চুল পড়া কমাতে যা করবেন
চুল আমাদের শরীরের একটি বিশেষ অংশ। অভ্যন্তরীণ ভাবে এর বিশেষ কোনো কাজ না থাকলেও বাহ্যিকভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। চুল সাধারণত সৌন্দর্য্যের অংশ। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে চুল সৌন্দর্য্যের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ। তবে প্রায়ই অনেকের চুল পড়ার সমস্যা দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে খুব কম বয়সেই চুল পড়ার সমস্যা শুরু হয়ে যায়।
চুল পড়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। সমস্যা দূর করার আগে, দ্রুত মূল কারণ খুঁজে বের করতে হবে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা মূলত নখ, ত্বক, চেহারার সাথে সাথে চুলের চিকিৎসাও করেন। চুল পড়ার সমস্যায় তাই আগে কোনো চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
চুল ধোয়া এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন চুলে আঘাত না লাগে। চুল পাতলা বা ভঙ্গুর হলে সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুল পড়া সমস্যায় যা করবেন-
১. কম ক্ষতিগ্রস্থ শ্যাম্পু ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। শক্তিশালী বা রুক্ষ্ণ শ্যাম্পু চুল থেকে আর্দ্রতা কেড়ে নিতে পারে।
২. শ্যাম্পুর পর ময়েশ্চারাইজিং কন্ডিশনার লাগান। কন্ডিশনার চুলে প্রলেপের মতো কাজ করে। যে কারণে চুল ভাঙা এবং ডগা-চেরার সমস্যা হ্রাস করে।
৩. চুল ধোয়ার পর মাইক্রোফাইবার তোয়ালে দিয়ে চুল জড়িয়ে রাখুন। এতে চুল দ্রুত শুকিয়ে যাবে। ফলে, ব্লো-ড্রাই করতে সময়ও ব্যয় হবে না।
৪. চুলে গরম তেল ব্যবহার করবেন না। এতে চুল গরম হয়ে আগা নরম হয়ে যায়। ভঙ্গুর চুলের ক্ষতি তো বাড়েই তার সাথে চুল পড়াও বাড়ে।
৫. চুলে গরম যন্ত্র এবং চিরুনি ব্যবহারের পরিমাণ সীমিত করুন। এসব ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বজায় রাখুন। উচ্চ তাপ ব্যবহার করা পরিহার করাই ভালো।
৬. চুল আচড়ানোর সময় বেশি জোর দেবেন না। এতে চুল পড়া বাড়ে। তাছাড়া ঝুটি, বেণি বা অন্য যে স্টাইলই করুন; টাইট করে চুল বাঁধবেন না। ঘন ঘন চুলের স্টাইল পরিবর্তন করে বাঁধলে চুল দুর্বল হয়ে যায়। চুলে বার বার টান পড়ার কারণে ট্র্যাকশন অ্যলোপেসিয়া নামক চুলের ক্ষতি হতে পারে।
৭.আমরা যা খাই, তার একটা অভ্যন্তরীণ প্রভাব বাইরেও চোখে পড়ে। তাই স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু খাবার খাওয়া উাচিত।
৮. ধূমপান করার কারণে চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে।
তথ্যসূত্র: এএডি