জীবনে ভালো সঙ্গের প্রভাব
প্রচলিত রয়েছে,‘সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।’ আমরা সবসময়ই নিজের আশেপাশের পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হই। তাই আমরা যাদের সাথে মেলামেশা করি আমাদের ব্যক্তিত্বে তাদের একটা প্রভাব পড়ে। সবসময় চারপাশে ইতিবাচক প্রভাব বিরাজ করলে, তা নিজের জন্যই ভালো।
সবার কাছে ‘ভালো মানুষ’-এর দৃষ্টান্ত একরকম নয়। মানুষ একে অপরের থেকে সবসময়ই ভিন্ন হয়। সকলের সাথে চিন্তা-ভাবনা, পছন্দ-অপছন্দ নাও মিলতে পারে। আপনার জন্য যে মানুষগুলো ভালো, তাদের খুঁজে বের করুন। সেজন্য নিজেকেও ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা প্রদর্শন করতে হবে।
১.ইতিবাচক মানসিকতার মানুষ আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। ফলে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। তাই, বেশিরভাগ সময় কাটানোর সঙ্গী আমাদেরই বেছে নিতে হবে।
২.জীবনে স্মার্ট সিদ্ধান্ত নিতে তারা সাহায্য করে।
৩.সঙ্গের কারণে মানুষের চিন্তাভাবনাকেও প্রভাবিত হয়। ভালো মানুষের প্রভাবে, হঠাৎ করেই কোনো ব্যক্তিকে বিচার করা থেকে বিরত থাকতে পারেন । এসব পদক্ষেপের কারণে নিজেও ভাল বোধ করবেন।
৪.তারা আপনাকে নমনীয় ব্যক্তিত্বের হতে সাহায্য করে। দৈনন্দিন জীবনে শিষ্টাচারের প্রভাব বাড়ে।
৫.ভালো মানুষ আপনাকে ভালো কাজ করতে উৎসাহিত করবে। সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করার চর্চা করতে পারবেন।
তবে সবার আগে নিজেকেই একজন ভালো মানুষ হতে হবে। যেন, একজন ভালো সঙ্গী হয়ে অন্যদেরও প্রভাবিত করতে পারেন। তাই, অন্যদের জন্য ভাল চিন্তা করুন। সহানুভূতিশীল মানসিকতা বজায় রাখা নিজেকে উন্নত মানুষে রূপান্তর করুন। এই চিন্তাধারা অনুশীলনের মাধ্যমে সদয় মনোযোগ রক্ষা করা সম্ভব। অপরিচিত ব্যক্তিদের সাথেও ভালো ব্যবহার করুন।
যাদের পছন্দ করেন না, তাদের সাথে সম্পর্ক না রাখাই ভালো। নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মানুষদের এড়িয়ে চলুন। আপনার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করে তাদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখুন। যারা আপনাকে পছন্দ করেন না, তারা আপনাকে দুর্বল করে ফেলে। আপনার ব্যক্তিত্ব এবং মানসিক শান্তিকে প্রভাবিত করতে পারে।
তথ্যসূত্র:হফ নিউজ