কেন ফুসফুস ক্যান্সার হয়?
ফুসফুসের ক্যান্সার একটি ভয়ংকর রোগ। এই রোগ বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। প্রতি বছর বিভিন্ন বয়সের মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যান। তবে ধুমপায়ী ব্যক্তিরাই ফুসফুসের ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। ব্যক্তিবিশেষে বয়স ও ধুমপানের মাত্রার উপর ঝুঁকির মাত্রাও নির্ভর করে। তাই সময় থাকতেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার পাশাপাশি বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করার নির্দেশনা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কি কি সমস্যার কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে তার একটি ব্যাখা দিয়েছেন ভারতীয় ডাক্তার প্রশান্ত কারাজগি। নিম্নে কারণগুলো তুলে ধরা হল-
# দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা: কোনো কারণে শ্বাসকার্যে সমস্যা হলে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফুসফুসে বায়ু চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যার সৃষ্টিকারী রোগ এজন্য দায়ী থাকে। ‘ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ’ বা সিওডিজি'র মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এর ঝুঁকিতে বেশি থাকেন।
# বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। কারণ তখন মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। এক্ষেত্রে ৫০-৮০ বছর বয়সীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
# সার্বিক স্বাস্থ্য: আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের অবস্থা সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যারা শারীরিকভাবে দুর্বল, শরীরে অস্ত্রপাচার হয়েছে অথবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের দ্রুত আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
# দূষিত বায়ু: শুধু তামাকজাত বস্তুর ধোঁয়াই নয়, দূষিত বায়ুও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর। দূষিত বায়ুযুক্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষরা ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে বেশি থাকে। দুর্গন্ধযুক্ত বা ধূলাবালি সম্মিলিত এলাকায় বষবাসকারীরা বেশি আক্রান্ত হয়। বায়ুতে উপস্থিত বিভিন্ন দূষিত উপাদান কোষকে আক্রান্ত করে দুর্বল করে ফেলে। ফলে, ফুসফুস কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে।
# বংশগত: অনেক সময় বংশগত কারণেও ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে। পূর্বপুরুষদের যদি এই রোগ হয়ে থাকে তবে পরবর্তী প্রজন্মেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়ে যায়। ধুমপানকারীদের পরিবার ও নিকট আত্মীয় স্বজন, যেমন: বাবা-মা, ভাই-বোন, ছেলে-মেয়েরাও এর ঝুঁকিতে থাকেন।
তথ্যসূত্র: নিউজ১৮