বহুল প্রচলিত সাপ্লিমেন্ট মাছের তেল এড়িয়ে চলুন



প্রবল কুমার মন্ডল
প্রবল কুমার মন্ডল

প্রবল কুমার মন্ডল

  • Font increase
  • Font Decrease

Fish oil বা মাছের তেলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি থাকে। ওমেগা–৩ হলো অসম্পৃক্ত বা আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। মানবদেহে খাবারের বিপাকক্রিয়া ও শরীর সুস্থ রাখতে ওমেগা–৩ চর্বির অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিস, মুড ডিসর্ডার, কয়েক প্রকার ক্যান্সার ও দেহের প্রদাহ হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যে কারণে চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ সকলেই ফিশ ওয়েলের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকে। গুগলে সার্চ দিলেও ওমেগা থ্রি’র গুণ কীর্তন চোখে পড়ে। এর উপকারিতা নিয়ে আছে হাজারো রকমের গবেষণাপত্র।

কিন্তু দেখা যায় ওমেগা থ্রির উপকারিতা বিষয়ে গবেষণার অধিকাংশ তথ্য উপাত্ত গ্রহণ করা হয়েছে যারা ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ মাছ খেয়েছে তাদের নিকট থেকে। ওমেগা থ্রি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণকারীদের থেকে নয়।

আবার অনেক রিসার্চ ফিশ ওয়েল কোম্পানির ফান্ডিংয়ে পরিচালিত হওয়ার কারণে রেজাল্ট পজিটিভ আসে। অনেক মানুষই মনে করে সরাসরি মাছ খাওয়ার চেয়ে ফিশ ওয়েল সাপ্লিমেন্ট নেওয়া বুঝি ভালো।

দেখা গেছে, অনেক ফিশ ওয়েল সাপ্লিমেন্টে নিম্নমানের বিশোধন প্রক্রিয়ার কারণে হেভি মেটাল থেকে যায়। এছাড়াও প্রক্রিয়া জাতকরণের সময় তা আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে জারিত হয়। আলো, অক্সিজেন ও তাপ এই জারণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। এই জারিত তেল দেহের জন্য ক্ষতিকর।

২০১৬ সালে আমেরিকার বিখ্যাত তিনটি ফিশ ওয়েল সাপ্লিমেন্ট পরীক্ষা করে দেখা যায় এগুলোর oxidation level নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে চার গুণ বেশি। দ্যা গার্ডিয়ান পত্রিকার এক রিপোর্টে দেখা যায় এই মাত্রা ১১ গুণ বেশি।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এসব সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের কারণে ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের হার বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে মেলানোমা, প্রোস্টেট ক্যান্সারের পরিমাণ বেড়েছে।

অনেকে মনে করে এসব সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে হৃদরোগ, স্ট্রোক এসবের ঝুঁকি হ্রাস পায়। কিন্তু বাস্তবে হৃদরোগ, স্ট্রোক কমাতে কোনো ভূমিকা পাওয়া যায় না।

২০১৮ সালে নিউজ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত এক স্টাডিতে দেখা যায়, মধ্য বয়সী মানুষদের হৃদরোগ, স্ট্রোক কমাতে এই সাপ্লিমেন্ট কোনো ভূমিকাই রাখে না।

২০১০ সালে জার্নাল অব আমেরিকান মেডিকেল এসোসিয়েশন কর্তৃক প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, ফিশ ওয়েল সাপ্লিমেন্ট প্রসবোত্তর বিষণ্নতা (Postpartam Depression) কমাতে কোনো ভূমিকা রাখে না। আবার শিশুর মস্তিষ্কের দ্রুত বিকাশেও তেমন কোনো ভূমিকা নেই এর।

১৯৯২ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় (Wainwright et al.) দেখা যায়, ফিশ ওয়েলে বিদ্যমান অধিক মাত্রার ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।

উপর্যুক্ত আলোচনার আলোকে সকলের প্রতি পরামর্শ থাকবে ওমেগা থ্রির প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সাপ্লিমেন্ট নির্ভর না হয়ে ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন- মাছ, তিসি, চিয়া সিড ইত্যাদি গ্রহণ করুন।

