জেনে নিন ঘুমানোর সময় মোজা ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অনেকেই ঘুমানোর সময় পা উষ্ণ রাখতে মোজা পরেন

অনেকেই ঘুমানোর সময় পা উষ্ণ রাখতে মোজা পরেন

অনেকেই ঘুমানোর সময় পা উষ্ণ রাখতে পছন্দ করেন। এজন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হলো মোজা পরে নেওয়া। ব্যক্তিগত পছন্দের ভিত্তিতে, ঘুমের সময় মোজা বেছে নিতে পারেন। যেমন- লম্বা বা খাটো, পুরু বা পাতলা, সাদামাটা বা রঙের প্যাটার্নে। তবে এর মূল লক্ষ্য় হলো, আরামদায়ক এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় ঘুম।

তবে রাতে মোজা পড়ে ঘুমানোর সুবিধা-অসুবিধা, দু’টোই আছে। সেগুলো জেনে নিন-

বিজ্ঞাপন

সুবিধাসমূহ

১. রাতে ঘুমানোর আগে মোজা পরলে দ্রুত ঘুম চলে আসে। ২০০৭ সালে এই নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়। সেখানে দেখা গেছে- যারা মোজা পরে ঘুমান, তারা বেশি ঘুমাতে পারেন। মোজা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। নিয়মিত ঘুমানোর সময় মোজা পড়লে, ভাসোডিলেশন নামক প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয়। এর মাধ্যমে রক্তনালী প্রশস্ত হয়। শরীর তাপ ছাড়তে থাকে এবং এসময় মস্তিষ্ক সতর্ক হয়।

বিজ্ঞাপন

২. মোজা পা এবং আঙ্গুলের রক্তনালীকে উষ্ণ রাখে। রায়নাউডের মতো রোগে আক্রান্তদের জন্য এই অভ্যাস উপকারী। এছাড়া রোজ রাতে মোজা এবং ময়েশ্চারাইজার দু’য়ের ব্যবহারই ভালো। এতে পা মসৃণ এবং হাইড্রেটেড থাকে। গোড়ালি ফাটার মতো সমস্যা কমে।


পছন্দ অনুযায়ী সাদামাটা বা রঙিন মোজা

অসুবিধাসমূহ:

১. রাতে মোজা পরার সুবিধা যেমন আছে, অসুবিধাও আছে। এই অভ্যাস গা অতিরিক্ত গরম করতে পারে। বিশেষ করে মোজা সিন্থেটিক বা অতিরিক্ত মোটা কাপড়ের হলে সমস্যা দেখা যায়। অত্যধিক ঘামে ত্বকে অস্বস্তি এবং ঘুমে ব্যাঘাত করতে পারে।

২. নোংরা বা দু্র্গন্ধযুক্ত মোজা, ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। জীবাণু এবং গন্ধ এড়াতে মোজা ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখুন। নিয়মিত সেগুলো পরিবর্তন করে পরুন।  

শেষ কথা:

তুলা বা উলের মতো প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরি মোজা ব্যবহার করুন। এগুলো নরম হওয়ায় পায়ে আরাম লাগে। তাছাড়া, বাজে গন্ধে জমে শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা তৈরি করেনা। নাইলন বা পলিয়েস্টারের মতো সিন্থেটিক কাপড়ের মোজা বর্জন করুন। কারণ, এতে তাপ এবং আর্দ্রতা আটকে রাখে। ফলে, সংক্রমণ বা অ্যালার্জির সম্ভাবনা বাড়ে। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে মোজার মাপের দিকে। খুব বেশি আলগা বা টাইট না হয়।

তথ্যসূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া