বাচ্চার সঙ্গে যে ভুলগুলো করবেন না
শিশুরা মূল্যবান সম্পদ এবং একটি দেশের ভবিষ্যৎ। শিশুরা নিষ্পাপ, কৌতুহলী ও সম্ভাবনায়। প্রত্যেকটি শিশু সাদা কাগজের মতো, সেখানে আপনি যা লিখবেন শিশুটি সেভাবেই গড়ে উঠবে। শিশুরা প্রাথমিকভাবে অনুসরণ করে তার পরিরারকে। বিশেষ করে মা-বাবার ভূমিকা এখানে সবচেয়ে বেশি। শিশুর হাঁটাচলা থেকে শুরু করে কথা বলা, নিয়মানুবর্তিতা, পড়াশোনা, ঘরের টুকিটাকি কাজসহ ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলার পিছনে রয়েছে বাবা-মা। তবে আমরা প্রায় সময়ই এমন আচরণ কিছু করি, যা সন্তানের জীবনে বিপর্যয় নিয়ে আসে। আমরা মনে করি- সন্তানের ভালোর জন্য করছি। অথচ এই আচরণগুলো যে ভুল তা আমরা নিজেরাই জানি না।
এখন জেনে নেওয়া যাক ভুলগুলো-
-
শিশু সন্তানের সামনে কথা কাটাকাটি বা ঝগড়া বিবাদ করবেন না। অনেক বাবা-মা বাচ্চার সামনে উঁচু গলায় চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। এসব বাচ্চা ওপর মানসিক চাপ ফেলে । এমন আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
-
অনেক সময় দেখা যায়, বাচ্চার কান্না থামাতে তারা ভুল কিছু চাইলে খুব সহজেই দেওয়া হচ্ছে। এটি কখনোই করা উচিত না; এ ব্যাপারে কঠোর এবং ধৈর্যশীল হতে হবে।
-
শহরে অনেকেই আছেন বাচ্চাদেরকে মাঠে খেলতে বাধা দেন। খেলাধুলা বাচ্চাদের শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি মানসিকভাবে খুশি ও চাপমুক্ত রাখে। সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাস, স্বাধীনতা এবং আত্মমর্যাদাবোধ শেখায়। তারা চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সচেতন হন। তাই সন্তানকে বিকেলে মাঠে সময় কাটাতে দিন।
-
অনেকেই বাচ্চা ভুল করলে বকাঝকা, ধমক, ভয় বা শাস্তি দেন। এতে ভয় থেকে বাচ্চারা পিছিয়ে পড়ে। নতুন কিছুর শেখার আগ্রহ কমে যায় । তাই ভুল করলে বাচ্চাদের ভুলটি ধরিয়ে দিতে হবে।
-
আমরা সবাই জানি মোবাইল ফোন বাচ্চাদের জন্য কতটা ক্ষতিকর। কিন্তু এটি জানা শর্তেও অনেকেই নিজেদের কাজের সুবিধায় বাচ্চাদের হাতে ফোন ধরিয়ে তাদেরক ব্যস্ত রাখেন। এ ভুলটি করবেন না। মোবাইল না দিয়ে ইনডোর গেমের মধ্যে তাদেরকে ব্যস্ত রাখুন। কৌশলমূলক গেম যেমন: পাজেল মেলানো গেম গুলো খেলতে দিতে পারেন । এতে বাচ্চার সৃজনশীলতা অন্বেষণ হয়।
-
বাচ্চার সবচেয়ে কাছের বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করুণ। আপনার বাচ্চার ভালো লাগা ও খারাপ লাগা সম্পর্কে জানুন। বাচ্চার আগ্রহ অনুসারে তাকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দিন।