কিডনিতে যেসব রোগ হয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বৃক্কের অস্বাভাবিকতায় হতে পারে গুরুতর শারীরিক সমস্যা

বৃক্কের অস্বাভাবিকতায় হতে পারে গুরুতর শারীরিক সমস্যা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিনিয়ত বৃক্ক রক্ত পরিশোষণের কাজ করে চলেছে। এভাবে গ্রহণ করা খাবার থেকে টক্সিন, বর্জ্য এবং অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়। এতে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলতে থাকে। কিন্তু বৃক্কে কোনরকম সমস্যা বা রোগের কারণে অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে রক্ত পরিষ্কার করণ কাজে ব্যাঘাত ঘটে। এতে শরীর থেকে বর্জ্য বের না হওয়ায়, তা শরীরেই জমতে শুরু করে। এতে শরীরে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই কিডনির সুস্থতা এবং রোগের সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কিডনি বা বৃক্ক রোগ নানা ধরণের হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কিডনিতে কি কি রোগ হতে পারে-

স্থায়ী সমস্যা: সাধারণত রোগীদের কিডনি বিকল হয়ে যেতে দেখা যায় সবচেয়ে বেশি। যার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনির উপর চাপ পরতে পারে।  যা রক্ত পরিশোষণকারী ইউনিট গ্লোমেরুলিকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। তখন রক্ত পরিশোষণের কাজ ভালোমতো করতে পারে। ডায়বেটিসের মতো রোগের কারণেও কিডনির উপর চাপ পড়ে। এভাবে একসময় কিডনি রক্ত ছাঁকার কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। কিডনি বিকল হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়। এটি খুব ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া।

পলিসিস্টিক: কিডনিতে ছোট কিছু একক সিস্ট থাকে। যা কোনো রকম ক্ষতি করে না। তবে, অনেকগুলো সিস্টের সম্মিলিত আকার, পলিস্টিক রোগের সৃষ্টি করতে পারে। এটি একটি গুরুতর কিডনি সমস্যা। এতে কিডনির ভেতরে বা উপরে গোলাকার তরল থলি উৎপন্ন হয়। এগুলো কিডনির কার্যকারিতায় হস্তক্ষেপ করে।   

  

কিডনিতে পাথর হওয়া রোগ

কিডনির পাথর: আরেকটি বৃক্করোগে আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা অনেক বেশি। তা হলো, কিডনিতে পাথর হওয়া। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে বা সংক্রমণের ফলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। রক্ত পরিশোষণের সময় খনিজ পদার্থগুলো বৃক্ক ছেঁকে রাখে। এধরণের পদার্থ জমে জমে কঠিন আকার ধারণ করতে শুরু করে। অনেক সময় এই পাথর আকারের পদার্থগুলো মূত্রে সাথে বেরিয়ে আসে। এতে অনেক ব্যথা এবং অস্বস্তি অনুভব হয়।  এছাড়াও এসব পাথর দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে।  

মূত্রনালী সংক্রমণ: মূত্রথলির সাথে সম্পর্কিত যেকোনো স্থানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে এই রোগ হয়। সাধারণত মূত্রাশয় এবং মূত্রনালীতে সমস্যা হতে বেশি দেখা যায়। অধিকাংশ রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। তবে, এসব রোগ অবহেলার কারণে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হতে পারে। এমনকি কিডনিতে ছড়িয়ে কিডনি বিকল করে ফেলতেও পারে।

গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস: গ্লোমেরুলি কিডনির ক্ষুদ্র একক অংশ, যা রক্ত ছেঁকার কাজ করে। বিভিন্ন সংক্রমণ, ঔষধ, জন্মগত রোগ বা সমস্যার কারণে এই অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এইরকম সমস্যার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের মতামত নিতে হবে।  

তথ্যসূত্র:হেলথ্ লাইন    

গর্ভাবস্থায় কেশরের উপকারী প্রভাব



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কেশর / ছবি: সংগহীত

কেশর / ছবি: সংগহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গর্ভাবস্থায় একজন নারীর সর্বোচ্চ যত্ন প্রয়োজন। কারণ তার মধ্যেই বেড়ে ওঠে আরেকটি প্রাণ, যার পুষ্টির যোগান আসে মায়ের থেকেই। তাই এই সময় মায়ের জন্য পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হয়।

আমাদের সংস্কৃতিতে অনেক আগে থেকেই কেশর দুধ পানের একটি প্রচলন ছিল। যদিও তার সাথে কিছুটা ভ্রান্ত ধারণা যুক্ত ছিল। আগের দিনে মা-খালারা বলতেন কেশন দুধ পান কররে নবজাতকের গায়ের রঙ ফর্সা হবে। যদিও এই ধারণা সঠিক নয়। তবুও কেশর দুধের নানা উপকার তো রয়েছেই।    

অনেক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এই সময় কেশর বা জাফরান খাওয়ার পরামর্শ দেন। কেশরের উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন, ভারতীয় চিকিৎক সুরভী সিদ্ধার্থ। তিনি বলেন,‘ কেশর প্রাকৃতিক এন্টিঅক্সিডেন্টেস এর বেশ ভালো একটি উৎস। এছাড়া গর্ভকালীন প্রদাহ দূর করার ক্ষমতার কারণে, কেশর মাতৃত্বকালীন সময়ের অত্যবশ্যকীয় খাদ্যতালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়।’ তিনি আরও বলেন,‘শিশুর ত্বকের রঙ জেনেটিকভাবেই নির্ধারিত হয়। গর্ভবতী মা কি খাচ্ছেন বা না খাচ্ছেন এতে শিশুর বাহ্যিক রূপে প্রভাব পড়ে না।’

অন্য এক চিকিৎসক রাধিকা কলপাথারু জানান, কেশর হজমের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। গর্ভকালে হজমের ক্ষমতা এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই দুধ বা দইতে কেশর মিশিয়ে পান করলে বা খেলে উপকার পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাতেও কেশর উপকারী হতে পারে।

কেশর / ছবি: সংগহীত

এছাড়াও, কেশরে অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট উপাদানও থাকে। এই কারণে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং উদ্বেগ কমানোর ক্ষেত্রেও কেশর প্রভাব ফেলে। ফলে মায়ের উপর মানসিক চাপ কম পড়ে। গর্ভধারণের প্রথম দিকে (৩ মাস) নানাবিধ স্বাস্‌থ্য সমস্যার প্রকোপ দেখা যেতে পারে। কেশর খাওয়ায় সেইসব সমস্যা সীমিত হয়।

এছাড়াও শিশু যখন বাড়তে থাকে তখন, মায়ের শরীরের পেশি প্রসারিত হয়। প্রাকৃতিকভাবে নারী শরীরের এই সামঞ্জস্য রাখার প্রক্রিয়া চলে, যেন শিশু বেড়ে ওঠার জায়গা পায়। এই প্রক্রিয়া বেশ ব্যথাদায়ক, বিশেষ করে পেট- পাকস্থলী, পা, পিঠ- এসব স্থানে। কেশর এই ব্যথাকে প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে।

হবু মায়েদের অনেকে রক্তশূন্যতায় ভোগেন বলে চিকিৎকরা আয়রন সমদ্ধ খাবার খেতে বলেন। প্রতিদিন কিছু পরিমাণে কেশর খেলে আয়রন এবং হিমোগ্লেবিন মাত্রা বিপদহীন মাত্রায় থাকে। শুধু তাই নয়, ভালো মেজাজে ঘুম এবং ত্বকের নানারকম সমস্যাও দূর হয় প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে কেশর দুধ খেলে।

এসব মন্তব্যে সহমত প্রকাশ করেছেন ডা.সুরভীও। তবে কেশরের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে, যা তিনি উল্লেখ করেছেন। কিছু মায়েদের বেলায় কেশর খাওয়ার পর বমি বমি ভাব হয় এবং উদ্বেগ বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, সমস্যা গুরুতর হলে নাক দিয়ে রক্তপাতও হতে পারে। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যেকোনো কিছু গ্রহণ করা উচিত।    

;

মানসিকভাবে কম বিকশিত শিশুদের ভবিষ্যতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্ট্রোক / ছবি: সংগৃহীত

স্ট্রোক / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশুরা ছোট ছোট কাজে মন দিতে পারছে না, নতুন জিনিস শিখতে পারছে না- এরকম সমস্যা হয়তো অনেক শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। বয়স কম বলে হয়তো অসেক বাবা মাই এসব ব্যাপারে অতোটা গুরুত্ব দেন না। তবে, ছোটবেলার এসব লক্ষণই হয়তো দ্রুত স্ট্রোক করার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। সম্প্রতি একটি গবেষণার প্রকাশ করা ফলাফলের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

