বর্ষায় ভ্রমণে যা রাখবেন সাথে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
বর্ষাকালে ঘুরাঘুরিতে কিছু অনুষঙ্গ অবশ্যই সাথে রাখতে হবে, ছবি: সংগৃহীত

বর্ষাকালে ঘুরাঘুরিতে কিছু অনুষঙ্গ অবশ্যই সাথে রাখতে হবে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টির সময় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হলে, মাথায় রাখতে হয় শতেক দরকারি জিনিসপত্রের হিসাব।

স্বাভাবিকভাবে সবাই চেষ্টা করে কম জিনিস বহন করার। কারণ এতে ঘুরতে সুবিধা হয়।

বৃষ্টিকালীন সময়ে বের হলে সাথে ছাতা তো থাকেই, তবে ছাতার সাথে আরও কয়েকটি প্রয়োজনীয় জিনিস রাখতে হবে। এ সময়ে কোন জিনিসগুলো সাথে রাখা প্রয়োজন জেনে রাখুন।

ছাতা

বৃষ্টি মানেই সাথে ছাতা বহন করা। অনেকের কাছে বিরক্তকর মনে হলেও ভিজতে না চাইলে ব্যাগে ছাতা রাখতে হবে। কম বৃষ্টি হলে হালকা ভারের ছাতা রাখা যায়, তবে ঝড়ো বৃষ্টি হলে অবশ্যই ভারী ছাতা প্রয়োজন হবে। তা না হলে, প্রবল বাতাসে ছাতার হুক ভেঙ্গে যেতে পারে।

রেইনকোট

শিশু থেকে বড় সকলের জন্যেই রেইনকোট ব্যবহার দারুণ উপযুক্ত। নিজেকে বৃষ্টির হাত থেকে সম্পূর্ণ শুষ্ক রাখতে রেইনকোট সবচেয়ে কার্যকরী। বাচ্চাদের কোথাও নিয়ে গেলে রেইনকোট সাথে রাখুন, বৃষ্টি হলে তা পরিয়ে বাইরে বের হোন, এতে তারা সহজে ভিজবে না। এছাড়া অনেকে বাইক বা সাইকেল চালান। তারাও প্যান্টসহ জ্যাকেট রেইনকোট পরতে পারেন। এতে জামার কোন অংশই ভিজবে না ও বৃষ্টি শেষে শুষ্ক থাকতে পারবেন।

জুতা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562848722180.jpg

বৃষ্টিতে আরেকটি খুব দরকারি হল জুতা। কাদাযুক্ত রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করা খুব অসহ্য হলেও সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌছাতে চাইলে, যানবাহনের পাশাপাশি হাঁটতেও হয়। এছাড়া বৃষ্টির সময় ঘুরতে গেলে, বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় গেলে জুতা নিয়ে বেশ খেয়াল রাখতে হয়। পাহাড়ি অঞ্চলে গেলে শু বা কেডস জাতীয় জুতা, যেগুলো গ্রিপ্স রাখতে পারে সেগুলো ব্যবহার করা উচিৎ। এতে কাদাতে পা সহজে পিছলিয়ে যাবে না এবং বৃষ্টিতে যেসব পোকার পরিমাণ বেশি থাকে সেগুলো থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

তবে আশেপাশে কোথাও বা নিচু স্থানে ঘুরতে গেলে প্লাস্টিক বা যেগুলো দ্রুতই শুকিয়ে যাবে এমন স্যান্ডেল বা জুতা পড়তে পারেন।

ওয়াটারপ্রুফ ও জিপলক ব্যাগ

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562848698153.jpg

বৃষ্টির সময় প্রয়োজন এমন ব্যাগ যেটি পানিতে ভিজবে না, পানি প্রবেশ করবে না ও ভিতরের জিনিসপত্রগুলো সুরক্ষিত থাকবে। তাই ব্যাগ যখন কিনবেন দেখে নিন সেটি ওয়াটারপ্রুফ কিনা এবং সেটিতে চেইন ঠিকমত আছে নাকি, যেন খোলা না থাকে।

