শিষ্টাচার চর্চায় শিশু বেড়ে উঠুক সুশিক্ষায়

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শিষ্টাচার চর্চায় শিশু বেড়ে উঠুক সুশিক্ষায়

শিষ্টাচার চর্চায় শিশু বেড়ে উঠুক সুশিক্ষায়

শিশুদের ছোটবেলা থেকে শিক্ষিত করার উদ্দেশ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। শিক্ষা বলতে শুধু গ্রন্থগত জ্ঞান নয়। সকলের সাথে মিলেমিশে থাকার মাধ্যমে শিশুরা সামাজিকতার শিক্ষা পায়। জৈবিক ও মানবিক শিক্ষাও শিশুর সম্পূর্ণ জীবনে প্রভাব বিস্তার করে। আশেপাশের মানুষের সাথে সবসময় সুন্দর ও সঠিক ব্যবহার করা উচিত। তাই শিক্ষার্থী অবস্থাতেই শিষ্টাচার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন প্রয়োজন। বিনয়, নম্রতা, দয়ালু, শ্লীলতার মতো গুণাবলি শিষ্টাচারের অন্তর্ভুক্ত। দৈনন্দিন জীবনে এসবের চর্চা ভালো মানুষ হওয়ার পূর্বশর্ত। জেনে নিন শিক্ষার্থীদের জন্য যেসব শিষ্টাচার চর্চা করা প্রয়োজন-

১.সকলের সাথে বিভিন্ন জিনিস ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হবে। স্বার্থপর আচরণ ত্যাগ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

২.যেকোনো পরিস্থিতিতে সকলের সাথে নম্র, ভদ্র ও সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব প্রদর্শন করতে হবে।

৩. ‘দুঃখিত’, ‘অনুগ্রহ করে’, ‘ধন্যবাদ’- ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার করা জানতে হবে। প্রতিদিন প্রয়োজনভেদে এসব শব্দ ব্যবহার করতে হবে। ভালো কাজ করতে দেখলে প্রশংসা ও অনুপ্রাণিত করার অভ্যাস গড়তে হবে। 

বিজ্ঞাপন

৪.অন্যের জিনিস ব্যবহার করা আগে অবশ্যই তাদের থেকে অনুমতি নিয়ে নিতে হবে। এসব জিনিস ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকতে হবে।

৫. প্রতিটি কাজে আত্মনির্ভরশীল ও দায়িত্ববান হওয়ার চর্চা করতে হবে।

৬.গুরুজনদের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে। শিক্ষক, অভিভাবক, বৃদ্ধসহ বয়সে বড় সকলের সাথেই নম্র আচরণ করতে হবে।

৭. বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য লোকালয়ের পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবসময় পরিষ্কার থাকতে হবে এবং আশেপাশেও পরিষ্কার রাখতে হবে। 

৮. সবসময় সুন্দর ভাষায় কথা বলতে হবে। অসম্মানজনক ও আক্রমণাত্মক শব্দ ব্যবহার করে কথা বলা যাবে না। বড়দের সাথে নিচু গলায় কথা বলতে হবে। চিৎকার চেঁচামেচি পরিহার করা উচিত। 

৯.যানবাহনে চড়ে যাতায়াতের সময় বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষদের জন্য আসন ছেড়ে দিতে হবে।   

তথ্যসূত্র: টপার্স.কম