ওজন বাড়াবে না ছয় উপকারী খাবার



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ডিম খাওয়া যাবে নিশ্চিন্তে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

ডিম খাওয়া যাবে নিশ্চিন্তে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

  • Font increase
  • Font Decrease

যারা স্বাস্থ্য সচেতন ও নিয়ম মেনে খাবার খেয়ে থাকেন, তাদের জন্য খাদ্য নির্বাচন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

কোন খাবার খেলে ওজন বাড়বে না ও ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না সেটা বুঝে ওঠা সম্ভব হয় না। একেবারে না খেয়ে থাকা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্যকর, স্বল্প ক্যালোরিযুক্ত ও উপকারী খাদ্য উপাদান বেছে নেওয়া তাই খুবই জরুরি।

আজকের ফিচারে এমন কয়েকটি খাবারের সাথে আপনাদের পরিচিত করিয়ে দেওয়া হবে, যা ওজন বৃদ্ধি তো করবেই না, বরং দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে আনতেও সাহায্য করবে।

ডিম

এমন খাবারের তালিকার প্রথম দিকেই থাকবে ডিম। শুধু ডিমের সাদা অংশ বা কুসুম নয়, সম্পূর্ণ ডিমই খাওয়া যাবে নিশ্চিন্তে। গবেষণা জানাচ্ছে, ডিম খাওয়ার ফলে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের (LDL) মাত্রা বৃদ্ধি পায় না। এছাড়া ডিমের প্রোটিন ও অ্যামিনো অ্যাসিড সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ। কার্বোহাইড্রেটের চাইতে ডিমের প্রোটিন পেট ভরা রাখতে কাজ করে বিধায়, সকালের নাশতায় একটি ডিম ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

ওটস

পর্যাপ্ত পরিমাণ জলীয় অংশ ও খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ ওটস খুবই চমৎকার একটি খাবার। যদিও ওটসের নিজস্ব কোন স্বাদ নেই ও এটা খেতে প্রায় বিস্বাদ বলে অনেকেই খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু ফল, ড্রাই ফ্রুটস, বাদাম, মধু ও দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে দারুণ লাগবে। বেটা গ্লুকেন ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ সমৃদ্ধ ওটস খেতে পারবেন ইচ্ছামতো অথচ ওজন নিয়ে একেবারেই ভাবতে হবে না।

ব্রথ স্যুপ

ক্ষুধা দূর করার জন্য স্যুপকে উপযুক্ত খাবার হিসেবে দেখেন না অনেকেই। কিন্তু স্যুপও হতে পারে ক্ষুধা নিবারণের জন্য পারফেক্ট একটি খাবার। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে সলিড খাবারের চাইতে স্যুপ ক্ষুধা দূর করতে বেশি কার্যকরি। বিভিন্ন ধরনের সবজি ও মুরগির মাংসে তৈরি ব্রথ ঘরানার স্যুপ একইসাথে স্বল্প ক্যালোরি, সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকর ও ক্ষুধা দূর করতে কাজ করবে। বিশেষ করে যারা বাড়তি ওজন কমাতে চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য এমন স্যুপ দারুণ উপকারী।

আপেল

অন্যান্য ফলের মাঝে আপেল থেকে সবচেয়ে বেশি পেকটিন নামক দ্রবণীয় আঁশ পাওয়া যাবে। যা পাকস্থলিস্থ খাদ্য পরিপাকে কাজ করে। ৮৫ শতাংশ জলীয় অংশ সমৃদ্ধ ও স্বল্প ক্যালোরি সমৃদ্ধ আপেল হতে পারে সবচেয়ে দারুণ একটি খাদ্য উপাদান। বিশেষত যারা ওজন কমাতে চেষ্টা করছেন, সকাল ও বিকালের নাশতায় একটি আপেল একইসাথে ক্ষুধাভাবকে দূর করবে ও ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করবে।

মাছ

বিভিন্ন ধরনের মাংসের ভিড়ে স্বাস্থ্যকর প্রাণিজ প্রোটিন গ্রহণ করতে চাইলে মাছ সবচেয়ে উৎকৃষ্ট খাদ্য উপাদান। উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ শারীরিক সুস্থতার নানান চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে কাজ করবে। তবে মাছের পাশাপাশি লিন মিট তথা মুরগির মাংসের থেকেও পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রাণিজ প্রোটিন পাওয়া যাবে।

খই

অলস সময়ে, বই পড়া কিংবা সিরিজ দেখার সঙ্গী হিসেবে চোখ বন্ধ করে রাখতে পারেন খই বা পপকর্ন। পটেট চিপস বা অন্যান্য তেলেভাজা খাবারের চাইতে খই অনেক স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। বিশেষত খইয়ের ভেতরে পর্যাপ্ত পরিমাণ বাতাস থাকায়, অল্প খইতেই ক্ষুধাভাব দূর হয়ে যায়। বাইরের প্যাকেটজাত খই না কিনে ঘরে অল্প তেল ও লবণে প্রস্তুত করা খই হবে স্বাস্থ্যকর। চাইলে খইয়ের সাথে আদা ও রসুনের পাউডার এবং অ্যাভোকাডো অয়েল যোগ করা যেতে পারে স্বাদ বাড়ানোর জন্য।

আরও পড়ুন: জানা-অজানায় অপরাজিতা ফুলের চা!

