শিশুর সাজানো ঘর, মস্তিষ্ক করবে উর্বর
শিশুর বেড়ে ওঠার সময় তারা তাদের পরিবার ও পরিবেশের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়। যত দিন যাচ্ছে আমাদের সমাজে শহরের শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে বাধা একে একে বেড়ে চলেছে। পারিপার্শ্বিক অবস্থা আর নগরায়নের ফলে শিশুরা বাইরে খেলতে যেতে পারছে না। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে শিশুদের বিকাশের যতটকু সম্ভাবনা থাক তা চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়।
পরিবার শিশুদের প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাই খুব ছোটবেলা থেকেই শিশুদের বিকাশে তাদের ঘর বহুমুখী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের জীবনের সূচনা থেকে বিভিন্ন জিনিস শেখা, খেলা, বিশ্রাম করা, বিনোদন, বেড়ে ওঠা সব কিছুতেই তাদের ঘর ও পরিবেশের একটা প্রভাব থাকে। তাই শিশুদের ঘর এমনভাবে সাজাতে হবে যেন তাদের উপর ঘরের ইতিবাচক মানসিক প্রভাব পরতে পারে।
শিশুরা সাধারণত কল্পনাপ্রবণ হয়। সবকিছুকেই দেখার একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থাকে তাদের। প্রাপ্ত বয়স্কদের সাথে তাদের উপলব্ধির পার্থক্যও গবেষণায় পাওয়া যায়। স্মার্ট স্টারের প্রধান ডিজাইনার বিক্রম মিত্র শিশুদের জন্য সাজানো ঘরের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলেছেন। তিনি জানান, 'শিশুরা স্বভাবতই কৌতূহলী হয়। মানসিকভাবে তারা পরিবেশের প্রায় সবকিছুতেই কাল্পনিকভাবে ভিন্ন নজরে দেখে। শিশুকে সৃজনশীল হতে উৎসাহিত করুন। এতে আপনার শিশুর বেড়ে ওঠার বছরগুলোকে আনন্দঘন হবে। তাই তার ঘর এমনভাবে সাজান যেন নিজেকে প্রকাশ করতে সাহায্য করে।'
শিশুর সৃজনশীলতা বাড়ানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, 'আপনার শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠন ও ফ্যান্টাসির দুনিয়া সাজাতে সাহায্য করুন। তার থাকার ঘরের মধ্যেই একটি ছোট তাঁবু বা খেলার ঘর তৈরি করতে পারেন। এতে ঘরে একটি অ্যাডভেঞ্চার পরিবেশের সৃষ্টি হয়।'
শিশুদের শারীরিক উন্নতিতে মিত্র জানান, 'খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। ঘরে কিছু আসবাবপত্র রাখুন যার সাথে সে খেলতে পারবে। যেমন, স্ট্যান্ডিং স্টাডি ডেস্ক, ক্লাইম্বার বাঙ্ক বেড, স্লাইড, ক্ল্যাম্বিং ওয়াল ইত্যাদি।'
এছাড়াও শিশুর ঘরের কি রঙ হবে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করুন শিশু যে ঘরে থাকবে সেই ঘরের দেয়ালে বিভিন্ন আর্টওয়ার্কস ও রঙিন ছবি রাখতে। কাচের বা ভারী কোনো জিনিস বা খেলনা শিশুর ঘরে রাখবেন না, যাতে সে আঘাত পেতে পারে। পরিশেষে শিশুর সুন্দর ব্যক্তিত্ব গঠনে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। সবসময় বন্ধুসুলভ আচরণ করুন।
তথ্যসূত্র:নিউজ১৮