ফ্যাক্টরিতে পাউরুটি তৈরির ভিডিও দেখে চোখ চড়কগাছ!
সকালে নাস্তা করতে বসেছেন দুধ, কলা, মাখনের সাথে পাউরুটি নিয়ে। মহানন্দে ছোট-বড় পরিবারের সবাই মিলে খাচ্ছেন রুটি। অধিকাংশ বাড়িতে বাইরে থেকে কিনে আনা রুটিই খাওয়া হয়। তবে কতটা স্বাস্থ্যকর এই রুটি?
ভাত, আলু, রুটি-ইত্যাদি খাবার একটি প্রধান খাদ্য উপাদান সমৃদ্ধ তা হলো শ্বেতসার বা শর্করা। এশিয়ার বেশির ভাগ দেশের মতো আমাদের দেশের খাদ্যেও এই উপাদানেরই আধিক্য থাকে। শ্বেতসারের একটি অন্যতম উপাদান হচ্ছে রুটি। সাধারণত নাস্তা হিসেবে পাউরুটি খাওয়া হয়। কেউ কেউ বাসায় বানালেও, অধিকাংশ মানুষ বাইরে থেকেই কিনে আনে পাউরুটি।
আটার সাথে পানি, চিনি, ডিম, ঘি বা তেল- ইত্যাদি উপাদান মিলিয়ে তাপ দিয়ে তৈরি করা হয় পাউরুটি। বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে এরকম পাউরুটি বানিয়ে প্যাকেটজাত করা হয়। ৫ থেকে ৭ দিন অবধি এইসব রুটির মেয়াদ থাকে। বিভিন্ন দোকানে সেই রুটিগুলো পাঠানো হলে, সাধারণ জনগণ তা কিনে খায়। সকাল বা সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে একটি ভালো খাবার হতে পারে এটি।
তবে বাজার থেকে কিনে আনা খাবারের গুণগত মান নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। ফ্যাক্টরিতে বানানো, পরিচ্ছন্নতা, উপাদানের মান সব নিয়েই থাকে শঙ্কা। এর মধ্যে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেটা দেখার পর সাধারণ জনগণের পাউরুটি খাওয়ায় অভক্তি চলে এসেছে।
একটি ফ্যাক্টরিতে রুটি বানানো হচ্ছে। কর্মচারীরা হাতে ধরেই রুটির জন্য আটা বা ময়দা তুলে নিচ্ছে। কোনোরকম গ্ল্যাভস বা ক্যাপ ব্যবহহার করা হচ্ছে না। রুটি তৈরির অন্যান্য উপাদানও হাতে করেই ঢেলে দেওয়া হচ্ছে।
এভাবেই ময়দা গোলানো, মিশ্রণ তৈরি, ছাঁচে ফেলা এবং চুলায় দেওয়া হচ্ছে। তাপ দিয়ে রুটি তৈরি করা হচ্ছে। সেই রুটি তৈরি করার পর এনে রাখা হচ্ছে ময়লা পাটিতে। মেশিনে রুটি কেটে কেটে রাখা হচ্ছে জং ধরা রোহার টেবিলে।
প্ল্যানেট আশিষ নামের একটি আইডি থেকে এই ভিডিও ইন্সটাগ্রামে আপলোড করা হয়েছে। এই ফ্যাক্টরি ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরে অবস্থিত। ভিডিওটির কমেন্টে সকলে নেতিবাচক কমেন্ট করছে। এই দৃশ্য দেখে অনেকেরই পাউরুটি খাওয়ার রুচি চলে গেছে!
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি