গর্ভাবস্থায় মিষ্টি খাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গর্ভধারণ করার পর মিষ্টি খাওয়ার সাধ বেড়ে যায়

গর্ভধারণ করার পর মিষ্টি খাওয়ার সাধ বেড়ে যায়

গর্ভবতী অবস্থায় নারীদের খাদ্যাভ্যাস অনেকটা পরিবর্তন হয়ে যায়। বিভিন্ন স্বাদের খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে তখন। অনেকের গর্ভধারণ করার পর মিষ্টি খাওয়ার সাধ বেড়ে যায়। হরমোন পরিবর্তনের লক্ষণ এটি। এছাড়াও, ভিটামিনের অভাবের কারণেও এমন হতে পারে। সাধারণত শরীরে ওপিওইডস ও ডোপামিনের প্রবাহের সাথে আবেগ নির্ভরতার কারণে এমন হয়।

এই অনুভূতির কারণে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাড়ে। এই অভ্যাস একদমই ভালো নয়। ভারতীয় চিকিৎসক এবং নিউট্রেশনিস্ট রোহিনী পাটিল, এর সমাধান দিয়েছেন। জেনে নিন, গর্ভবতীদের মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস কমানোর উপায়-

বিজ্ঞাপন

১.গর্ভকালীন খাবার: এ সময় খাবারের সুষমতা নিশ্চিত করতে হবে। আমিষ, শষ্যজাতীয় খাবার, ফল ও সবজি ইত্যাদি খাবার খেতে হবে। এতে রক্তে চিনির ভারসাম্য যথাযথ থাকবে। ফলে শিশুর বৃদ্ধি ভালোভাবে হবে এবং অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা জাগবে না।

২.পানিগ্রহণ: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এতে, প্রকৃত ক্ষুধা এবং অপ্রয়োজনীয় মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতার মধ্যে পার্থক্য থাকবে।

৩. আমিষের আধিক্য: বেশি করে আমিষজাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন- চর্বিহীন মাংস, চিজ বা হুমাস। এসব মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছাকে কমিয়ে দেয়।          

৪. নাস্তা: রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঝে মাঝে নাস্তাজাতীয় খাবার খান। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিন। পছন্দ অনুযায়ী হাল্কা খাবার এবং নাস্তা গ্রহণ করুন।

মিষ্টির বদলে হাল্কা খাবার এবং নাস্তা 

৫. বিকল্প: মিষ্টির চাহিদা মেটাতে কিছু স্বাস্থ্যকর মিষ্টিজাতীয় নাস্তা খেতে পারেন। যেমন- গ্রিক দই, বাদাম বা তাজা ফল। এতে ইচ্ছাও পূরণ হবে, শরীরে পুষ্টিও আসবে।

৬. ইচ্ছাপূরণ: নিজের ইচ্ছাপূরণ করতে অল্প পরিমাণে মিষ্টি খেতে পারেন। তবে তা অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত মাত্রায়।

এসব ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিন। যথেষ্ট পরিমাণে ঘুম হলে হরমোন স্বাভাবিক থাকে। এতে মিষ্টি খাওয়ার অতিরিক্ত ইচ্ছা জাগে না।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