যেভাবে হবে সবজি দিয়ে স্বাস্থ্যকর ফুড কালার
বাজার থেকে কিনে আনা ফুডকালারে সাধারণত কৃত্রিম ও রাসায়নিক পদার্থ থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি খাবারকে দৃষ্টিনন্দন করতে এর বিকল্প হতে পারে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ঘরোয়া ফুড কালার। বিভিন্ন ফল বা সবজিকে গ্রেটারে গ্রেড অথবা কুচি কুচি করে কেটে বেটে বা ব্লেন্ড করে তার নির্যাস নিয়ে ফুড কালার তৈরি করা যায়। পানিসহ বেটে নিয়ে ছাকনিতে আঁশ ছেঁকে ফেলে অথবা পানি ছাড়া বেটে রোদে শুকিয়ে পাউডার করে নিয়ে সংরক্ষণ করা যায় এই কালার।
এই প্রাকৃতিক রঙ বাজারে পাওয়া ফুড কালারের মতো দীর্ঘস্থায়ী না হলেও বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। তবে প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ হিসেবে লবণ মেশালে কয়েক মাস নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। তবে একটি সমস্যা- সবজি বা ফল দিয়ে রঙ তৈরি করা হচ্ছে বলে কিছুটা গন্ধ থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে লেবুর রস ব্যবহার খানিকটা সমাধান দেবে।
-
লাল: বিটরুট, লালশাক ইত্যাদি দিয়ে লাল রঙ তৈরি করা যায়।
-
কমলা: গাজর থেকে সহজেই খুব সুন্দর প্রাকৃতিক কমলা রং বানানো যায়।
-
সবুজ: পালং শাক এর পেস্ট থেকে সবুজ রং তৈরি করে নেওয়া যায়।
-
গোলাপী: ড্রাগন ফল থেকে প্রভাবশালী গোলাপী রঙ আসে।
-
হলুদ: কমলার খোসা থেকে প্রকৃতিক রঞ্জক বানানো যায়। তবে সাধারণ হলুদের গুঁড়ো অথবা কেশর ভেজানো পানিও তৎক্ষণিক হলুদ রঙের সবচেয়ে ভালো উৎস।
-
নীল ও বেগুনী: বেগুনী বাঁধাকপি থেকে নির্যাস বের করে নিলে চমৎকার নীল রঙ পাওয়া যায়। আবার, আধা কাপ নীল রঙের সাথে ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিলে নীল বেগুনী পাওয়া যায়। ৪-৫ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিলে লাল বেগুনী রঙ পাওয়া যায়।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক রঙের উপস্থিতিতে গাছের পাতা এবং উৎপাদিত শাক-সবজি ও ফলমূল রঙিন হয়। শাক সবজিতে ক্যারোটেনয়েডস্, অ্যান্থোকায়ানিনস্, বেটালাইনস থাকার কারণে শাক-সবজি রঙিন হয়। লাইকোপেন হলো ফাইটোকেমিক্যাল যা ফলমূল ও সবজিকে লাল রং দেয়। কমলা রঙের খাবারে ক্যারোটিন থাকে। বেটালাইনস থাকে লাল এবং হলুদ সবজিতে। হলুদ ও সবুজ খাবারে লুটেইন থাকে। অ্যান্টোসায়ানিন বেগুনি রঙ সমৃদ্ধ খাবারের উপাদান।
এছাড়া-ক্লোরোফিল সবুজ, অ্যান্থোকায়ানিন নীল এবং জ্যান্থোফিল সবজির হলুদ রঙ হওয়ার কারণ।