তোয়ালে বা রুমাল

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562848681028.jpg

বৃষ্টিতে ভিজে ঘুরাঘুরি করতে কমবেশি অনেকই করেন। তবে ভেজা অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকা ঠিক নয়। ঠাণ্ডা, জ্বর, সর্দি এমন সময়ে খুব জলদি দেখা দেয়। তাই সাথে রাখুন ছোট তোয়ালে বা রুমাল, যেটি সহজেই পানি চুষে নিবে এবং দ্রুত বাতাসের সংস্পর্শে শুকিয়ে যাবে। এতে করে বৃষ্টিতে ভেজার পরপরই মাথার চুলসহ শরীর ভালোভাবে মুছে ফেলা যাবে।

হালকা পোশাক

বৃষ্টির দিন ভারী কাপড় পড়া উচিৎ নয়, কারণ এমন পোশাক বৃষ্টিতে ভিজলে সহজে শুকাতে চায় না। এমন সময় হালকা ধরণের জামা পরিধান করা উচিৎ যেগুলোতে পানি ঝরে যাবে, দাগ বসবে না, দ্রুত শুকিয়ে যাবে এবং পরে আরাম বোধ হবে। এ ধরণের জামা ব্যাগে বেশি জায়গাও নেয় না এবং ব্যাগ ভারীও হয়না।

টর্চলাইট

বৃষ্টির দিন কারেন্টের সমস্যাতো থাকেই, তবে এ সময় দিনভর অন্ধকার পরিবেশ হয়ে থাকে। এ সময়ে পাহাড়-জঙ্গলে ঘুরলে অন্ধকারে সহজে দেখা যায়না। এছাড়া রাতে দুর্ঘটনার প্রবণতা বেশি থাকে। তাই সাথে রাখুন ছোট টর্চলাইট বা এমন কোনো লাইট যেটির চার্জ অনেকক্ষণ থাকবে ও ভালো আলো দিতে পারবে।

স্মার্ট ওয়াচ

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562848621597.jpg

ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে সবকিছুই হাতের মুঠোয়। শুধু যে মোবাইল ফোনে সবকিছু করা হয়, তা নয়। এখন হাতে পড়া ঘড়িতেও রয়েছে মোবাইলের কিছু কার্যক্রম যেমন- ম্যাসেজ দেখা, কল ধরে কথা বলা, কত কিলোমিটার হেঁটেছেন সে হিসাব রাখা, মোবাইল ট্র্যাক করা, দিক নির্দেশনা ইত্যাদি। তাই সম্ভব হলে ঘুরতে যাওয়ার আগে সাথে রাখুন একটি ডিজিটাল ঘড়ি। চমৎকার বিষয়টি হল, স্মার্ট ওয়াচ বৃষ্টিতে ভিজলেও নষ্ট হওয়ার ভয় নেই। এতে বৃষ্টিতে আপনার মোবাইল বারাবার বের করার প্রয়োজন হবে।

পাওয়ার ব্যাংক

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562848603466.jpg

মোবাইল, লাইট, স্মার্ট ঘড়ি চার্জ দিতে যেখানে সেখানে বিদ্যুৎ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে। তাই ডিভাইসগুলোর চার্জের জন্য সাথে রাখুন পাওয়ার ব্যাংক।

মশার ঔষধ 

বৃষ্টিতে মশার উৎপাত চারিদিকে বেশি থাকে। তাই যেখানেই ঘুরতে যাওয়া হোক না কেনো সাথে রাখুন মশার ঔষধ, ক্রিম বা স্প্রে। এছাড়াও সাথে মশার কয়েল বা মশা মারার উপাদান রাখুন।

খাওয়ার ঔষধ

ব্যাগে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ঔষধ যেমন: জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল, নাপা বা এইস প্লাস, এলার্জির ঔষধ, গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ, পোকামাকড়, মশা কামড়ানোর ক্রিম, ব্যান্ডেজ, কেটে গেলে ক্ষত পরিষ্কারের জন্য অ্যান্টিসেপটিক ইত্যাদি রেখে দিন।

