কুমড়ো ফুলের বড়া
শীতের কুয়াশা ঘেরা সকালের মিষ্টি রোদ এসে পরে মাটিতে। রোদের আলো গাছে পড়তেই পাতায় থাকা কুয়াশা হীরার মতো চকচক করে ওঠে। গ্রামে মাচার উপর কুমড়ো চাষ করা হয়। শীতকালে গ্রামের মানুষদের মধ্যে একটি রান্না অনেক জনপ্রিয় থাকে। না, কুমড়োর নয়, রান্নাটি কুমড়ো ফুলের। এই ফুলের বড়া খুব মচমচে আর সুস্বাদু হয়। বানানোও খুব সহজ আর ঝামেলাহীন। জেনে নেওয়া যাক, কিভাবে বানাবেন ‘কুমড়ো ফুলের বড়া’-
উপকরণ:
১. আস্ত কুমড়ো ফুল: ৮-১০টি
২. চালের গুড়া: ১/২ কাপ
৩. হলুদ: ১/২ চা চামচ
৪. ময়দা: ১ টেবিল চামচ
৫. লবণ: ১/৪ চা চামচ (স্বাদমতো কম বা বেশি)
৬. তেল: ভাজার জন্য
৭. লাল মরিচ গুড়া: ১/৪ চামচ
৮. গোল মরিচ গুড়ো: ১/৪ চামচ বা ৮টি গোলমরিচ গুড়ো করে নেওয়া
৯. জিরাগুড়া: ১/২ চামচ
১০.কর্ন স্টার্চ: ১ চা চামচ
১১. পানি: ১/৪ কাপ
১২. কালো জিরা: ১ চিমটি
করণীয়:
১. ডাট সহ ফুলের নিচের অংশগুলি কেটে ফেলে দিতে হবে। এরপর ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর অল্প লবণ দিয়ে ফুলগুলো মাখিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণ।
২. চাল গুড়ো করা না থাকলে আধা কাপ আতপ চাল ধুয়ে নিতে হবে। ঝাঁঝরায় চাল বিছিয়ে দিয়ে পানি ঝারিয়ে নিন। পানি ভালোভাবে ঝরে গেলে মিহি করে বেটে নিন বা ব্লেন্ড করুন।
৩. চালের গুড়াতে একে একে ময়দা, কালো জিরা, কর্নস্টার্চ, হলুদ, লালমরিচ, গোলমরিচ, জিরাএকত্র করে নিন। ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তার মধ্যে অল্প অল্প করে পানি ঢেলে মিশ্রণের সাথে মিশিয়ে নিন।
৪. এরপর আস্তফুলগুলো একটি একটি মিশ্রণে চুবিয়ে নিতে হবে। সবগুলো ফুলগুলো একত্রে চালের মিশ্রণে রাখবেন না।
৫. একটি ফ্রায়িং প্যানে তেল দিন। অনেক ডুবো তেলে ভাজা হবে না, আবার একদম কম তেলও দেবেন না। এমন পরিমাণে তেল দিন, যেন একবারে একটি পাশ খুব ভালোভাবে ভাজা যায়। তেল ভালোকরে গরম হলে একে একে চালের গুড়োর মিশ্রণ মাখানো ফুলগুলো তেলে দিতে হবে।
৬. ফুলগুলো একটির সাথে আরেকটা যেন লেগে না যায়, তাই দূরত্ব বজায় রেখে তেলে দিতে হবে। একপাশ ভালো করে ভেজে উল্টে নিতে হবে। নয়তো ফুলগুলো ভেঙে যেতে পারে। বাদামি করে ভেজে নিন। এরপর তেল ছেঁকে ভাজা ফুলগুলো তুলে নিন। গরম গরম কুমড়ো ফুলের বড়া উপভোগ করুন ভাতের সাথে বা পাকোড়া হিসেবে।