‘জার্নাল অব এপিডেমিওলজি এন্ড কমিউনিটি হেলথ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই গবেষণার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে; যেখানে বলা হয়, ৫০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যেও স্ট্রোক করার ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে মানসিকভাবে অদক্ষ শিশুদের হৃদরোগ এবং মেটাবলিজম সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি বেশি। হেব্রু ইউনিভার্সিটির কিছু বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে ১৬ থেকে ২০ বছর বয়েসি ১৭.৪ লাখ ইহুদিদের সামরিক পরিষেবা প্রদানের আগে তাদের উপর এই গবেষণা করা হয়।

তাদের ওজন, রক্তচাপ, ডায়াবেটিকের স্থিতি এবং শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক বিষয় বিবেচনা করে এই পরীক্ষা করা হয়। সেখানে তাদের মানসিক ক্ষমতা যাচাই করা হয়, বিশেষ করে একাগ্রতা, যুক্তি এবং সমস্যা সমাধান।

১৯৮৭ এবং ২০১২ সাল মধ্যবর্তী সামরিক তথ্যের রেকর্ড মূল্যায়ন করে ইসরায়েল তাদের পুরো দেশে স্ট্রোক আর ডাটাবেসে আক্রান্ত রোগীর সাথে তুলনা করে। এই রিপোর্টিং ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল এবং সব সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য রীতিমতো বাধ্য করা হয়েছিল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত, গবেষণার অংশে থাকা প্রতিটি ব্যক্তির প্রথমবার স্ট্রোক হওয়া বা মৃত্যুর তথ্যকে বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা সম্পন্ন করা হয়।  

কম থেকে মাঝারি মানসিক ক্ষমতা সম্পন্ন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে (বুদি্ধমত্তা বা আইকিউ ১১৮ পর্যন্ত) স্ট্রোক করার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। এরা ৫০ বছর বয়সে পরিণত হওয়ার আগেই প্রথম স্ট্রোকের সম্মুখীন হয়েছেন। উচ্চ আইকিউ অর্থাৎ, ১১৮ এর বেশি তাদের চেয়ে ২.৫ গুণ বেশি স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা।

২০১৪ থেকে ১৮ সাল, এই ৫ বছরে মোট ৯০৮ টি স্ট্রোকের তথ্য পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে ৭৬৭ জন রক্ত ​​জমাট বাঁধার কারণে স্ট্রোক করেন। তাদের মধ্যে শতকরা ৪১ ভাগ ব্যক্তির বয়স অনূর্ধ্ব ৪০ বছর ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এমনকি, মধ্যম আইকিউ সম্পন্ন ব্যক্তিরা অন্তত ২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। আবার, তাদের মধ্যে যাদের কিশোর বয়সে মানসিক বিকাশ কম হয়েছে তাদের ঝুঁকি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি। 

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

ক্যাফেইন পানের কারণে যা হয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কফি / ছবি: সংগৃহীত

কফি / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় কফি খুবই জনপ্রিয়। অনেকে মনে করেন সকালে কফি পান করে দিন শুরু করলে সারাদিন বেশ সতেজতায় কাটে। গরম হোক বা ঠান্ডা, কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন উপাদানের প্রভাবে হরমোনে কিছু পরিবর্তন আসে। ফলে ঘুম ঘুম ভাব কেটে গিয়ে, সতেজ অনুভব হয়। কিন্তু কেন কফি পান করার পর এরকম হয়?

আমাদের ঘুম-জাগরণ চক্র দেহঘড়ি, অর্থাৎ সার্কাডিয়ান রিদমে চলে। কর্টিসল এবং এপিনেফ্রিনের মতো কিছু হরমোন আছে, যার নিঃসরণও এই সার্কাডিয়ান রিদমের অংশ। এই হরমোনগুলোর ইন্দ্রিয়কে সতর্ক এবং একাগ্রচিত্ত হতে সাহায্য করে। কফি এই সার্কাডিয়ান রিদমকে সরাসরি প্রভাবিত করে। যেমন:

১. অ্যাডেনোসিন: কফিতে থাকা ক্যাফেইন মস্তিষ্কের অ্যাডেনোসিন রিসেপ্টরকে আটকে ফেলে। এই অ্যাডেনোসিন মূলত ভালো ঘুমের ক্ষেত্রে সাহায্য করে। এই কারণে কফি পান করলে ঘুম কেটে যায়। এই কারণেই কখনো সন্ধ্যা বা রাতে কফি পান করতে হয় না। তাহলে ঘুম-জাগরণ চক্র ব্যাহত হয়।

