শিশুদের মোবাইল নয়, খেলতে দিন

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শিশুদের মোবাইল নয়, খেলতে দিন

শিশুদের মোবাইল নয়, খেলতে দিন

সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই এখন বদলে যাচ্ছে। শিশুদের জীবনযাত্রার ধরণ তো বদলাতে শুরু করেছে বহু আগেই। আধুনিক নগরায়নে সবচেয়ে কম গুরুত্ব পেয়েছে শিশুদের খেলার সুবিধা। পড়ার চাপে সময় স্বল্পতা, জায়গা ও সুযোগের অভাবে এবং খেলার বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন ভিডিও গেমস হাতের নাগালে পাওয়ায় শিশুরা হয়েছে কায়িক খেলা বিমুখ। তারা বেশিরভাগ সময় ঘরে থাকতেই পছন্দ করে। ইলেকট্রিক যন্ত্রে মুখ গুঁজে নীল আলোর দুনিয়ায় ডুবে থেকে নষ্ট হচ্ছে তাদের সৃজনশীলতা। শরীর শক্ত সামর্থ্য হচ্ছে না বরং মস্তিস্কের ধারণ ক্ষমতা ও সমস্যা সমাধানের গুণ প্রভাবিত হচ্ছে।

গ্রাম্য ও শহুরে শিশুদের বেড়ে ওঠায় বরাবরই রয়েছে আকাশ পাতাল ভিন্নতা। তা যেন এখন ছুঁয়েছে সপ্ত আকাশ। বাউন্ডুলে গাছে চড়া, নদী-খালে ঝুপঝাপ সাঁতরে বেড়ানো, বিনাবিশ্রামে দৌড়-ঝাপ ও খেলাধুলা, এসব করার সুযোগ শহুরে শিশুরা কখনো পায় না। তবু আগে বিকেল হলেই মাঠ আর পার্ক জুড়ে খেলাধুলা করতে দেখা যেত তাদের। এখনকার শহুরে শিশুদের মধ্যে দেখো যায় না আগের সেই দুরন্তপনা। কিন্তু খেলাধুলা তাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বেড়ে ওঠার সময় খেলা শারীরিক-মানসিক সব ভাবেই প্রভাবিত করে শিশুদের।

বিজ্ঞাপন
ছবি:সংগৃহীত 

জেনে নিন খেলাধুলা শিশুদের জন্য কেন প্রয়োজন-

১. পরিশ্রমের ফলে শিশুর হৃদকার্য বেড়ে যায়। ফলে শ্বাস ক্রিয়া দ্রুত হয় ও রক্ত চলাচর স্বাভাবিক থাকে। ।

বিজ্ঞাপন

২. শিশুদের হাড়, পেশি ও হাড়ের জয়েন্টগুলো শক্ত ও মজবুত হয়।

৩. হৃদয়, ফুসফুসের মতো অভ্যন্তরীণ অঙ্গানুকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

৪. শরীরের পেশির দৃঢ়তা ও নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৫. শিশুর শরীরে ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়াতে সাহায্য করে।

৬. শরীরের ওজন স্বাভাবিক রাখে।

৭. বিভিন্ন হরমোনের সমন্বয় ও নিঃসরণ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখতে সাহায্য করে।

৮. তাদের মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়ায়। মনোযোগ ধরে রাখা, সম্পর্কস্থাপন ক্ষমতা, চিন্তাশক্তি, সমস্যা সমাধানের মতো বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপ করতে সাহায্য করে।

৯. শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খেলাধুলা, ব্যায়াম বা অন্যান্য শারীরিক পরিশ্রম করা শিশুরা রোগে কম আক্রান্ত হয়। হৃদরোগ বা ডায়বেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

১০. ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হয় যায়। এছাড়াও পরিশ্রম করায় পানির তৃষ্ণা বাড়ে। এতে শরীরের অভ্যন্তরীণ কাজের ভারসাম্য বজায় থাকে।

তথ্যসূত্র:হেল্থ ডিরেক্ট