প্লাস্টিক বা পলিথিন

বৃষ্টিতে আপনার জিনিসগুলো ভিজে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সাথে রাখুন প্লাস্টিকের ব্যাগ বা পলিথিন। আপনার বহনের ব্যাগটি ওয়াটারপ্রুফ হলেও, বেশিভাগ জিনিসপত্র প্লাস্টিকে মুড়িয়ে ব্যাগে রাখুন। বিশেষ করে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, ঔষধ, পরিধেয় পোশাক। এতে কোনোভাবে ব্যাগে পানি ঢুকলে জিনিসগুলো ভিজে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়াও ভিজে যাওয়া জামা-জুতা পলিথিনে মুড়িয়ে ব্যাগে নিতে পারবেন, এতে পানি ছড়িয়ে যাবেনা।

   

ভাইরাল হেপাটাইটিস নিয়ে ভুল যত ধারণা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভাইরাল হেপাটােইটিস বা জন্ডিস

ভাইরাল হেপাটােইটিস বা জন্ডিস

  • Font increase
  • Font Decrease

যকৃত মানব শরীরের খুব একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নালীদের প্রবাহিত হওয়া রক্ত পরিশুদ্ধকরণ করা এর প্রধান কাজ। রক্ত থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে যকৃত। এছাড়াও ভিটামিন সঞ্চয় এবং হরমোনও তৈরি করে। তবে হেপাটাইটিস এমন এক ভাইরাস যা সরাসরি কলিজা, তথা যকৃতেই আক্রমণ করে। এতে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ হয়। মূলত হেপাটাইটিস ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘ডি’ এবং ‘ই’ ভাইরাল হেপাটাইটিসের জন্য দায়ী। হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং ‘ই’ খাদ্য ও পানি দূষণের ফলে হয়। অন্যদিকে হেপাটাইটিস বি এবং সি রক্তেএবং রক্তরসের মাধ্যমে ছড়ায়। হেপাটাইটিস ডি হওয়ার সম্ভাবনা তাদের থাকে যারা ইতোমধ্যেই হেপাটাইটিস বি তে আক্রান্ত রয়েছেন।   

ভাইরাল হেপাটাইটি থেকে সাবধানে থাকার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কারণ হেপাটাইটিসে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে নানারকম কুসংস্কার ছড়িয়ে আছে। এক প্রতিবেদনে ভারতীয় হেপাটোলজি বিশেষজ্ঞ অমিত মান্ডোট বলেছেন, `হেপাটাইটসের ক্ষেত্রে ভাইরাসের আক্রমণ যতটা শঙ্কাজনক, একইরকমভাবে এ্ সম্পর্কিত যে ভ্রান্ত ধারণাগুলো রয়েছে সেগুলোও নানারকম সমস্যা বৃদ্ধি করে। এতে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও বাঁধা পড়ে। অনেকে মনে করেন হেপাটাইটিসের সংক্রমণ এইডসের সংক্রমণের মতো। ভয়াবহ ড্রাগ নেওয়ার মাধ্যমে এবং অনৈতিক শারীরিক সম্পর্কে মাধ্যমে হেপাটাইটিস ছড়ায়। এসব একেবারেই ভুল ধারণা।‘

ভাইরাল হেপাটাইটিসে আক্রান্ত রোগী

তিনি ভ্রান্ত ধারনা দূর করার ব্যাপারে বলেন, ‘রক্তের মাধ্যমে হেপাটাইটিস ছড়ায়। এমনটি শিশু জন্মদানের সময় হওয়াও অযাচিত নয়। রক্তদান বা ব্যবহৃত ইঞ্জেকশনের মাধ্যমেও হেপাটাইটিস ছড়াতে পারে। তাই এই রোগ সম্পর্কিত গোড়ামি ভেঙে রোগীকে সুস্থ করে তোলার জন্য সাহায্য করতে হবে। এইজন্য সকলের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এই সংক্রান্ত আরও একটি ভুল ধারণা হলো, ব্যক্তি পছন্দ এবং জীবনধারার সিদ্ধান্তের কারণেও হেপাটাইটিসে কেউ আক্রান্ত হয়। রোগীর প্রতি সকলের এই বিরুপ দৃষ্টিভঙ্গি পরিস্থিতি আরও বিগড়ে দিতে পারে। একঘেয়ে গোড়ামি সমাজের অগ্রগতির পথেও বাঁধা।      

