ঝরাপাতা আর আগুনরাঙা পলাশ জানান দিচ্ছে দুয়ারে ফাগুন

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাল্গুন

ফাল্গুন

উত্তরে বাতাসের প্রতাপ কমতে শুরু করেছে। ভোর সকালে ঘাসের দলে এখন আর শিশিরের চাদর জমে না! বিবর্ণ ধূসর আড়মোড়া ভেঙে প্রকৃতি জেগে উঠতে শুরু করেছে রঙিনভাবে।

বিজ্ঞাপন

কবিগুরুর কলমে ছন্দ মেলে, ‘আহহা আজি এ বসন্তে, এত ফুল ফোটে! এত বাঁশি বাজে। এত পাখি গায়….’। প্রকৃতির সেই রূপ আবার ফিরে এসেছে বছর ঘুরে। বাংলা বছরের শেষ মাস বসন্ত দক্ষিণ দুয়ার খুলে প্রাণবন্ত করলো প্রকৃতিকে।

বিজ্ঞাপন

চারদিকে প্রফুল্ল পাখিদের কিচির-মিচির, কোকিলের কুহু-কেকা; যেন চারদিকে ঘোষণা দিচ্ছে। গাছে গাছে ঝরা ডালে কচি সবুজ পাতা উঁকি দিচ্ছে। তারই সাথে রঙ-বেরঙের ফুল ঘোমটা খুলে প্রচার করছে সংকেত। ভ্রমরের গুনগুন; ফড়িং,প্রজাপতির ছু-কিৎকিৎ খেলা আবার প্রকৃতিতে চঞ্চলতা ফিরিয়ে আনছে। এসবের সম্মেলনে বসন্ত ‍ঋতু নিয়ে আসে আনন্দবার্তা।

১৪৩০ বঙ্গাব্দের শেষ ঋতুর আগমন ঘটলো আজ। বাংলা পঞ্জিকা মতে, বৈশাখ থেকে চৈত্র ১২ মাসে এক বছর। এই মাসগুলোকে তাদের আবহাওয়া এবং পরিবেশের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ৬ টি ঋতুতে ভাগে করা হয়। একেকটি ঋতুতে ২টি করে মাস থাকে। বাংলা বছরের শেষ ঋতু বসন্ত। শেষ দু’টো মাস ফাল্গুন এবং চৈত্র মিলে বসন্তকাল।

ফাল্গুন মাসের প্রথমদিন আজ। বসন্তের আগমণ উপলক্ষ্যে চারদিকে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে সবাই। আনন্দ তো হবেই! কুয়াশা কেটে আবার রোদের ঝলকানি খেলা করছে আকাশে। প্রকৃতি রেঙে উঠছে ঋতুরাজ বসন্তের জাদুতে।