বিশ্বের সেরা স্টির ফ্রাইজ খাবার থাইল্যান্ডের ‌‘ফাট ক্রাফাও’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাউথ-ইস্ট এশিয়া, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিদেশিদের কাছে থাইল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে রয়েছে ‘ফাট ক্রাফাও বা পাড গ্রাপাও’। গত রোববার প্রকাশিত টেস্টএটলাস.কমের জরিপে ফাট ক্রাফাওকে ২০২৩ সালে বিশ্বের সেরা স্টির ফ্রাইজ হিসেবে মনোনীত করেছে।

কম তেলে কড়া উত্তাপে জনপ্রিয় রান্নার ধারাকে বলা হয় স্টির ফ্রাইজ।

বিজ্ঞাপন

জরিপে ফাট ক্রাফাও মোট ৫ স্কোরের মধ্যে ৪ দশমিক ৮ স্কোর অর্জন করে। ৪ দশমিক ৭ স্কোর পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার খাবার ডাক গালবি এবং ৪ দশমিক ৬ স্কোর পেয়ে ইথিওপিয়ার টিবস থার্ড রয়েছে তৃতীয় স্থানে।

স্থানীয় ভাষায় ‘পাড’ মানে হচ্ছে ভাজা বা ফ্রাই আর ‘ক্রাপাও’ অর্থ ‘পবিত্র পাতা’ (তুলশি বা ধনিয়া প্রজাতি)। এই তুলশী পাতাই হচ্ছে পাড ক্রাপাওয়ের মূল উপাদান। পাড ক্রাপাও মুরগির মাংস, শূকরের মাংস, গরুর মাংস, সি-ফুড, তফু অথবা অন্য কিছু ব্যবহার করেও তৈরি করা যায়। এই খাবারটি শুধুমাত্র ভাতের সঙ্গেই পরিবেশন করা হয়। সবার ওপরে একটা ভাজা ডিম (সানি সাইড আপ) পরিবেশন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

দুনিয়াজুড়ে খাবারের স্বাদ ও মেন্যু নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা টেস্টএটলাসের এই জরিপে অংশ নেন। জরিপে আরও দেখা যায়, বিদেশিরা থাইল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি অর্ডার দেয়া মেন্যুর মধ্যে ৪র্থ স্থানে রয়েছে পাড ক্রাপাও।

ঐতিহ্যবাহী এই থাই খাবারটির কম্বিনেশনে রয়েছে তুলসী পাতার সঙ্গে মাংস বা সি ফুডের মিশ্রনের স্টির ফ্রাই। এছাড়াও এই রান্নায় শ্যালটস, রসুন এবং চিলি পিপারস ব্যবহৃত হয়।

টেস্টএটলাসের বর্ণনায় বলা হয়, এই খাবারের সঙ্গে আরও মেশানো হয় সয় সস, চিনি, ফিস সস এবং সাধারণত ভাত, ডিম ভাজির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।

শুধু পাড ক্রাপাও না, টেস্টএটলাসের জরিপে সেরা দশের মধ্যে রয়েছে আরেকটি থাই খাবার। জনপ্রিয় থাই ফুড পাড থাই রয়েছে অষ্টম অবস্থানে। ফাত সি-ইউ নামের খাবারটি রয়েছে ১৯তম অবস্থানে। ডার্ক সয় সস দিয়ে স্টির ফ্রাইড নুডলসকেই বলা হয় ফাত সি-ইউ। এছাড়াও রেড কারি পেস্ট দিয়ে তৈরি স্টির ফ্রাইড মাংসের খুয়া ক্লিং রয়েছে ২৩ তম অবস্থানে। জরিপে ৪৪ তম অবস্খানে রয়েছে স্টির ফ্রাইড চিকেন উইদ ক্যাশু।


তবে নেটিজেনরা এই জরিপ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ তালিকায় ২০তম অবস্থানে থাকা পাড কি মাওকে লাওসের খাবার হিসেবে দেখানো হয়েছে৷ তবে ড্রাঙ্কেন নুডলস নামে পরিচিত এই খাবারটি থাইল্যান্ডের বলেই স্থানীয়দের দাবি। এটা খাবারটিও ফাত সি-ইউ’র মতোই তবে একটু বেশি ঝাল। এটা সাধারণত অ্যালকোহলের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।

মালয়েশিয়ার স্থানীয় খাবার নাসি গোরেং কামপুং জরিপে ৪৬তম অবস্থানে রয়েছে৷