শীতকালীন চুলের যত্নের টিপস
শীতকালে চুলের কোনো সমস্যা হয়না-এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সব ধরনের চুলেই শীতে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। কঠোর আবহাওয়ার কারণে রুক্ষতা, খুশকি, চুল পড়ার মতো অনেক সমস্যা বাড়ে। সমস্যা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ না নিলে, চুলের ক্ষতি আরও বাড়তে পারে। ত্বকের মতোই চুলকেও কোমল ও সুস্থ থাকার জন্য ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা প্রয়োজন। আর্কটিক বাতাস, উইপিং বাতাস, স্ট্যাটিক ইলেক্ট্রিসিটি এবং এমনকি ঘরের ভিতরের তাপও চুলের ক্ষতি করে। তাই জেনে নিন কিছু টিপস:
১.টুপি: শুষ্ক বাতাস চুলকে রুক্ষ করে দিতে পারে। তাই শীতের মাসগুলোতে বাইরে যাওয়ার সময় চুল ঢেকে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। উল, তুলা এবং অন্য কাপড়ের টুপি ব্যবহার করলে চুল ভাঙতে পারে। তাই ক্ষতি রোধ করতে আপনার টুপিকে রেশম বা সাটিন কাপড়ের টুপি ব্যবহার করুন। চুলের ঘষায় বিদ্যুৎ উৎপন্ন হওয়া রোধ করতে কিছুটা তেল স্প্রে করে নেবেন।
২.হিউমিডিফায়ার: চুলের শুষ্কতা রোধ করতে চাইলে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন। কারণ, ঘরের ভেতর গরম করার ফলে বাতাস খুব শুষ্ক হয়। এতে চুল থেকে আর্দ্রতা বের হয়ে যায়।
৩. চুল কাটা: প্রতি ৪ থেকে ৮ সপ্তাহে একবার চুল ছাঁটলে চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। শুষ্ক, আগা চেরা কমাতে নীচের অংশে আধা ইঞ্চি কাটবেন।
৪.গোসল: গোসলের সময় বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের আর্দ্রতা কমে যায়। এতে চুল ভঙ্গুর হয় এবং ভাঙ্গার ঝুঁকিতে থাকে। শীতে সাওয়ারের পানি অনেক বেশি ঠান্ডা থাকে। তাই হালকা গরম জল দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিন। এরপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
৫. হিট স্টাইলিং: তাপ ব্যবহার করে চুল স্টাইল করা এড়িয়ে চলুন। ব্লো ড্রাইং চুল থেকে আর্দ্রতা টেনে নেয়। ফলে ভাঙার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাপমুক্ত শুষ্ক চুল চকচকে এবং স্বাস্থ্যকর থাকে। শীতে চুল স্ট্রেইট বা কার্ল করা থেকে বিরত থাকুন। টুইস্ট, ব্রেইড এবং বান-এর মতো নতুন হেয়ারস্টাইল ট্রাই করুন।
৬.ভেজা চুলে বের হওয়া: শুষ্ক চুলের চেয়েও বেশি ক্ষতি করে ভেজা চুল। তাই বার বার চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুন। শীতকালে ভেজা মাথায় বাইরে হাঁটলে চুল জমে যেতে পারে এবং ভেঙে যেতে পারে। বাতাসে চুল শুকানো সবচেয়ে ভাল।
৭.তেল: প্রতিদিন চুলে তেলের ব্যবহারের মাধ্যমে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনা যায়। শুষ্ক, ক্ষতিগ্রস্ত চুলকে তাৎক্ষণিকভাবে পুনরুজ্জীবিত করে তেল। আরগান তেলের সাথে হালকা লিভ-ইন ফর্মুলা ব্যবহার করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: হেয়ার ক্লাব