটি পেশির শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। নিয়মিত যারা জিমে যান, তাদের ডায়েটে এই বীজ রাখা যেতে পারে।

>> কাঁঠালের বীজ রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিলে সেটি নিয়মিত খেলে গ্যাস-অম্বলের আশঙ্কা কমে। এছাড়া কাঁঠাল বীজে প্রিবায়োটিক থাকে। এগুলি শরীরে ভাল ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ায়।

কীভাবে খাবেন?

>> রোদে শুকিয়ে নিয়ে ছোট ছোট করে কেটে ঘিয়ে রোস্ট করে লবণ, গোলমরিচ দিয়ে খাওয়া যায়।

>> রোদে শুকিয়ে নিয়ে তার পর সেদ্ধ করে তেল মরিচ দিয়ে মেখে খাওয়া যায়।

>> আর পাঁচটা সবজির মতোই তরকারি বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন নিরামিষ তরকারির মধ্যে দিলেও খেতে ভাল লাগে।

>> যে কোনও ঝোলে ব্যবহার করতে পারেন।

;

পাকা পেঁপে কেন খাবেন?



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওজন কমানোর ডায়েটে পাকা পেঁপের স্থান সকলের আগে। তবে অনেকেই পাকা পেঁপে খেতে চান না। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই এই ফলকে ‘মহাঔষধ’ বলে মনে করেন। শিশু থেকে বয়স্ক সবার জন্য পাকা পেঁপে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তাই নিয়ম করে পাকা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর

ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর পাকা পেঁপে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির যম। এ ছাড়াও পেঁপেতে আছে ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন সি এবং ই। যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হজমে সহায়ক

পেঁপে মুখের রুচি ফেরায়। সেই সঙ্গে খিদেও বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার করে। পেট পরিষ্কার থাকলে গ্যাসের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তা-ই নয়, যাদের অর্শের সমস্যা রয়েছে চিকিৎসকরা তাদের পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

পেঁপে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ১০০ শতাংশ ভিটামিন সি পাওয়া যায় এই পাকা পেঁপে থেকেই। শরীরে কোনও সংক্রমণ হলে, তা কমাতে চিকিৎসকরা পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

;

ওজন কমবে মেথির গুণে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনলাইনে হাল ফ্যাশনের জামাকাপড় দেখেই হাত নিশপিশ করে, তবে কেনার আগেই মাথায় শত চিন্তা আসে! যা ভুঁড়ি হয়েছে, তাতে পোশাকগুলি পরলে আদৌ মানাবে তো? রোগা হতে গেলে তো ভারী কসরত করতে হবে, আর ওতেই যে বড্ড অনীহা! রোগা হতে গেলে যে জিমে গিয়ে ভারী শরীরচর্চা করতে হবে, এমনটা একেবারেই নয়। রোজ নিয়ম করে হাঁটাহাটি করে আর খাদ্যাভ্যাসে রাশ টানলেই কিন্তু ওজন কমানো যায়। এর পাশাপাশি কিছু মশলার গুণেও কিন্তু ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করা যায়। মেথিরও সেই গুণ রয়েছে।

মেথি চা

চা তো খান রোজ, এ বার সেই চায়েই যোগ করুন কয়েকটা মেথির বীজ। হজমশক্তি তো বাড়বেই, সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণও হবে। স্বাদে তেঁতো হলেও কাজ দেবে ষোলো আনা। একেবারেই খেতে না পারলে, চায়ে যোগ করে দিন এলাচ কিংবা আদা।

কী করে বানাবেন? ফুটিয়ে তাতে কয়েক দানা মেথি মিশিয়ে দিন। তার পর চা ও এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে নিন কিছুক্ষণ। খালি পেটে এমন চা খেলে মেদ ঝরবে খুব সহজে।

মেথির পানি

ঠাকুরমা-দিদিমারা পেট গরম হলেই মেথির পানি খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। পেট ঠান্ডা করার পাশাপাশি এটি কিন্তু খিদেও কমায়। খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায় বলে স্বাভাবিক ভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা নেয় এই পানীয়।

অঙ্কুরিত মেথি

ভিটামিন ও নানা খনিজপদার্থে ভরপুর মেথিবীজ হজমে সাহায্য করে। একটা পাত্রে মেথিবীজ নিয়ে তার উপর একটা ভিজে কাপড় ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাঝেমাঝেই কাপড়টিতে পানি দিন। দিন তিনেক পর মেথি বীজের অঙ্কুরোদ্গম হবে। এই অঙ্কুরিত মেথি খেলে তা খুব সহজেই কমিয়ে দেবে শরীরের মেদ।

মেথি গুঁড়ো

মেথিতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ক্যারোটিনয়েড, যা দ্রুত ওজন কমায়। বাজার চলতি মেথি গুঁড়োর উপর ভরসা না করে, বাড়িতেই শুকনো খোলায় মেথি ভেজে গুঁড়িয়ে নিন। এর পর তা গরম পানিতে মিশিয়ে খান। এই পানিতে লেবু ও মধুও মেশাতে পারেন। মেথিগুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন তরকারিতেও। দেখবেন, ফল মিলছে হাতেনাতে।

;