শীতে ঠোঁটের যত্ন
শীতের আগমনের পূর্বাভাসের সঙ্গে সঙ্গেই দেখা দিয়েছে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা! ঢাকার বাইরে ইতিমধ্যে শীত এসে গেছে, এখন শুধু জেঁকে বসার অপেক্ষা। আবহাওয়া শুষ্ক ও রুক্ষ হওয়ায় কিছুক্ষণ পরপর ঠোঁট শুকিয়ে আসে।
শীতের সময় তাই ঠোঁটের যত্ন নেয়াটা একটু বেশিই দরকার। কেননা শীতের আর্দ্রতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঠোঁট। এই সময় ঠোঁট ফাটা থেকে শুরু করে ঠোঁটের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। সে জন্য জেঁকে বসার আগেই জেনে নিন শীতের আর্দ্রতায় হাত থেকে ঠোঁট বাঁচাবেন কীভাবে।
প্রচুর পানি পান
প্রথমেই বলতে হয় পানির কথা। শীতকালে অনেকেই পানি কম খেয়ে থাকেন। এর ফলে ত্বক ও ঠোঁটের আর্দ্রতা হারায়। প্রতিদিন অনন্ত দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা উচিত। শরীরে পানিশূন্যতা থাকলে ঠোঁট উজ্জ্বল দেখায় না।
পেট্রোলিয়াম জেলি
শীতের শুরু থেকেই ভালো মানের পেট্রোলিয়াম জেলি, নারকেল তেল বা গ্লিসারিন ঠোঁট ও ঠোঁটের চারদিকে লাগাতে হবে। বাইরে গেলে লিপবাম অথবা লিপজেল সবসময় সাথে রাখা ভালো।
অলিভ অয়েল ও চিনি
এক চা চামচ অলিভ অয়েল, এক চা চামচ চিনি, আধা চা চামচ বেসন মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। পেস্টটা ঠোঁটে মেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ভেজা হাতে ম্যাসাজ করে প্যাকটি উঠিয়ে ফেলুন। এতে মরা কোষ উঠে গিয়ে ঠোঁটের কোমলতা বজায় থাকবে।
গ্লিসারিন
অনেকেই মনে করেন, গ্লিসারিন কেবল হাত-পায়ে কিংবা মুখে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে ঠোঁটের যত্নে নানা প্রসাধনীর ভিড়ে গ্লিসারিন অন্যতম। যাদের ঠোঁট তুলনামূলক বেশি ফাটে কিংবা ঠোঁটের ডেড সেল বেশি চোখে পড়ে, তারা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে গ্লিসারিন আর সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে তাতে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন।
চালের গুঁড়া ও মধু
এক চা চামচ আতপ চালের গুঁড়া, মধু এক চা চামচ, মসুর ডাল বাটা এক চা চামচ, এক চিমটি হলুদের গুঁড়া ও কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটা ঠোঁটে লাগিয়ে পাঁচ-সাত মিনিট রেখে ভেজা হাতে ম্যাসাজ করুন। সার্কেল ও এন্টি সার্কেলভাবে দুই মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
ঠোঁট পরিষ্কার রাখতে হবে
শীতের সময় বাতাসে ধুলোবালি বেশি থাকে। ফলে বাইরে বের হলেই ঠোঁটে ধুলোবালি জমে যায়। তাই বাসায় ফিরে ঠোঁট পরিষ্কার করে লিপবাম লাগতে হবে।
রাতের ঠোঁটের যত্ন
ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধ-মালাই দিয়ে ঠোঁট আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। সামান্য কিছুক্ষণ এমন ম্যাসাজে ঠোঁটে রক্ত চলাচল বাড়বে এবং দুধ-মালাই থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পাবে আপনার ঠোঁট। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবেন আপনার ঠোঁট শীতের ঠান্ডা মোকাবিলায় প্রস্তুত।