পানীয় বাছাইয়ে সতর্ক হন

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহিত

ছবি : সংগৃহিত

সুস্থ থাকার জন্য সুষম খাবার গ্রহণ এবং স্বাস্থ্য হানীকারক খাবার বর্জন দুই-ই প্রয়োজন। আমাদের অবশ্যই জানতে হবে, আমরা প্রতিদিন যা খাচ্ছি তা কোনোভাবে আমাদের ক্ষতি করছে কিনা। নিজের অজান্তেই পছন্দের কিছু পানীয় পানের মাধ্যমে হয়তো অনাকাক্সিক্ষত কিছু কিংবা চিনি শরীরে প্রবেশ করাচ্ছেন। বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে যেহেতু স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিতে হয় তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী পানীয়গুলি এড়িয়ে চলতে হবে-

এনার্জি ড্রিংকস বা শক্তিউৎপাদনকারী পানীয়

এসবে অতিরিক্ত ক্যাফেইন এবং উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী উপাদান রয়েছে। ফলে এদের সেবন রক্তচাপ বৃদ্ধি, মানসিক চাপ এবং আপসহীন ঘুমের কারণ হতে পারে। এদের ফলে সৃষ্ট আরও কিছূ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো- পাকস্থলীতে অস্বস্তী, মাথাব্যথা এবং বমি বমি ভাব। এতে ব্যবহৃত কৃত্রিম স্বাদ ও মিষ্টি থাকে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে ব্যাহত করে।

সোডা

সোডায় যোগ থাকা চিনি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়ানো ছাড়াও হতে পারে আরও অনেক সমস্যা। কোলার একটি ১২-আউন্স ক্যানে প্রায় ১০ চা চামচ চিনি থাকে। এর স্বাস্থ্যকর প্রতিস্থাপন হতে পারে লেবু বা কমলার শরবত।

বিজ্ঞাপন

বরফ চা

বোতলজাত বা বাণিজ্যিকভাবে তৈরি চায়ে সোডার মতো একই পরিমাণ চিনি থাকতে পারে। বরফযুক্ত চা-এর মতো মিষ্টি পানীয়ের উচ্চ ব্যবহার বিপাকীয় সমস্যার লক্ষ্মণ এবং টাইপ টু ডায়াবেটিসের বিকাশ হতে দেখা গেছে।

কৃত্রিম ফলের রস

এসবে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ থাকে। শরীরে গ্রহণকৃত ফ্রুক্টোজ লিভারে গিয়ে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয় এবং অতিরিক্ত গ্লুকোজ চর্বি হিসাবে জমা হয়, বিশেষ করে পেটের চর্বি। অতিরিক্ত ফ্রুক্টোজ আপনার অন্ত্রের জন্যও বেশ খারাপ। ফলে- পেট ফুলে যাওয়া, ডায়রিয়া এবং অস্বস্তিহতে পারে। এর বদলে ১০০% ফলের রস খাওয়া উচিৎ।

বিজ্ঞাপন

ককটেল

ককটেল স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে খারাপ পানীয়গুলির মধ্যে একটি। কখনও কখনও ককটেলগুলিতে অ্যালকোহল এবং ফ্রুক্টোজ সিরাপ পাওয়া যায়। যা লিভারের জন্য ভাল নয়। এগুলো লিভারের বিষাক্ত পদার্থগুলিকে ফিল্টার করার ক্ষমতাকে আপস করে এবং ফ্রুক্টোজকে গ্লুকোজে রূপান্তরকে বাধা দেয়।