শীতে ঠোঁট ফাটছে বেশি?
স্বাভাবিক নিয়মেই শীতে ঠোঁট ফাটবে।
শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় শরীরের বিভিন্ন স্থানের ত্বক আর্দ্রতা হারায়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে। কিন্তু শরীরের অন্যান্য স্থানের তুলনায় ঠোঁটের পার্থক্য হলও, ঠোঁটের ত্বকে কোন তেল-গ্রন্থি নেই। ফলে ঠোঁটের শুষ্কতা দেখা দিলেই ঠোঁটের চামড়া ফেটে যায় অনেক বেশি।
ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দেওয়ার ফলে চেহারার স্বাভাবিক সৌন্দর্য অনেকটাই ঢাকা পরে যায়। এমনকি অনেক সময় ঠোঁটের শুষ্কতা থেকে ইনফেকশনের সমস্যাও দেখা দিয়ে থাকে।
ঠোঁটের এই শুষ্কতাকে কাবু করতে এবং পুরো শীত জুড়ে সুন্দর ঠোঁট পেতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে উপকারী কয়েকটি উপাদান।
মধু ও ভ্যাসলিন
শুধু মধু কিংবা ভ্যাসলিন আলাদা আলাদাভাবে ব্যবহার না করে দুইটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। মধুতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ঠোঁটের যেকোনো ধরণের ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে। অন্যদিকে ভ্য্যাসলিন ঠোঁটকে বাইরের ঠাণ্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে ঠোঁটের ত্বক থাকে সুরক্ষিত।
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা পাতার জেলকে বলা হয়ে থাকে সর্বোৎকৃষ্ট ‘হিলিং প্রপার্টিজ’, যা খুব দ্রুত ত্বকের ক্ষতি ও ক্ষয়কে সারিয়ে তুলতে কাজ করে। ফেটে যাওয়া ঠোঁটের ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা পাতার জেল খুবই ভালো কাজ করবে। এই জেল একইসাথে ঠোঁটের মরা চামড়াকে দূর করবে এবং ঠোঁট ফাটা বন্ধ করবে।
গ্রিন টির ব্যাগ
ফাটা ঠোঁটের যত্নে গ্রিন টি ব্যাগ খুবই উপকারী। ব্যবহৃত ঠাণ্ডা গ্রিন টির ব্যাগ ঠোঁটের উপরে ৫-৬ মিনিট হালকা চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হবে। প্রতিদিন ২ ভার এইভাবে গ্রিন টির ব্যাগ ব্যবহারে ঠোঁটের সমস্যা কমে যাবে অনেকটা।
গোলাপজল ও গ্লিসারিন
দুইটি উপাদানই আলাদাভাবে ত্বকের জন্য উপকারিতা বহন করে। তবে শীতে ত্বকের যত্নের জন্য দুইটি উপাদান সমানভাবে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এই দুইটি উপাদানের মিশ্রণ রাতে ঠোঁটে ম্যাসাজ করে পরদিন সকালে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।