ভালোবাসার সূত্রপাত যেভাবে

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তীর হাতে কিউপিড

তীর হাতে কিউপিড

পৃথিবী টিকে আছে ভালোবাসার ভিত্তির উপর। ভালোবাসা না থাকলে পৃথিবীর চিত্র অন্যরকম হতো। ‍শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা স্বামী-স্ত্রীদের নয়; ভালোবাসা দিবস পৃথিবীর সকল সম্পর্কের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে পালন করা হয়।

তবে মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হলো জীবনসঙ্গী। বাবা-মায়ের থেকেও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় অর্ধাঙ্গ কিংবা অর্ধাঙ্গিনীকে। কারণ আমৃত্যু তার সাথে থাকার প্রতিজ্ঞা গ্রহন করা হয়। তাই সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসাটা একটু বিশেষ হয়।

বিজ্ঞাপন

সেই কারণেই ভালোবাসা সপ্তাহ এবং দিবসে বিশেষ আয়োজন করা হয় জীবনের বিশেষ মানুষটির জন্য। তবে, কীভাবে শুরু হয় এই ভালোবাসা?

রোমানীয়দের থেকে ভালোবাসা দিবস পালনের প্রচলন হয়। তাদের মতে, সৌন্দর্য্য ও ভালোবাসার দেবী ভেনাস এবং যুদ্ধের দেবতা মার্সের ছেলে ইরস বা কিউপিড। মানুষের ভালোবাসার জন্য তাকেই দায়ী মানা হয়।

বিজ্ঞাপন
ভালোবাসার মানুষ পৃথিবীতে সবচেয়ে প্রিয়

ল্যাটিন শব্দ কিউপিডো (বাংলায় ‘কাম’) থেকে এই রোমান দেবতার নামকরণ হয়েছে। ধারণা করা হয়, মা ভেনাসের নির্দেশে কিউপিড তীর মেরে ভালোবাসার সূত্রপাত ঘটায়।

রোমান পুরাণ মতে, কিউপিড একটি ছোট ছেলে; যার পাখা আছে এবং হাতের রয়েছে তীর ধনুক। কিউপিড একজন নশ্বর দেবতা এবং তার তীরের কবল থেকে বাঁচার সামর্থ্য কারো নেই! যখন একটি ছেলে এবং মেয়ের দেখা হয় তখন কিউপিড তার তীর দিকে আঘাত করে দুজনের মধ্যে ভালোবাসার জন্ম দেয়।   

ভালোবাসা থাকার কারণে অনেকের জীবন সুন্দর হয়ে যায়। অপরদিকে ভালোবাসার পেছেনে অনেকেই জীবন বরবাদ করে দেয়। যুগ যুগ ধরে ভালোবাসার অনেক দৃষ্টান্ত দেখা গেছে।

ভালোবেসে কষ্ট পায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়! তারপরও মানুষ বারবার ভালাবেসে যায়। নতুন আশায় বুক বাঁধে। নতুন করে স্বপ্ন দেখে। এর কারণ কী?

ভালোবাসা নিয়ে নানারকম তত্ত্ব রয়েছে। অনেকেই মনে করে, ভালোবাসার তৈরি হয় মনে। অর্থাৎ এর সম্পর্ক হৃদয়ের সাথে। কিন্তু মূলত এর শুরু হয় মস্তিষ্কে। 

প্রেমের দেবতা কিউপিড এবং সৌন্দর্যের দেবী ভেনাস

যখন দু’জন মানুষের একে অপরকে ভালো লাগে তখন তাদের মস্তিষ্কে এক ধরণের রাসায়নিক পরিবর্তন শুরু হয়। মনোবিজ্ঞানীরা জানান, বাহ্যিক রূপের প্রতি ভালো লাগার অনুভূতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। শতকরা ৫৫ ভাগ পছন্দ নির্ভর করে রূপ এবং অঙ্গভঙ্গির উপর।

এছাড়াও, শতকরা ৩৮ ভাগ কন্ঠ ও কথা এবং বাকি ৭ শতাংশ ব্যক্তির মনোভাব দেখে মানুষ তার প্রেমে পড়ে। ভালোলাগার সময় মস্তিষ্ক থেকে কিছু হরমোন নিঃসরণ হয়। এড্রিনালিন, ডোপামিন, সেরোটোনিন জাতীয় হরমোন ভালোবাসার অনুভূতির সৃষ্টি করে। (তথ্যসূত্র: বাংলা নিউজ২৪)

তবে ভালোবাসা উৎপত্তি যেভাবেই হোক না কেন! পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতি এটি। তাই ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে যাক চারদিকে!