প্রবল কুমার মন্ডল, পুষ্টিবিদ ও লেখক 

Email: [email protected]
01827664306

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্তি এবং ইন্টারনেটের ক্ষতিকর দিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নিউজরুম ডেস্ক, বার্তা২৪
ইন্টারনেট আসক্তি / ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারনেট আসক্তি / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের জের ধরে দেশে একরকম অস্থিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। চলমান এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জানমালের। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই তার প্রভাব বেশ প্রকটভাবেই দৃশ্যমান।

বাস চলাচল, বাজারঘাট তো বন্ধ রয়েছেই, তার সাথে স্কুলকলেজ আর অফিস-আদালত কোনো কিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলছে না। সবচেয়ে বেশি নজরে পড়ার মতো ঘটনা হলো বেশ কয়েকদিন ধরে সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রয়েছে। ডেটা ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় সারাদেশে সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ ইন্টারনেট সেবা স্থগিত রয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা সংযোগ ফিরিয়ে আনার পূর্ণ চেষ্টা করছে। তবুও, এখনো অবধি ইন্টারনেট সংযোগ করতে নানারকম প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুধু যোগাযোগ বা বিনোদন নয়. জরুরি যোগাযোগ এবং দেশের পরিস্থিতির তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।  

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শিথিল হওয়ার এই ব্যাপার টায় আমাদের নেতিবাচকে নজর দেওয়ার চেয়ে ইতিবাচক দিকগুলোতে দৃষ্টিপাত করা উচিত। এই নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ফলে দুনিয়া আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। মুহূর্তেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো নয়, এসবের অতিরিক্ত ব্যবহারও তাই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে। খুব সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে, বর্তমান সময়ের অধিকাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে এটা আসক্তিও বলা যেতে পারে।    

‘সিনেট’- এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার মানুষের উদ্বিগ্নতা বাড়িয়ে দেয়। এক মুহূর্তও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে মনে হতে থাকে, ‘হয়ত কোনো জরুরি খবর সময়মতো জানতে পারলাম না!’ তাই অকারণেই অনেকে জরুরি কাজ ছাড়াও সারাক্ষণ মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, কম্পিউটার, টিভির সামনে বসে থাকে। এর ফলে দেখা যায়, কোনো কাজে ভালোভাবে পরিপূর্ণ মনোযোগ ধরে রাখা যায় না। বারবার অবচেতন মন এইসব ডিভাইসের দিকেই ঝুঁকে পড়ে।

তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি আমাদের নির্ভরতাকে অনুধাবন করে, এইসব অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেন আসক্তি তৈরি না হয়, সেই চেষ্টা করতে হবে। অবসর সময় কাটাতে বিকল্প অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

 

 

 

;

কারফিউর ঘরবন্দি জীবনে যা করবেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪
কারফিউ / ছবি: নূর-এ-আলম

কারফিউ / ছবি: নূর-এ-আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের চলমান পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের জনজীবনে ক্ষণিকের জন্য হলেও ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। ছোট থেকে বড় সবার দৈনন্দিন রুটিন সাধারণ দিনগুলোর চেয়ে ভিন্ন গতিতে চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রায় সবই বন্ধ। দেশের বিভিন্ন স্থানে দিন এবং রাত বেশিরভাগ সময় বা কোনো কোনো দিন প্রায় সারাদিনই কারফিউ চলছে।

দিনে দিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও, কারফিউ চলাকালে সময় যেন আইনস্টাইনের ‘রিলেটিভিটি অব টাইম’-এর নিয়ম মেনে আপেক্ষিক হয়ে পড়ে। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষের জীবনে এতটাই বিশাল স্থান দখল করে রেখেছে যে, বেশিরভাগ মাধ্যম বন্ধ থাকায় অবসরের সময় কাটতে চায় না। বিশেষ করে কম বয়েসি (টিন এজার)-দের এই নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অকার্যকরিতার এই সময়টিকে অভ্যাস পুনর্গঠনের কাজে লাগানো যেতে পারে। অবসরের সময়কে কাজে লাগাতে নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে পারেন:

১. আমাদের সবারই এমন কিছু শখ থাকে, যার পেছনে নিত্যব্যস্ততার কারণে সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না। এইসময় নিজের সেই শখ পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ করতে পারেন।