একত্রিত হয়ে এসব ভুল ধারণা দূর করার আহ্বান করেছেন ডাক্তার অমিত। তিনি বলেন, রোগ নিয়ে প্রকাশ্য আলোচনা, প্রাথমিক পর্যায়ে  শিক্ষাপ্রচার এবং আপপ্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা অত্যাবশ্যকীয়। তবেই সকল সাহায্য প্রত্যাশীদের সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।  

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

;

ভিটামিনের ‘ডি‘ এর অভাব পূরণ করবে মাশরুম



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাশরুম

মাশরুম

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা সময় ছিল যখন আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ ভিটামিনের অভাবের কথা ভাবতো না। কারণ তাজা এবং পুষ্টিকর শাক, সবজি এবং ফল প্রায় ঘরে ঘরে পাওয়া যেত। বা বাজারেও ছিল তা বেশ সহজলভ্য। শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সব অভাবই পূরণ করে এসব খাবার। এখন মানুষের জীবনে বেড়েছে ব্যস্ততা। অল্প পরিশ্রমে এখন যতটা সম্ভব বেশি পু্ষ্টি গ্রহণ করা এখন বেশ কঠিন হয়ে উঠছে।

বিভিন্ন প্রকার মাশরুম

ভিটামিন ডি-এর অভাব একটি অন্যতম গুরুতর সমস্যা। এর অভাবে অস্টিওম্যালেশিয়া, রিকেটস, কোমড় বা হাঁটুতে ব্যথা, হাড় ক্ষয়সহ নানারকম গুরুতর সমস্যা হয়।  বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা যেতে পারে। এতে শিশুদের হাড়ের বিকাশ পরিপূর্ণ হয় না। ক্যালসিয়ামের অভাবে তোদর হাড়ে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, পা ধনুকে মতো বেঁকেও যায়। একে রিকেটস রোগ বলে। ভিটামিন ডি এর অতিরিক্ত অভাব হলে শিশু চিরতরে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।

ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুর রিকেটস রোগ

এই সমস্যার সমাধান হতে পারে মাশরুম। কারণ সাধারণত ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার বেশ খরচ সাপেক্ষ। মাছের লে, চর্বিযুক্ত মাছ, মাখন, ঘি, দুধ-এই জাতীয় খাবারে উচ্চপরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। উদ্ভিজ খাবারে যে পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে তা অভাব পূরণে পর্যাপ্ত নয়। তবে এই ক্ষেত্রে মাশরুম কিছুটা ব্যতিক্রম।  এই খাবার যেমন পুষ্টিকর, তেমন সুস্বাদু। এক ইন্সটাগ্রাম রিলে পুষ্টিবিদ লিন্ডি কোহেন বলেন, ‘ভিটামিন ডি‘য়ের চমৎকার উৎস হলো মাশরুম। মাশরুম খাওয়ার যেমন নানা রকম পুষ্টিকর সুবিধা রয়েছে, তেমনই এটি বেশ সাশ্রয়ী। অন্যান্য দামী খাদ্যের বিকল্প হিসেবে মাশরুম খাওয়া একটি ভালো পদক্ষেপ হতে পারে। তবে উত্তম এই খাদ্য উপাদানকে আরও বেশি লাভজনক করা যেতে পারে। খুব ছোট একটি পদক্ষেপের মাধ্যমেই মাশরুমের পুষ্টিগুণ বাড়ানো যায়।’

রান্না করা মাশরুম

তিনি পরামর্শ দেন, বাইরে থেকে কিনে এনে মাশরুমকে রান্না করার আগে রোদে রাখতে। সকালের পরপর ১ থেকে ২ ঘণ্টার জন্য উন্মুক্ স্থানে মাশরুমকে রোদ পোহাতে রাখা যেতে পারে। লম্বা ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট বা চওড়া পাত্রে মাশরুমগুলোকে ছড়িয়ে দিয়ে রোদে রাখা যেতে পারে। এতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মাশরুমের বেশিরভাগ অংশ রোদের সংস্পর্শে আসতে পারে।  বিষুবরেখা থেকে দূরের অঞ্চলে এবং শীতকালে চাষ করা মাশরুমে ভিটামিন ডি এর কিছু ঘাটতি দেখা যায়। কারণ মাশরুমের ধরন, সূর্যের আলোর তীব্রতা ও সংস্পর্শ, চাষের সময়- বিভিন্ন বিষয়ের উপর মাশরুমের পুষ্টির সহজলভ্যতা নির্ভর করে।  