২.মেলাটোনিন: সার্কাডিয়ান রিদমকে নিয়ন্ত্রণ করে মেলাটোনিন হরমোন। ক্যাফেইন মেলাটোনিন নিঃসরণে বাধা দেয়। এই কারণে দেখা যায় অনেকে দেরী করে কফি পান করায় রাতে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।

৩. দেহঘড়ি: আমাদের শরীরের কার্যক্রমের ভিত্তিতে দেহঘড়ির সময়সূচি ঠিক করে রাখে। মূলত এই ফাংশন মস্তিষ্কে গড়ে ওঠে। বাহ্যিক কিছু কারণে বাঁধাগ্রস্থ হলে এই ফাংশন বাঁধা পায়। তীব্র আলো, প্রতিদিনের রুটিনে পরিবর্তন সহ কফিও এই বাঁধার কারণ হতে পারে। এই সমস্যা তীব্রতর আকারও ধারণ করতে পারে, যদি ঘুমের প্যাটার্ন এবং নিত্যকর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।

যদিও প্রত্যেকের ক্ষেত্রে এই একইরকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। একেকজনের ক্ষেত্রে কফি পান করার প্রভাব ভিন্নও হতে পারে। তবে কফি পান করার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত হওয়া প্রতিরোধে এই সতর্কতা গুলো অবলম্বন করতে পারেন-

১. ঘুমের সময় বা এর আশে পাশে সময়ে কফি বা ক্যাফিনেটেড কোনো পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকুন।

২. দিনভর অতিরিক্ত মাত্রায় কফি পান করবেন না। বিশেষ করে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর থেকে কফি পানের পরিমাণ কমিয়ে আনুন।

৩. নিজের শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী কফি পানের পরিমাণ নির্ধারণ করুন। কিছু রোগের রোগীকে বা শারীরিক কিছু কারণে চিকিৎসকরা কাউকে কফি কমিয়ে পান করতে বললে, সেই নির্দেশনা মেনে চলুন।

৪. ঘুমানোর সময় কফি পান করবেন না। সম্ভব হলে যে সময় ঘুমাতে যান, তার ৬ ঘণ্টা আগে থেকেই কফি গ্রহণ বন্ধ করুন।

৫. যতই পছন্দ হোক না কেন, অতিরিক্ত মাত্রায় কফি পান এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে কোনো শারীরিক অস্বস্তি হলে অবশ্যই পান করা বন্ধ করে দিন। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়।   

তথ্যসূত্র: বেটারআপ

;

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ড্রাগন ফল। ছবি: সংগৃহীত

ড্রাগন ফল। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেখতে আকর্ষণীয় ও পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল ড্রাগন। এ ফল বিদেশি হলেও এখন দেশেই এর চাষ হচ্ছে। দিনদিন সবার কাছে এ ফল বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে। 

লাল টুকটুকে এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। 

ড্রাগন ফল। ছবি: সংগৃহীত 

পুষ্টি সমৃদ্ধ ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি-র পরিমাণ এতো বেশি থাকে যে, যা একটি কমলা ও তিনটি গাজরে একত্রে পাওয়া যায়। 

ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক উজ্জ্বল করে ও দাঁত সুন্দর করে।

ড্রাগন ফলে রয়েছে লাইকোপিন। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে লাইকোপিন গ্রহণ করলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। তাই স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে প্রতিদিন একটি ড্রাগন ফল গ্রহণ করা উচিত। এছাড়া ড্রাগন ফলে রয়েছে উচ্চমাত্রায় আয়রন, যা আমাদের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সক্ষম। যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তারা যদি প্রতিদিন একটি ড্রাগন ফল খান তাহলে এনিমিয়া থেকে অনেকাংশে দূরে থাকতে পারবেন।

ড্রাগন ফলে রয়েছে পটাশিয়াম যা আমাদের উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে। ড্রাগন ফল খারাপ কোলেস্টেরলকে দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখে এবং ভালো কোলেস্টেরলকে উন্নত করে। ড্রাগন ফলে যেহেতু কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের পরিমাণ কম তাই ডায়াবেটিস রোগীরা অনায়াসে এটি গ্রহণ করতে পারবেন। এতে কোনোরকম সুগার লেভেল ফল করবে না। 

এছাড়াও ড্রাগন ফলে ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। তাই এটি দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়রোধে সহায়তা করে। ড্রাগন ফলে প্রচুর জলীয় অংশ থাকায় এই ফল খেয়ে সুস্থ ও সজীব থাকা যায়। তাই ভিটামিন সি-র চাহিদা পূরণ করার জন্য ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত।

;