কম আলোতেও ভালো থাকবে যেসব গাছ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নানা রকম বাহারি গাছে ঘর সেজে উঠুক, তেমন বাসনা অনেকেরই। দেখতে ভালো লাগলেও ইনডোর প্লান্টের যত্ন নেয়া সহজ নয়। পর্যাপ্ত পানি এবং হাওয়া না পেলে গাছ মরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। তবে এমন কিছু গাছ রয়েছে, যেগুলো পর্যাপ্ত আলো না পেলেও বেঁচে থাকে।

স্পাইডার প্ল্যান্ট

খুবই জনপ্রিয় একটি ‘ইনডোর প্ল্যান্ট’ এটি। অনেকে ছাদে বা বারান্দায় এই গাছ রাখেন। একটা ধারণা প্রচলিত রয়েছে, স্পাইডার প্ল্যান্ট বাঁচাতে প্রচুর আলোর দরকার তা কিন্তু নয়। একটু কম আলোতেই এই গাছ বেশি ভাল ভাবে বাড়ে। পরিমিত পানি পেলেই হল। আর একটা কথা মনে রাখা দরকার। এই গাছের পাতা শুকিয়ে গেলে সেই শুকনো পাতা ঝটপট কেটে দিতে হবে। তা হলে আরও তাড়াতাড়ি বাড়বে এই গাছ।

বার্ড অফ প্যারাডাইস

নানা রকমের ফুলের এই গাছ ঘরের ভিতরে খুব সহজে বাঁচে। খুব বেশি আলোর দরকার হয় না। তবে এর ক্ষেত্রে পানি দেওয়ার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। খুব বেশি পানি গোড়ায় জমে থাকলে এই গাছ মরে যেতে পারে। একমাত্র তখনই পানি দিতে হবে, যখন মাটি শুকিয়ে যাবে।

পথোস

মানিপ্ল্যান্ট নামে পরিচিত এই গাছ বাঁচিয়ে রাখতে মাটিও লাগে না। শুধু পানির মধ্যে গোড়া ডুবিয়ে রেখে দিলেও এই গাছ বেঁচে যায়। এদেরও খুব বেশি আলোর দরকার হয় না। দীর্ঘ দিন পানি-আলো না পেলেও সহজেই বেঁচে থাকে এই গাছ। পাতাও সবুজ থাকে।

ডাবের শাঁস দিয়েই হোক রূপচর্চা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাবের পানি যে শরীরের জন্য উপকারী, সেটা তো সকলেই জানেন। কিন্তু জানেন কি রূপচর্চাতেও কাজে লাগতে পারে ডাব? নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া ত্বক কিংবা শুষ্ক চুলের সমস্যা কমাতে ডাবের জলের জুড়ি নেই। শুধু জল নয়, ডাবের শাঁসও রূপচর্চায় কাজে আসতে পারে। ডাবের পানি এবং শাঁস ত্বককে শুধু ভিতর থেকে নয় বাইরে থেকেও আর্দ্র রাখে। ব্যবহারের উপায় জেনে নিন-

জেল্লা বৃদ্ধি করতে

সকালে বা রাতে ঘুমোনোর আগে ডাবের শাঁস দিয়ে মালিশ করতে হবে। মালিশ করার পর ১০ মিনিট রেখে দিন এবং তার পর হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। ঘুম থেকে উঠে কোথাও যেতে হলে চোখের তলায় ফোলাভাব দেখা যায়। ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা ডাবের শাঁসের মিশ্রণ চোখের তলায় লাগিয়ে নিলে ফোলা ভাব কমে যাবে।

তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দূর করতে

সারা বছর কেউ কেউ তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা দূর করতে একটি পাত্রে ডাবের শাঁস বাটা, বেসন, মুলতানি মাটি ও গোলাপজল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগান। মিনিট ১৫ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার এই প্যাক ব্যবহার করুন, তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দূর হবে।

ট্যান দূর করতে

ডাবের শাঁস বেটে নিয়ে ডাবের পানির সঙ্গে মিশিয়ে বরফের ট্রে-তে ভরে রাখুন। রোদ থেকে ফিরে সেই বরফ মুখে ঘষে নিন। এই টোটকা মানলে ট্যান পড়বে না।

;

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন কারণেই চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে। তারমধ্যে ক্লান্তি বা অনিদ্রা যেমন দায়ী, তেমনি ভগ্নস্বাস্থ্য ও বয়স বৃদ্ধির নির্দেশকও এই দাগ। অনেকে এই দাগ দূর করার জন্য কত কিছুই না করেন তবু এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে না। তবে কিছু খাবার যদি রোজের পাতে রাখা যায়, তা হলে সমাধান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভিটামিন সি

ত্বকের খেয়াল রাখতে এই ভিটামিনের ভূমিকা অঢেল। ত্বক টানটান করা থেকে চোখের নীচের দাগছোপ দূর করা, ভিটামিন সি পারদর্শী সবেতেই। টকজাতীয় ফলে মূলত এই ভিটামিন থাকে। রক্ত চলাচলে সাহায্য করে ভিটামিন সি। লেবু, আমলকি, বেরিজাতীয় ফলে এই ভিটামিন ভরপুর পরিমাণে রয়েছে।

ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার

রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না ভিটামিন কে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে রক্ত দলা পাকতে শুরু করে। সেখান থেকে চোখের নীচে দাগছোপ দেখা দেয়। ভিটামিন কে সেই ঝুঁকি কমায়। ব্রকলি, সবুজ শাকসবজি, ছোলাতে ভিটামিন কে রয়েছে।

ভিটামিন ই

ভিটামিন ই হল উপকারী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে এই ভিটামিন। ত্বক আর্দ্র রাখে। ফলে চোখের নীচে কালি পড়তে পারে না। ভিটামিন ই রয়েছে বাদাম, বিভিন্ন ধরনের শস্য, পালং শাক, অ্যাভোকাডোর মতো খাবারে।

;

কাঁঠালের বীজের স্বাস্থ্যগুণ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। সুমিষ্ট গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে এটি অন্যতম একটি ফল। সারাবছর গ্রীষ্মকালীন ফল পাওয়া গেলেও বিশেষ করে জাম, জামরুল, তরমুজ ও কাঁঠাল সব সময় পাওয়া যায় না। গরম পড়তেই দেখা মেলে মৌসুমি এই ফলের। এই ফলের গুণাগুণ সম্পর্কে কেউ তেমন ওয়াকিবহাল নয়। বিশেষ করে এই ফলের বীজের পুষ্টিগুণের কথা তো অনেকেরই অজানা। কাঁঠালের বীজে থাকা জিঙ্ক, লোহা, তামা, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের প্রাচুর্যের ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়াও রাইবোফ্ল্যাভিন ও থিয়ামিনের উপস্থিতিতে শরীরও চাঙ্গা থাকে।

কী কী গুণ রয়েছে কাঁঠালের বীজের?

>> কাঁঠালের বীজ খেলে মানসিক চাপ কমে, কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস।

>> এই বীজে ভরপুর মাত্রায় লোহা থাকে, যা হিমোগ্লোবিনের অন্যতম উপাদান। রক্তাল্পতা থাকলে আয়রন সমৃদ্ধ ডায়েটের জন্য পুষ্টিবিদরাও কাঁঠাল বীজ খেতে বলেন।

>> কাঁঠাল বীজে ভিটামিন এ থাকে। তাই দৃষ্টি স্বচ্ছ রাখতে এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে এই বীজ রাখা যেতেই পারে ডায়েটে।

>> যারা নিরামিষ খান তাদের পক্ষে মাছ-মাংস থেকে প্রোটিন পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। কাঁঠাল বীজ সেক্ষেত্রে ডায়েটে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এটি পেশির শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। নিয়মিত যারা জিমে যান, তাদের ডায়েটে এই বীজ রাখা যেতে পারে।

>> কাঁঠালের বীজ রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিলে সেটি নিয়মিত খেলে গ্যাস-অম্বলের আশঙ্কা কমে। এছাড়া কাঁঠাল বীজে প্রিবায়োটিক থাকে। এগুলি শরীরে ভাল ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ায়।

কীভাবে খাবেন?

>> রোদে শুকিয়ে নিয়ে ছোট ছোট করে কেটে ঘিয়ে রোস্ট করে লবণ, গোলমরিচ দিয়ে খাওয়া যায়।

>> রোদে শুকিয়ে নিয়ে তার পর সেদ্ধ করে তেল মরিচ দিয়ে মেখে খাওয়া যায়।

>> আর পাঁচটা সবজির মতোই তরকারি বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন নিরামিষ তরকারির মধ্যে দিলেও খেতে ভাল লাগে।

>> যে কোনও ঝোলে ব্যবহার করতে পারেন।

;

পাকা পেঁপে কেন খাবেন?



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওজন কমানোর ডায়েটে পাকা পেঁপের স্থান সকলের আগে। তবে অনেকেই পাকা পেঁপে খেতে চান না। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই এই ফলকে ‘মহাঔষধ’ বলে মনে করেন। শিশু থেকে বয়স্ক সবার জন্য পাকা পেঁপে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তাই নিয়ম করে পাকা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর

ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর পাকা পেঁপে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির যম। এ ছাড়াও পেঁপেতে আছে ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন সি এবং ই। যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হজমে সহায়ক

পেঁপে মুখের রুচি ফেরায়। সেই সঙ্গে খিদেও বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার করে। পেট পরিষ্কার থাকলে গ্যাসের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তা-ই নয়, যাদের অর্শের সমস্যা রয়েছে চিকিৎসকরা তাদের পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

পেঁপে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ১০০ শতাংশ ভিটামিন সি পাওয়া যায় এই পাকা পেঁপে থেকেই। শরীরে কোনও সংক্রমণ হলে, তা কমাতে চিকিৎসকরা পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

;