ব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকুন
সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে বিশ্রাম, খাওয়া-দাওয়ার মতো কিছু বিষয় সরাসরি জড়িত থাকে। এসবে বিশেষ নজর না রাখলে শরীর ঠিকমতো চলে না। তবে ব্যস্ততার কারণে অনেকেই শরীরের যত্ন নিতে পারেন না। সময়ের যত অভাবই হোক, কাজের মধ্যেও কিছু অভ্যাস ঠিক রাখতে হবে। ব্যস্ত জীবনেও সুস্থ থাকার কিছু টিপস দিয়েছেন ভারতীয় ডাক্তার সরোজ গুপ্তা:
১. ঘুমের গুরুত্ব: দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি সময় শরীর কাজ করে। তাই শক্তি ধরে রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। ব্যস্ত জীবনেও সুস্থ থাকতে চাইলে, ঘুমকে প্রাধান্য দিতে হবে। এক্ষেত্রে, ঘরে ঘুমের আবেশ তৈরি করে নিতে পারেন। যেমন, শোবার ঘরে নীল বাতি জ্বালালে ঘুম ভালো হয়।
২.সুস্থতার খেয়াল: অতীতে যেসব রোগ আপনার ছিল বা এখনো আছে, তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো ঔষধ খাওয়া, টিকা নেওয়া বা ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা মনে করানোর জন্য রিমাইন্ডার অ্যাপ সেট করতে পারেন। আবার কিছু অ্যাপের সাহায্যে রক্তচাপ, হার্টবিটের অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে। সাবধান থাকতে সেসবও ব্যবহার করতে পারেন।
৩. খাদ্যতালিকা: আমরা যা খাই সেই অনুযায়ী আমাদের শরীর চলে। তাই, প্রতিদিন স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। শরীর অনুযায়ী খাদ্য উপাদানের ঘাটতি ভিন্ন হতে পারে। বাজার করার সময় তাই পুষ্টি উপাদান অনুযায়ী উপাদান কিনতে হবে। এছাড়া, সুস্থ থাকার চাবিকাঠি পানি। প্রতিদিন সর্বনিম্ন মাত্রা বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময় পর পর পানি খান।
৪. শখ: কাজে ব্যস্ত হয়ে শখের কাজগুলো চালিয়ে যান। এতে জীবন বিষাদময় হবে না। বিনোদনের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি মনের খোড়াক পূরণ হবে। সখে সময় দিলে মস্তিষ্কও বিশ্রাম পায়।
৫.শান্তি বজায়: প্রতিদিন ৫ মিনিটের জন্য হলেও মনকে শান্ত করার পদক্ষেপ নিন। যেমন, ধ্যান করুন বা শান্ত পরিবেশের সুর ও গান শুনতে পারেন। এতে মন শান্ত হবে এবং মানসিক জটিলতা কমবে।
৬.প্রকৃতির ছোঁয়া: বিজ্ঞানের মতে-মুক্ত আলো, সতেজ বাতাস ও প্রাকৃতিক দৃশ্য মনকে উজ্জীবিত রাখে। প্রকৃতির কাছাকাছি থাকলে বিষাদভাব ও ক্লান্তি কেটে যায়। তাই সুযোগ পেলে বাইরে হাটাহাটি করুন। ছুটির দিনে ভ্রমণে বা হাইকিং করতে যান।
তথ্যসূত্র: টাইমস্ অফ ইন্ডিয়া