খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল খেজুর। তবে খেজুরের নাম শুনলেই অনেকের কাছে মনে পড়বে ইফতার কিংবা রোজার কথা। ইফতারে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও অন্যান্য সময়ে আমাদের খেজুর খাওয়ার তেমন অভ্যাস নেই। রোজার সময় ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময়ে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।
কেননা অত্যন্ত পুষ্টিগুণে ভরা এই ফল আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শক্তির অন্যতম একটি উৎস খেজুর। খেজুরে আছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করতে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।।
বলা হয়ে থাকে, প্রতি চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ দশমিক ৮ গ্রাম ফাইবার। এছাড়া আছে আরও অনেক পুষ্টি উপাদান।
ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে খেজুর
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ও প্রাকৃতিক আঁশে পরিপূর্ণ খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। যারা নিয়মিত খেজুর খান, তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কম থাকে।
ওজন বেড়ে যাওয়া রোধে খেজুরের ভূমিকা
খেজুর শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে। অল্প পরিমানে খেজুর খেলেও তা ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে দেয়। ফলে পাকস্থলী অল্প খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় কম থাকে।
হাড় গঠনে সহায়ক খেজুর
ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়তা করে। আর খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা আমাদের শরীরে হাড়কে মজবুত করে। খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে।
খেজুরের অন্যান্য উপকারিতা
হৃদপিণ্ডের সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ বলা হয়ে থাকে খেজুরকে।
খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে রাতকানা রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে।
খেজুরে এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
খেজুর সংক্রমক রোধ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
এছাড়াও গলাব্যথা এবং বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি ও ঠাণ্ডায় বেশ উপকারী খেজুর।
শরীর ভালো থাকলে আমাদের মনও ভালো থাকে। প্রতিদিন প্রয়োজনীয় কাজ বা পরিশ্রম করতে গিয়ে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি। এই ক্লান্তিভাব দূর করতে কাজ করতে পারে খেজুর
তাই প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তবে একদিনে অধিক পরিমানে (৬টির বেশি) খেজুর খাওয়া উচিত নয়।