পিঠের নিম্নাংশে ব্যথা হতে পারে যেসব কারণে
মানুষ একমাত্র এমন প্রাণী যারা দু‘পায়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর এমনটা সম্ভব হয় মেরুদণ্ডের হাড়ের অনন্য বিন্যাসের কারণে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকের পিঠের নীচের অংশে ব্যথা হয়। এই সমস্যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। কোমড় এবং পিঠের নিচের অংশে ব্যথা বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। ব্যথার চিকিৎসা করার আগে অবশ্যই সঠিকভাবে সমস্যা খুঁজে বের করতে হবে। জেনে নেওয়া যাক যেসব কারণে কোমড়ে প্রদাহ হতে পারে-
১. প্রায়ই অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে কোমড়ে চোট পড়ে। স্বাচ্ছন্দ্যহীন নড়াচড়া বা ভারী জিনিস ভুলভাবে তোলার কারণে মূলত এমনটা ঘটে।
২. মেরুদন্ডের হাড়ের সংযোগস্থলে অসাঞ্জস্যতা দেখা যায় অনেক সময়। বিশেষ করে অস্টিওআর্থারাইটিস সমস্যার কারণে হতে পারে। জয়েন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে ব্যথা এবং প্রদাহ হতে পারে।
৩. হার্নিয়েটেড ডিস্ক থেকে অনেক সময় ভেতরের জেলজাতীয় উপাদান বের হয়ে যায়। কাছাকাছি থাকা স্নায়ুতে এই কারণে জ্বালাতন হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, ব্যথা কোমড় ছাড়িয়ে পায়ে পৌঁছে যায়।
৪. কখনো কখনো একটি কশেরুকা পিছলে অন্য কশেরুকার উপর উঠে যায়। যার ফলে মেরুদণ্ডে ব্যথা হয় এবং অস্থিরতা দেখা দেয়।
৫. ওজন অতিরিক্ত হলে দেহ বহন করার কারণে পিঠের নিচের অংশে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। যা শরীরকে দুর্বল করে দেয়। এতে অস্টিওআর্থারাইটিস বা হার্নিয়েটেড ডিস্ক বাড়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
৬. চলাফেরার ভঙ্গি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে দুর্বল ভঙ্গিতে বসা বা দাঁড়ানোর কারণে পিঠে ব্যথা হতে পারে। এতে পিঠের নীচের অংশের পেশী এবং লিগামেন্টে চাপ পড়ে।
৭. পড়ে গিয়ে, গাড়ি দুর্ঘটনা বা কোনোভাবে কোমড়ে আঘাত পাওয়ার কারণে ব্যথা হতে পারে। নীচের পিঠের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারণে এমন হয়।
তথ্যসূত্র: নিউজ১৮