২.বাড়ির আশেপাশের কোনো স্থানে হাঁটতে যেতে পারেন। হাঁটা যে বয়েসিদের জন্যই সহজ এবং উপকারী একটি ব্যায়াম।

৩. পরিবারের লোকজন এবং আত্মীয় স্বজনের সাথে গল্প করে সময় কাটাতে পারেন। অনেকদিন কথা হয়নি এমন বন্ধুদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।

৪. চলমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে উপকারী কাজ হলো বই এবং খবরের কাগজ পড়া। বইয়ের মতো উপকারী বন্ধু আর হয়না। এমনিতেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করেন অনেকে, তাদের জন্য এখনই সুবর্ণ সুযোগ।

৫. দেশে চলমান অশান্ত পরিবেশে অনেকেই নানারকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। জীবনের এই বিরল অভিজ্ঞতাগুলো দিনলিপিতে লিখে রাখতে পারেন।

৬. যারা কিছুটা অবস্থাসম্পন্ন তারা তুলনামূলকভাবে বিপদগ্রস্ত এবং সাহায্যপ্রার্থীদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে পারেন।

৭. কথায় বলে, সুস্থ দেহে সুন্দর মন। যেকোনো পরিস্থিতিতেই দেহকে সুস্থ এবং উৎফুল্ল রাখা প্রয়োজন। যোগাসন, বক্সিং, মার্শাল আর্ট বা ধ্যানের মতো উপকারী অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।

৮. পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী বা এলাকায় যারা একত্রে থাকেন, তারা সকলে মিলে পিকনিক বা বিভিন্ন খেলার আয়োজন করে সময় কাটাতে পারেন। 

তথ্যসূত্র: সিনেট

   

;

কার গয়না পরে বিয়ে করলেন রাধিকা, জানলে অবাক হবেন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রাধিকা মার্চেন্ট

রাধিকা মার্চেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও এশিয়ার অন্যতম শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের ধুম যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছে না। আম্বানিদের এই মেগাবাজেটের বিয়ের লাল গালিচায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই পা ফেলেছে হলিউড-বলিউডের সব রথী মহারথীরা। বিভিন্ন সাজ, পোশাক-আশাকে বিয়েতে আসা অতিথিদের চমকে দেন তারা।


তবে যাদের জন্য এই মহা আয়োজন সেই আম্বানি পরিবারের ছোট পুত্রবধূ রাধিকা মার্চেন্ট এর সাজও ছিল নজরকারা, চোখ ধাঁধানো। তবে রাধিকা বিয়েতে যে গয়না পড়েছেন তার কাহিনী হয়তো অনেকেই জানেন না।

বিয়েতে বিখ্যাত ডিজাইনার আবু জানি সন্দীপ খোসলার লেহেঙ্গা পড়লেও রাধিকার বিয়ের গয়নাতে সবার চোখ আটকে যায়। কারণ বিয়ের দিন রাধিকা কোন ডিজাইনারের গয়না নয় বরং তার বোন অঞ্জলি মার্চেন্টের গয়না পরেছিলেন। মার্চেন্ট পরিবারে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নিজেদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া এসব গয়না দিয়েই তারা বিয়েতে সাজেন। এটাই তাদের পরিবারের রীতি। রাধিকাও তাই নিজেকে পারিবারিক সূত্রে পাওয়া গয়নাতেই নিজেই সজ্জিত করেছেন।


বিয়েতে রাধিকার গলায় একটি চোকার নেকলেস দেখা যায় । তার সঙ্গে পোলকি কানের দুল, টিকলি এবং ম্যাচিং হাতের ফুল। এগুলো ছাড়াও রাধিকা একটি চোখ ধাঁধানো হিরা এবং পান্নার নেকলেস, কড়া, চুড়ি এবং কালীরা পরেছিলেন।

জানা যায়, রাধিকা যে নেকলেসটি পরেছেন সেটি ২০২০ সালে বিয়েতে তার বোন অঞ্জলি মার্চেন্টও পড়েছিলেন। এমনকি এই গয়নাগুলো তাদের মা এবং তাদের নানীও পড়েছিলেন তাদের বিয়ের সময়।

;

