শিশুদের টিবি প্রতিরোধে করণীয়
যক্ষ্মা খুবই ভয়ংকর একটি রোগ, বিশেষ করে শিশুদের জন্য। শিশুরা খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। যক্ষ্মা প্রতিরোধে টিকা প্রাথমিক পর্যায়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সুরক্ষা দেয়। অপরদিকে, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে নিউট্রেশন।
টিউবার কিউলোসিস বা টিবি একটি ব্যাকটেরিয়া যা যক্ষ্মা রোগের কারণ। সাধারণত এটি ফুসফুসে আক্রমণ করে থাকে। তবে অন্য যেকোনো জায়গায়ও যক্ষ্মা হতে পারে। তবে হৃদপিন্ড, হাত-পা বা অন্য ঐচ্ছ্বিক পেশি, থাউরয়েড গ্রন্থির মতো কিছু অঙ্গ সুরক্ষিত।
এইচটি লাইফস্টাইলের একটি সাক্ষাৎকারে ব্যাঙ্গালোরের জয়নগরের ডা. সন্তোষ ন. শিশুদের টিবি প্রতিরোধে কিছু উপদেশ দিয়েছেন।
দৈনিক খাদ্য: আপনার শিশূর খাদ্যতালিকায় সুষম খাদ্য উপাদান নিশ্চিত করুন। ভিটামিন, খনিজ লবণ, মাইক্রোনিউট্রিন্টস্ সমৃদ্ধ খাবার বেশ উপকারী। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ত্বরান্বিত করতে প্রতিদিন দুধের তৈরি খাবার, স্নেহহীন আমিষ, জলপাই তেল ও শস্যজাতীয় খাবার খাওয়ান।
ভিটামিন ডি ও সি: পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি শরীরে থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো কাজ করে। সকালে নরম রোদে শিশুকে বাইরে খেলতে উৎসাহিত করুন। এছাড়া অধিক পরিমাণে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- ডিম, দুধ, মাছ খাওয়ান।
এই এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সংক্রমণে বাধা সৃষ্টি করে। টকজাতীয় বিভিন্ন ফল ছাড়াও রঙিন বেলপেপার, ব্রোকলি, স্ট্রবেরী ভিটামিন সি এর উত্তম উৎস।
জিংক: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে জিংক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মাংস, বাদাম ও শষ্যজাতীয় খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে জিংক থাকে।
প্রোবায়োটিকস্: বিভিন্ন উপকারী অনুজীব, যেমন: টকদই, গাঁজানো খাবার, ঈস্ট বা অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারে।
চিনি ও কৃত্রিম খাবার বর্জন: বাইরের খাবার বা চিনিযুক্ত খাবার বেশি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই এ ধরণের খাবার কমিয়ে নিউট্রেশন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়া উচিৎ।
মাতৃদুগ্ধ: নবজাতকদের জন্য মায়ের বুকের দুধ বাঞ্ছনীয়। টিবি সহ অন্যান্য সংক্রমণ রোধে এর বিকল্প আর কিছু হয়না। শিশুর শরীরে শক্তিশালী এন্টিবডি ও নিউট্রেশন প্রদান করে শালদুধ।
এসব ছাড়াও, শিশুদের সুস্থ রাখতে অবশ্যই পরিচ্ছন্নতা বঝায় রাখা বাধ্যতামূলক। অসুস্থ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হউন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস