বাংলাদেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূলে মাল্টি সেক্টর পলিসি ডায়ালগ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: মাল্টি সেক্টর পলিসি ডায়ালগে অংশ নেওয়া অতিথিবৃন্দ।

ছবি: মাল্টি সেক্টর পলিসি ডায়ালগে অংশ নেওয়া অতিথিবৃন্দ।

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি কর্তৃক, ইউএসএআইডি এবং চ্যালেঞ্জ টিবি বাংলাদেশ (সিটিবি) প্রজেক্টের সহযোগিতায়, জাতীয় পর্যায়ের একটি মাল্টি সেক্টর পলিসি ডায়ালগ এর আয়োজন করা হয় গতকাল রোববার (২৪ মার্চ)।

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ঘোষিত প্রতিশ্রুতিসমূহের পর্যালোচনার জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব, নীতিনির্ধারকবৃন্দ, বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সহ শতাধিক অংশগ্রহণকারী উক্ত সংলাপে অংশ নেন।

প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকার বৈশ্বিক আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে একটি শক্তিশালী বক্তব্য নিয়ে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উদ্যাপন করে থাকে। এ বছরের বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের প্রতিপাদ্য “It's Time” এর সাথে মিল রেখে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনটিপি) কর্তৃক বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০১৯ এর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “It's time to end TB in Bangladesh” যার বাংলা অনুবাদ “এখনই সময় অঙ্গীকার করার, যক্ষ্মা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার”।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/25/1553506113775.jpg

২৪ মার্চ ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত পলিসি ডায়ালগটি ছিল জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি সহ বিভিন্নক্ষেত্রে নীতিনির্ধারক পর্যায়ের ব্যাক্তিবর্গের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মত জাতীয় পর্যায়ের একটি নীতিনির্ধারণী সংলাপ। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রফেসর (ডাঃ) মোঃ শামিউল ইসলাম, পরিচালক এমবিডিসি ও লাইন ডিরেক্টর টিবি-এল ও এএসপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সকল অংশগ্রহনকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং UN HLM এর লক্ষ্য অর্জণে সারাদেশে যক্ষ্মার সেবা কার্যক্রমের প্রতি দৃষ্টি প্রদান করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি চলমান কর্মসূচির নীতিমালা ও অগ্রাধিকার, যক্ষ্মা মোকাবেলায় বিগত দশকগুলোতে অর্জিত সাফল্য ও এখন পর্যন্ত বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ তুলে ধরেন।

বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য হিসেবে ডঃ শামসুল অলম, সদস্য (সিনিয়র সচিব), জিইডি, পরিকল্পনা কমিশন, মিঃ আর্ল আর মিলার, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত, অধ্যাপক ডাঃ খান আবুল কালাম আজাদ, প্রিন্সিপাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ডিন, মেডিকেল অনুষদ, প্রফেসর ডা: ইকবাল অর্সলান, প্রাক্তন ডীন ও মহাসচিব, বিএমএ এবং ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রমুখ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে গঠনমূলক ও মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/25/1553506129641.jpg

আলোচ্য বিষয়সমূহের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিলো বিদ্যমান সম্পদসমূহের সংহত ব্যবহার ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি; শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয় সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন; ব্যক্তিখাত ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধীবৃন্দকে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্তকরন; যক্ষ্মা মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ; যক্ষ্মা খুঁজে বের করা, চিকিৎসা প্রদান ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে সুশীল সমাজের আরো স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ ইত্যাদি।

বর্তমান যক্ষ্মা রোগ পরিস্থিতিকে অগ্রাধিকার প্রদান করে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রতিশ্রুত লক্ষ্যমাত্রা অর্জণে রাজনৈতিক সুযোগ সুবিধা এবং জোরালো ও সামঞ্জস্যপূর্ণ বিনিয়োগ প্রয়োজন। উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ যক্ষ্মা মোকাবেলায় সম্ভাব্য সুযোগ অনুসন্ধান ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের বিষয়ে একমত হন। সংলাপে অংশগ্রহণকারীবৃন্দ যক্ষ্মারোগ মোকাবেলায় নাগরিক সমাজ ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের, বিশেষ করে মার্কিন সরকারের অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/25/1553506148646.jpg

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, ডাঃ মুরাদ হাসান, এম পি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়, উক্ত নীতিনির্ধারণী সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের যক্ষ্মা বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত জাতীয় পর্যায়ে সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশের চলমান যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচিকে সমর্থন প্রদান ও শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখার জন্য ইউএসএআইডি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি সারাদেশে যক্ষ্মা রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা সম্প্রসারনের জন্য জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, স্থানীয় সরকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধের জন্য আরো জোরদার উদ্যোগ গ্রহণে ও যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরীতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ'।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/25/1553506231862.jpg

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মি. আর্ল আর মিলার ও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, 'আমেরিকান সরকার ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে বাংলাদেশে বিগত দশ বছরেও যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এখানে এবং সারা বিশ্বে সম্মিলিত লক্ষ অর্জনে আমেরিকান সরকার সকল দেশ এবং অংশীদারদের সাথে কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ'।

সংলাপ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে জনাব আসাদুল ইসলাম, সম্মানিত সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রফেসর (ডাঃ) মোঃ শামিউল ইসলাম, পরিচালক এমবিডিসি ও লাইন ডিরেক্টর টিবি-এল ও এএসপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জনাব জি এম সালেহ উদ্দিন, সম্মানিত সচিব, মেডিকেল এডুকেশন ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ডাঃ মুস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিকেল এসাসিয়েশন (বিএমএ), ডাঃ এডউইন সি সালভাদর, ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বাংলাদেশ, মি. ডেরিক ব্রাউন, মিশন ডিরেক্টর, ইউএসএআইডি বাংলাদেশ, ডাঃ পুষ্পিতা সামিনা, ক্লিনিক্যাল সার্ভিস লিড, অফিস অব পপুলেশন, হেল্থ, নিউট্রিশন এন্ড এডুকেশন, ইউএসএআইডি বাংলাদেশ, ডাঃ অস্কার কর্ডন, কান্ট্রি প্রজেক্ট ডিরেক্টর, চ্যালেঞ্জ টিবি প্রজেক্ট, বাংলাদেশ, এমএসএইচ, আইআরডি এবং অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

   

তারকাদের ভিড়ে প্রতিভার উজ্জ্বলতায় জ্বলজ্বলে ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী

ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সে চলছে ২০২৪ সালের ‘৭৭ তম কান’স ফিল্ম ফেস্টিভাল’। দেশটির দক্ষিণ উপকূলীয় শহর কানে প্রতিবছরই চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ  এই উৎসবরে আয়োজন করা হয়। ১৪ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন কোণা থেকে অনেক সিনেমা সংশ্লিষ্ট শিল্পীরা একত্রিত হন। মূলত ফিল্ম ফেস্টিভাল হলেও যেহেতু অভিনয়ের সঙ্গে ফ্যাশন ওতোপ্রোতভাবে জড়িত তাই এখন ফ্যাশনের লোকজনও ক্যান’স এর অনুষ্ঠানে আসে।   

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে আসনা হাবিব ভাবনা কানস ফিল্ম ফেস্টিভালে উপস্থিত হয়েছেন। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেরও অনেক বড় অভিনয় শিল্পী এবং ফ্যাশন ব্যক্তির পদচারণা ঘটে। তবে চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি সাড়া পড়েছে ভারতীয় ইন্ফুয়েন্সার ন্যান্সী ত্যাগী।

কান’স ফিল্ম ফেস্টিভালের ইতিহাসে ন্যান্সিই প্রথম তারকা যিনি নিজেই নিজের পোশাক তৈরি করেছেন। কানের লাল গালিচায় পা রাখার সাথে সাথেই হৈ-চৈ ফেলে দেন ন্যান্সি। ৩০ দিনের মধ্যে তৈরি করা তার অসাধারণ পোশাকের কারণে দেশ জুড়ে হচ্ছে জয়জয়কার।

 ন্যান্সির বানানো পোশাক

উর্ফি জাভেদ, খুশা কাপিলা সহ বড় বড় তারকাও তার প্রশংসায় ভাসছেন। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন বলিউডের ফ্যাশন আইকন সোনাম কাপুর। ১৮ তারিখের ইভেন্টে ন্যান্সী নিজের তৈরি করা পোশাক পরে প্রথম বার রেড কার্পেটে হাঁটেন। ১ হাজার মিটার কাপড়ে তৈরি করা গোলাপি গাউনটির ওজন ছিল ২০ কেজি।

দ্বিতীয় দিন একটি চকচকে ল্যাভেন্ডার শাড়ি পরে হাজির হন তিনি। এই পোশাকটিও নিজেই তৈরি করেছেন ন্যান্সী। প্রথম পোশাকের মতো দ্বিতীয় পোশাক দিয়েও সকলের নজর ও প্রশংসা কেড়েছেন এই উত্তর প্রদেশের এক ছোট শহরের মেয়ে। সোনাম কাপুরের মতে, এই পোশাকই কানে দেখা সেরা পোশাক। একই সঙ্গে সোনাম ন্যান্সীর কাছে অনুরোধ করেন, যেন তার জন্য ন্যান্সী কোনো পোশাক তৈরি করে দেন।

ন্যান্সির দ্বিতীয় দিনের পোশাক

ন্যান্সীর আরেকটি ব্যাপার নেটিজেনের নজর কাড়ে। কানের মতো বড় মঞ্চে ইংরেজি ভাষায় তার অপারগতা নিয়ে একদমই কুণ্ঠিত নন ন্যান্সী। বেশ সহজ ও সাবলীলভাবেই তার মাতৃভাষায় সহজেই মনোভাব ব্যক্ত করছেন। ভারতীয়দের মধ্যে হিন্দি ভাষায় কথা বলার ক্ষেত্রে কিছুটা জড়তা নজরে পড়ে বরাবরই। ন্যান্সীর ক্ষেত্রে যা ছিল অনুপস্থিত।  

  

;

মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে যেসব কারণে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাইগ্রেনের কারণে তীব্র মাথা-ব্যথা / ছবি: সংগৃহীত

মাইগ্রেনের কারণে তীব্র মাথা-ব্যথা / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাথাব্য়থা খুব অস্বাভাবিক কোনো সমস্যা নয়। ঋতু পরিবর্তন বা হালকা জ্বর হলেও মাথাব্যথা হতেই পারে। তবে মাইগ্রেন কোনো সাধারণ মাথা ব্যথার সমস্যা নয়। এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা তীব্র মাথাব্যথা সহ্য করেন। মাথায় নির্দিষ্ট স্থানে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং টন টন করে। এছাড়া চোখে আলো পড়লে বা তীব্র বাতাসে সংবেদনশীলতার কারণে অস্বস্তি, মাথাব্যথার তীব্রতা বেড়ে ওঠা বা বমি বমি ভাব হওয়াও মাইগ্রেনের উপসর্গ। এই যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টা থেকে একাধিক দিন অবধিও স্থায়ী হতে পারে।

মাইগ্রেনের সমস্যা সকলের মধ্যে দেখা যায় না। ধারণা করা হয়, এই সমস্যা বংশ পরম্পরায়ও স্থানান্তরিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত জেনেটিক এবং পরিবেশগত অবস্থার কারণে বিশ্বব্যাপী শতকরা ১০ ভাগ মানুষ মাইগ্রেনে ভোগেন। জেনেটিক সংক্রান্ত কারণে মাইগ্রেন আংশিকভাবে দায়ী বলে মনে করা হয়। তবে পেরিফেরাল ট্রিগারের কারণেও মাইগ্রেন হতে পারে। পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই রোগের তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিতে থাকে।

যেসব কারণে মাইগ্রেন হতে পারে

১. লিঙ্গভেদ: নারী এবং পুরুষদের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য থাকলেও ভিন্ন লিঙ্গের কারণে নানারকম হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। নারীদের শরীরে থাকা হরমোনের ব্যবস্থাপনার কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২. প্রভাবক: মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব, আবহাওয়ার পরিবর্তন, তীব্র গন্ধসৃ্ষ্টিকারী অস্বস্তি কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা প্রভাবিত হতে পারে। এই ঘটনাগুলো শনাক্ত করে এড়িয়ে চললে উপকার হতে পারে।  

৩. বংশ: অনেক সময়ের একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মাইগ্রেন স্থানান্তরিত হয়। সাধারণত বাবা মায়ের থেকে মাইগ্রেনের জিন শিশুদের শরীরে বাসা বাঁধে।

৪. চোখ: মাথার সঙ্গে চোখের বেশ গভীর যোগসূত্র রয়েছে। তাই অনেকে মাইগ্রেনের আগে চোখের ঠিক মতো দেখতে পান না। একে অরাস বলে।   

৫.খাদ্য: ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন১২, ভিটামিন ডি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের মতো কিছু খাদ্য উপাদানের অভাবে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে পারে।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

;

তামাক সেবনে রয়েছে ক্যান্সারের ঝুঁকি



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তামাক সেবন ক্যান্সারের কারণ / ছবি: সংগৃহীত

তামাক সেবন ক্যান্সারের কারণ / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান যুগে ক্যান্সার আশঙ্কাজনক একটি রোগে পরিণত হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ক্যান্সারের ভয়াবহতার মূল কারণ হলো এর দুশ্চিকিৎস্য হওয়া। আমাদের দেশ এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে মাথা এবং ঘাড়ে ক্যান্সার হওয়ার সংখ্যা বেড়ে চলেছে।

এর কারণ হিসেবে বেশে কিছু ব্যাপার চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে (শতকরা ৯০ ভাগই) দেখা যায় স্কোয়ামাস সেল ক্যান্সার (এসসিসি) এর পেছনে দায়ী। আবার কিছু ক্ষেত্রে থাইরয়েড এবং লালাগ্রন্থির ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও অনুরূপ দেখা যায়। যদিও উভয় ক্ষেত্রে চিকিৎসা এবং রোগ ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া ভিন্ন।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের একটি সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক অনিল ডি’ক্রুজ জানান, ‘ক্যান্সার বৃদ্ধিতে এসসিসি বৃহৎ ভূমিকা পালন করে। এটি মস্তিষ্কের ঠিক নিচ থেকে ঘাড় পর্যন্ত বিস্তার লাভ করতে পারে। কলারবোন, মাথা, ঘাড় সহ শরীরের এইসব অংশ প্রায় ১৩-১৪টি অংশে স্বতন্ত্রভাবে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ঘটায়।

মাথা এবং ঘাড়ে ক্যান্সার বাড়ার মূল কারণ হিসেবে নেশাজাত দ্রব্য সেবনের প্রবণতাকে চিহ্নিত করেন ডাক্তার অনিল। দিন দিন বিভিন্ন ধরনের তামাক গ্রহণ করার সংখ্যা লাগামহীনভাবে বাড়ছে। বিশেষ করে অল্প বয়েসিরা বুঝে বা না বুঝে এসব অভ্যাসে জড়িয়ে পড়ছে। ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের কিশোর বা পথশিশুরা সিগারেট সহ বিভিন্নসহ তামাক ও নিকোটিনজাতীয় যেকোনো নেশাজাত দ্র্রব্য সেবন করার প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। তাই এদের মধ্যে ঘাড় এবং মাথার বিভিন্ন অংশে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।  

ক্যান্সারের ঝুঁকির ব্যাপারে অনিল বলেন, ‘তামাক সেবনকারীরা এমনিতেই মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারের বিপজ্জনক সীমায় থাকেন। পাশাপাশি যারা অ্যালকোহলও সেবন করেন, তারা আরও বেশি ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকেন। এসব অভ্যাসে আসক্ত ব্যক্তিরা হয়তো জানেনও না, এর মাধ্যমেই শরীরে মৃত্যুর বীজ বপন করছেন নিজ হাতেই। সচেতনার অভাবেই মানুষজন এসব রোগের ঝুঁকির সম্পর্কে অবগত থেকে যাচ্ছে।    

 তামাক সেবন ক্যান্সারের কারণ

আরেকজন চিকিৎসক রাজেশ মিস্ত্রী জানান,‘তামাকের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা ক্যান্সারের বৃদ্ধিতে প্রভাবিত করে। এইচপিভি নামক ভাইরাস সাধারণত ভাইরাল সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে মৌখিক স্বাস্থ্যকে দুর্বল করে দেয়। এতে মুখ এবং আশেপাশের অংশে ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ে।’  

ডাক্তার মিস্ত্রী আরও বলেন,‘ শুধু তামাক নয়, সুপারিতে রয়েছে ওরাল সাব-মিউকাস ফাইব্রোসিস। তাই ঘন ঘন পান খাওয়ার কারণে মুখে প্রিমালিগন্যান্ট অবস্থা সৃষ্টি হয়। এতে সময়ের সাথে সাথে একসময় মুখ হা করার ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি করে। মুখ খুলতে কষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা থেকে শুরু করে ক্যান্সার অবধি হতে পারে।’ এছাড়াও মুখের ক্যান্সারের কিছু সাধারণ উপসর্গ হলো-

*মুখের ঘা সেরে না ওঠা

*মুখ বা গলা থেকে রক্তপাত

*দাঁতে ব্যথা হওয়া বা মাড়ি থেকে আলগা হয়ে যাওয়া এমনকি পড়ে যাওয়া

*ব্যথা কান অবধি ছড়িয়ে পড়া

*গিলতে কষ্ট হওয়া

* গলার টিউমার বা সিস্ট হওয়া

এইসকল সমস্যাগুলো মুখ থেকে শুরু করে গলা, ঘাড় এমনকি মাথার ক্যান্সারের কারণেও দেখা যেতে পারে। তাই এরকম সমস্যাগুলো নজরে পড়লে অবহেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।  

;

মাইগ্রেনের সাধারণ উপসর্গ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাইগ্রেনের ব্যথা

মাইগ্রেনের ব্যথা

  • Font increase
  • Font Decrease

মাইগ্রেনের ব্যথা আমাদের মধ্যে সাধারণ সমস্যাগুলোর একটি। মূলত মাইগ্রেনের সমস্যার কারণে তীব্র মাথা ব্যথা হয়। মাথায় নির্দিষ্ট স্থানে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং টন টন করে। এছাড়া চোখে আলো পড়লে বা তীব্র বাতাসে সংবেদনশীলতার কারণে অস্বস্তি, মাথাব্যথার তীব্রতা বেড়ে ওঠা বা বমি বমি ভাব হওয়াও মাইগ্রেনের উপসর্গ। এই যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টা থেকে একাধিক দিন অবধিও স্থায়ী হতে পারে।

খুব সূক্ষ্ম মাত্রায় ঔষধ সেবনের মাধ্যমে যন্ত্রণা কমানো যেতে পারে। সঠিক চিকিৎসা এবং ভালো ওষুধের মাধ্যমে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে এটি নিরাময় করার স্থায়ী সমাধান হতে পারে না।

মাইগ্রেনের সমস্যা যেকোনো বয়সের মানুষেরই হতে পারে। একেকজনের ক্ষেত্রে সমস্যা একেকরকম হয়। তবে সকলের ক্ষেত্রেই কয়েকটি সাধারণ ধাপে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। এগুলো হলো- প্রোড্রোম, অওরা, অ্যাটাক, পোস্টড্রোম।

প্রোড্রোম: মূলত মাথাব্যথার তীব্রতা বাড়ার আগের ২৪ ঘণ্টার মুহূর্ত এটি। এই ধাপের উপসর্গ হতে পারে মেজাজ পরিবর্তন, কোষ্ঠ্কাঠিন্য, খাবার খাওয়ার ইচ্ছা, ঘন ঘন প্রসাব, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বেশি হাই ওঠা সহ আরও অনেক কিছুই হতে পারে।  

অওরা: এই পর্যায়ে মাথা ব্যাথা হওয়ার আগ মুহূর্তে বা মাথাব্যথার সময়ে নানারকম অসুবিধা দেখা দিতে পারে। কয়েক মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সময়ে মুখ, বাকযন্ত্র, মাথার সংবেদনশীল অংশে উপসর্গ দেখা দিতে পারে।     

অ্যাটাক বা আক্রমণ: এই পর্যায়ে মাথা ব্যথা তীব্রতার পর্যায়ে চলে যায়। একটানা ৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা অবধিও ব্যথা স্থায়ী হতে পারে। চিকিৎসা করা না হলে এই সময়কাল আরও দীর্ঘ হতে পারে।

পোস্টড্রোম: এই পর্যায়ে মাথা সমস্যা ১ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। উপসর্গগুলো অনেকটা অ্যালকোহল সেবনের পরে হ্যাংওভারের উপসর্গের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।  এজন্য এক মাইগ্রেন হ্যাংওভারও বলা হয়।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

;