রোদের আলোয় ভিটামিন ডি

আমাদের দেশে যেসব মাশরুম খাওয়া হয় তা সম্পূর্ণরূপে ভিটামিন ডি সরবরাহ করতে পারে কিনা- তা নিয়ে সন্দিহান পুষ্টিবিদরা। ভারতীয় চিকিৎসক শুভ রমেশ এই নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। মাশরুমে এরগোস্টেরল নামের একটি যৌগ রয়েছে। সূর্যরশ্মি যখন মাশরুমে পড়ে তখন অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে এটি ভিটামিন ডি-২ তে রূপান্তরিত হয়। সকালেরেোদ শরীরে পড়লে যেমন শরীরে ভিটামিন ডি-৩ সংশ্লেষণ হয়, অনেকটা অনুরূপ পদ্ধতিতেই এই প্রক্রিয়া হয়। তবে ভিটামিন ডি২ এবং ডি৩ এর কার্যকারিতা এবং ধরন ভিন্ন হয়। ডি৩ সাধারণত ডি২ এ তুলনায় রক্তে ভিটামিন ডি বাড়াতে ও ধরে রাখতে বেশি কার্যকর।      

 তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরিয়ড মানেই মুড সুইং, ক্র্যাম্প, পেইন। তবু এটুকুই যথেষ্ট না। পিরিয়ডের সবচেয়ে কমন ফেনোমেনা হলো রক্তক্ষরণ, যা বয়স ও ব্যক্তিভেদে বিভিন্নরকম হয়। কারও কারও শুরুতে হেভি ফ্লো হয়ে পরে কমে যায়, আবার কারও পুরো সময়জুড়েই হালকা অথবা ভারী ব্লিডিং হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক রক্তক্ষরণের পরিমাণ ৩০-৫০ মিলিলিটার, কিন্তু যখন রক্তক্ষরণের মাত্রা এর চেয়ে বেশি হয়ে যায়, মেডিকেলের ভাষায় তাকে বলে হেভি মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বা এইচএমবি। ধারণা করা হয়, শতকরা ২৫ ভাগ নারীর হেভি ফ্লো হয়। 

যেহেতু হেভি ফ্লো হলে প্রতি ২-৩ ঘন্টায় ন্যাপকিন পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, এবং স্বচ্ছন্দে প্রতিদিনের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমনকি ভালোভাবে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেইন্টেইন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই ডিপ্রেসড হয়ে যায়। 

এছাড়া হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা ঠিক হবে কি হবে না, এ নিয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট না থাকায় হেভি ফ্লো-এর সময়টা অনেকের জন্যই খুবই পীড়াদায়ক মনে হয়। বিশেষভাবে কর্মজীবী নারীরা এই বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ন্যাপকিন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারে।


কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘন্টা পরে থাকা সম্ভব। তাই শুধুমাত্র গৎবাঁধা ধারণার উপর নির্ভর না করে, হেভি ফ্লো-এর কঠিন এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

;

স্বাস্থ্য সচেতনতা

গরমে লাচ্ছির নানান উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানান রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়।

এই ধরনের পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করার কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয় লাচ্ছি বা দুগ্ধজাতীয় পানীয়। গরমে পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে এ পানীয়। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে এ পানীয়।

ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি বা দুগ্ধ জাতীয় পানীয় খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গরমে শরীরকে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলার দরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো- লাচ্ছি। লাচ্ছির উপকারিতা সম্পর্কে ত্রুপ্তি পাধী যে বিষয়গুলো তুলে ধরেন, সেগুলি হচ্ছে-

পানিশূন্যতা: লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন। তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম এ ধরনের পানীয়। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি দেয় এ পানীয়।

হজম: এই ধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।

হৃদক্রিয়া: নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে হার্ট সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

এনার্জি বুস্টার: লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে৷

মজবুত হাড় এবং দাঁত: দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে। ফলে, শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। তার সঙ্গে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র: এই ধরনের পানীয় অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে তৃপ্তি অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব উপকারী লাচ্ছি।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;