প্রথমবার মা হয়েছেন? শিশুর যত্নে মেনে চলুন এই বিষয়গুলো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রথমবার মা হয়েছেন? শিশুর যত্নে মেনে চলুন এই বিষয়গুলো/ ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবার মা হয়েছেন? শিশুর যত্নে মেনে চলুন এই বিষয়গুলো/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিটি নারীর কাছেই মাতৃত্বের আবেদন আবেগঘন। সেটা যদি প্রথমবারের জন্য হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। আনন্দের মাত্রা তখন দ্বিগুণ হয়ে যায়। সব মা-ই চায় তার সন্তানকে যত্ন সহকারে আগলে রাখতে। ছোট ছোট প্রতিটি বিষয়ে মাকে নিতে হয় বাড়তি যত্ন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বাবা-মায়ের অবহেলা কিংবা অসাবধানতার কারণে বাচ্চাদের নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। যা শিশুর বেড়ে উঠায় বাধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আপনি যদি নতুন মা হয়ে থাকেন এবং প্রথমবারের মতো এই দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন, তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য। শিশুর যত্ন নেওয়ার সময় আপনাকে অবশ্যই এসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

চোখে কাজল লাগাবেন না

প্রায়শই বয়স্করা বলেন যে, শিশুদের চোখে কাজল লাগাতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কাজল শিশুর চোখে সমস্যা তৈরি করতে পারে। আসলে কাজল লাগালে চোখের কোণে থাকা টিয়ার নালি আটকে যাওয়ার ভয় থাকে এবং এতে ধুলো-ময়লাও লেগে যেতে পারে, যা অ্যালার্জির কারণ হয়। তাই শিশুর চোখে কাজল লাগানো এড়িয়ে চলুন।

ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধু মায়ের দুধ দিন

কেউ কেউ চার-পাঁচ মাস থেকে শিশুকে জল ও শক্ত খাবার দেওয়া শুরু করে, যেখানে ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধই শিশুর পুষ্টির জন্য যথেষ্ট। বুকের দুধ খাওয়াতে সমস্যা হলে বা দুধ উৎপাদন না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে মায়ের বিশেষ কোনও শারীরিক অসুখ থাকলে বা মায়ের দুধ শিশু হজম করতে না পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দিন।

সব সময় ডায়াপার পরাবেন না

ছোট বাচ্চাদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয় এবং এর জন্য তাদের ডায়াপার পরানো হয়। তবে একেবারে ছোট শিশুকে বেশিক্ষণ ডায়াপার পরিয়ে রাখা উচিত নয়। এছাড়া কয়েক ঘণ্টা পর পর ডায়াপার পরিবর্তন করা জরুরি। ডায়াপারের বদলে তুলো বা সুতি বা যে কোনও নরম কাপড়ের তৈরি ন্যাপি পরান। একটানা ডায়াপার পরলে ত্বকে ফুসকুড়ি হতে পারে।

সাবধানে শিশুর জিনিস কিনুন

নবজাতক শিশুর ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই শ্যাম্পু, বডি ওয়াশ, বডি ম্যাসাজ অয়েল, লোশনের মতো পণ্য খুব সাবধানে কেনা উচিত। কোনটি শিশুর জন্য ঠিক হবে, সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়া পণ্যগুলি কেনার সময় মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং উপাদানগুলি পড়ে নিন। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি এমন পণ্য কেনার চেষ্টা করুন।

এই ছোট বিষয়গুলিতে যত্ন নিন

নবজাতক শিশুকে স্পর্শ করার আগে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ঘরে যদি ছোট বাচ্চা থাকে, তবে হাত-পা ধুয়ে বাচ্চাকে কোলে নিন এবং সর্বক্ষণ নজর রাখুন। এছাড়া শিশুর যাতে ঠান্ডা না লাগে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। শিশু খুব কান্নাকাটি করলে সেটা ক্ষিধের জন্য নাকি পেটে গ্যাসের কারণে তা জানার চেষ্টা করুন। খাওয়ানোর পরে, শিশুটি তার পিঠে হালকাভাবে চাপ দিলে স্বস্তি পায়, অস্বস্তি বোধ কমে।

সূত্র: টিভি৯ বাংলা  

;