ক্রিসমাসকে আনন্দঘন করার উপায়
খিস্ট্রান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন। শীতের এই অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাপী মানুষ নানা আয়োজনে মেতে ওঠে। আনন্দ করার পাশাপাশি নিজের ও পরিবারের সকলের সুস্থতা বজায় রাখুন। মানবিক গুণাবলির চর্চা করার মাধ্যমে জীবনযাত্রার উন্নতি করুন। এতে অনুষ্ঠান উদযাপন আরও বিশেষ হয়ে উঠবে। জেনে নিন যেভাবে বড়দিন উদযাপন হবে স্পেশাল-
১.কিছু বছর আগেও মানুষের জীবনযাত্রা ভিন্ন ছিল। তবে এখন সিংহভাগকেই ইন্টারনেটে ডুবে থাকতে দেখা যায়। অনুষ্ঠান উদযাপনের সময় এরকম কাজ থেকে বিরত থাকুন। পরিবার ও বন্ধুদের সাথে ভালো সময় কাটানোর পরিকল্পনা করুন।
২.শীতকালে গরমের তুলনায় পানি পান করার চাহিদা কিছুটা কমে আসে। বড়দিনের অনুষ্ঠানে চা,কফি,জ্যুস সহ অনেক রকম পানীয় খাওয়া হয়। তবে এগুলো যথেষ্ট নয়। তাই প্রতিদিন সকালে উঠেই সবার আগে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
৩.যেকোনো উৎসবে পরিবার ও আত্মীয় সবাই একত্রে সময় কাটায়। আনন্দের এই সময় বিষাদগ্রস্থ হয়ে থাকা যাবে না। কাজের ফাঁকে নিজের জন্য দিনের কিছুটা সময় বরাদ্দ করে রাখুন। দিনে অন্তত ১০ মিনিটের জন্য একান্তে বিশ্রাম নিন।
৪.উৎসবের সময় নানারকম খাবারের আয়োজন থাকে। তবে সুস্থ থাকতে হলে পেটের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শতভাগ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া সম্ভব নয়। তবে নিজের স্বাস্থ্য অনুযায়ী অবশ্যই একটা পরিধি বজায় রাখা ভালো। শরীরের উন্নত না হোক, অবনতি হওয়া রোধ করতে হবে। ক্ষতিকর খাবার যেমন-চিনি, চকলেট, মিষ্টি, অ্যালকোহলিক পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৫.অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। খাওয়া শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। খাবার দেখলে মস্তিষ্কে এনজাইম নিঃসরণ হয় বলে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে। খাবার ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে যেন হজমে কোনো অসুবিধা না হয়।
৬.উৎসবের সময় সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। শুভেচ্ছা বিনিময় ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাছাড়া প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির মাপকাঠি মনে হতাশা সৃষ্টি করতে পারে। অর্থ সম্পদের উর্ধ্বে মানবিক গুণাবলি অর্জন করতে হবে। পরিবার, বন্ধু এমনকি আগন্তুকদেরও সাহায্য করুন।
তথ্যসূত্র: ওয়েলবিয়িং পিপল