দুধের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধিকারী ৫টি উপাদান
এক গ্লাস দুধ-পুষ্টিতে পরিপূর্ণ একটি খাদ্য উপাদান। তবে এর সাথে আরও কিছু উপাদান মিশিয়ে এর গুণাগুণ অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলা যায়। এতে দুধের পুষ্টিমানের উন্নত করে, এক শক্তিশালী পানীয় তৈরি করা যায়। ফলে সাধারণ স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। জেনে নিন ৫টি এমন উপাদানের নাম, যা প্রতিদিন দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন:
দারুচিনি: প্রতিদিন দুধে এক চিমটি দারুচিনির গুড়ো যোগ করতে পারেন। এতে এর স্বাদ উন্নত করার পাশাপাশি, বেশ কিছু স্বাস্থ্য সুবিধাও লাভ করতে পারবেন। দারুচিনি প্রদাহ কমায়। তাছাড়া, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। অনেকে গন্ধের কারণে দুধ খেতে পারেনা। দারুচুনর কারণে একটি সুন্দর সুগন্ধও তৈরি করা যায়।
চিয়া বীজ: দুধের সাথে চিয়া বীজ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। এটি বেশ কার্যকারী উপাদান যা শক্তিশালী প্রভাব বিস্তার করতে পারে। চিয়া বীজ ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ। দুধের সাথে চিয়া বীজের মিশ্রণ শরীরে অতিরিক্ত শক্তি প্রদান করে। হার্টের স্বাস্থ্যেও চিয়াবীজ অনেক উপকারী প্রভাব বিস্তার করে।
মধু: দুধে এক টেবিল চামচ খাঁটি মধু সুস্বাদুতা বাড়িয়ে তোলে। এতে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে। গলার জ্বালাভাব দূর করার গুণ রয়েছে মধুতে। দুধের সাথে মধুর মিশ্রণটি যেমন সুস্বাদু, তেমন পুষ্টিকর।
হলুদ: এক গ্লাস দুধে এক চিমটি পরিমাণ হলুদ গুড়ো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হলুদের সক্রিয় উপাদান কারকিউমিনের প্রভাবে দুধে একটি সোনালী আভা আনে। স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এই পানীয়। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলীর কারণে হলুদ সুপরিচিত। রোগ প্রতিরোধে কার্যকারিতার পাশাপাশি, সাধারণ সুস্থতা বজায় রাখতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে হলুদ-দুধ।
বাদামের মাখন বা আমন্ড বাটার: দুধে এক চা চামচ কাঠবাদামের মাখন মিশিয়ে খেলে দুধের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিতে পরিপূর্ণ আমন্ড বাটার। প্রতিদিন আমন্ড বাটার খেলে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে। এতে দীর্ঘস্থায়ী জীবনীশক্তি পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া