সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরত্ব তৈরি করবেন যেভাবে

  • লাইফস্টাইল প্রতিবেদক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্ত প্রজন্ম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্ত প্রজন্ম

বিখ্যাত পপ-স্টার সেলেনা গোমেজ, কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা দেন। তবে, প্রায় ১৮ ঘণ্টা পরই তাকে আবার ইনস্টাগ্রামে দেখা যায়। একটা সম্পূর্ণ দিনও তিনি নিজের কথা রাখতে পারলেন না। এটিই প্রথমবার নয়! সেলেনা কয়েক দফায় এরকম ঘোষণা দিয়েছেন এবং প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছেন। এই নিয়ে নেটিজেনদের হাসির পাত্রী হয়েছেন গায়িকা। তবে, একটু খেয়াল করলেই দেখা যায়, এখনকার অধিকাংশ মানুষের অবস্থায় এমন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্ত হয়ে তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট করছে। এই বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না।  বের হয়ে আসতে চাইলেও অনেক কস্ট হচ্ছে।    

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে নিজেকে দূরে রাখা কঠিন হতে পারে, তবে এটি অসম্ভব নয়। এই আসক্তি থেকে বের হওয়ার উপায় ব্যাখ্যা করেছেন ডাক্তার বিশেষ কাসলিওয়াল। 

বিজ্ঞাপন

সীমা নির্ধারণ: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় ব্যয় করার অভ্যাস ভাঙ্গার একটি সহজ উপায় রয়েছে। সেটি হল, প্রতিদিন কত সময় ব্যয় করেন তা সীমিত করা। ফোনের একটি অপশনে দেখা যায়, কোন অ্যাপে কতটা সময় আপনি কাটাচ্ছেন। সময় নির্দিষ্ট করতে টাইমার বা রিমাইন্ডার অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় ব্যয় করার ব্যাপারে সচেতন হতে পারবেন।

অ্যাপ আনইন্সটল: অনেক বেশি আসক্তি তৈরি হলে, অনেকে চেষ্টা করেও ব্যবহারের সময় কমাতে পারেন না। সেক্ষেত্রে মোবাইল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপগুলি মুছে ফেলুন। এসবের প্রয়োজনীতা কতটা- সেই সম্পর্কে নিজেই নিজেকে বোঝান। খুব বেশি প্রয়োজন হলে আবার ইন্সটল করে নিন।

সোস্যাল মিডিয়া আসক্তি

নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম থেকে বিরতি: অ্যাপ আনইন্সটল করার বিকল্প হল কিছুদিনের জন্য বিরতি নেওয়া। কোনো একটি বিশেষ অ্যাপে বেশি সময় কাটালে, সেই প্লাটফর্ম থেকে বিরতি নেওয়ার চেষ্টা করুন। 

বিকল্পভাবে সময় কাটান: শুয়ে-বসে মোবাইল স্ক্রল করার পরিবর্তে অন্য কিছু করার চেষ্টা করুন। বেড়াতে যাওয়া, বই পড়া বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো ইত্যাদি। মোবাইলের পর্দার দিকে তাকানো- এড়ানো যায়, এমন যেকোনো কিছু করে সময় কাটান। এতে নিজের নতুন কিছু শখও আবিষ্কার করতে পারবেন।

বাস্তববাদীতা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বাস্তব জীবনে আসলে কতটা লাভ হচ্ছে? এসব থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সময় নিজেকে এই প্রশ্ন করুন। এতে বাস্তববাদী হওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বুঝতে পারবেন।

 

 তথ্যসূত্র: বাফার