আরও পড়ুন: খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করবে যে পাঁচ খাবার

   

ঘূণিঝড়ের সময়ে সতর্কতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঘূণিঝড়ের সময় করণীয়

ঘূণিঝড়ের সময় করণীয়

  • Font increase
  • Font Decrease

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। উপকূল অঞ্চলগুলোতে ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টি আর উত্তাল ঢেউয়ের প্রকোপ। কিছু অঞ্চলে পানি ও বাড়তে শুরু করেছে। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করার পরও অনেকে নির্বিকার। ঘূর্ণিঝড়ের এমন সংকটময় মুহূর্তে সাবধান হতে হবে সকলকে। ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে কি করতে হবে জেনে নিন-

১. মোবাইল, টিভি সহ অন্যান্য গণমাধ্যম থেকে নিজ এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিন। বিদ্যুৎ সংকট হলে রেডিও থেকে খবর নিন। অথবা এলাকায় প্রচার করা সতর্ক বাণী মনেযোগ দিয়ে শুনুন।  

২. নিজের পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সতর্কতা সম্পর্কিত তথ্যগুলো পর্যবেক্ষণ করতে থাকুন। ঘূর্ণিঝড়ের জরুরি অবস্থার গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকুন। বৈদ্যুতিক জিনিসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখুন। 

৩. বিপদে বিচলিত হওয়া যাবে না। অন্যদের কাছে নিজ অবস্থানের তথ্য পাঠান। গুজব উপেক্ষা করুন এবং এধরনের খবর রটানো এড়িয়ে চলুন। এতে বিপদের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত আতঙ্ক সৃষ্টি এড়ানো যাবে।

৪. শুধুমাত্র অফিসিয়াল তথ্য বিশ্বাস করুন। আপনার এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা চালু থাকলে স্বাভাবিক কাজ চালিয়ে যান। পাশাপাশি রেডিওসহ অন্যান্য মাধ্যমে সতর্কবাণী প্রচারে খেয়াল রাখুন। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আনুমানিক বিপদ পরিস্থিতি জেনে নিন।

৫. উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় মহাবিপদ সংকেত দিয়ে সতর্কতা দেওয়ায় নিচু সৈকত বা উপকূল থেকে দূরে সরে যান। উঁচু জমিতে বা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করুন।

৬. উপকূল এবয় বন্দর অঞ্চলে যাদের বাড়ি নিরাপদে উঁচু জমিতে তারা বাড়িতেই অবস্থান করুন। যদি বাড়ি খালি করতে বলা হয় তবে অতিসত্তর আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে দ্বিধা করবেন না।

৭. সেসব অঞ্চলে যাদের বাড়িতে কাঁচের জানালা ও দরজা আছে তারা বোর্ড দিয়ে আগলে বা শাটার লাগিয়ে রাখুন। বাইরে থেকে আড়াল করার শক্তিশালী বিকল্প মাধ্যম থাকলে তাও ব্যবহার করতে পারেন। নয়তো ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে কাচের জানালা ভেঙে আরও বড় বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

মহাবিপদ সংকেতে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করুন

৮. ঢেকে রাখা যায় এমন পাত্রে যথাসম্ভব অতিরিক্ত খাবার এবং পানীয় জল সংরক্ষণ করুন। প্রয়োজনে যেন বহন করা যায় সে ব্যবস্থা করে রাখুন।

৯. হারিকেন, লণ্ঠন, টর্চ মোম বা অন্যান্য জরুরী বাতি ধরনের জিনিস হাতের কাছে রাখুন। প্রয়োজনীয় জিনিস বহনযোগ্য শক্তিশালী পানিপ্রতিরোধক ব্যাগে প্যাক করুন। ওষুধ, শিশু বা বয়স্কদের জন্য বিশেষ খাবার, শুকনো খাবার, ব্যাটারি, চার্জার সহ অন্যান্য জিনিস সংগ্রহ করে রাখুন।

১০. বন্যা বাড়ি ছাড়তে হলে মূল্যবান জিনিস বাড়ির উপরের তলায় নিয়ে যান। ছোট এবং আলগা জিনিস, যা প্রবল বাতাসে উড়তে পারে, ঘরে নিরাপদে সংরক্ষণ করা উচিত।

১১. ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ কেটে না যাওয়া অবধি বাতাস শান্ত হয়ে গেলেও বাইরে বেরোবেন না। বিরূপ পরিস্থিতিতে আগে জীবন বাঁচানোর চিন্তা করুন। সহায়-সম্পত্তি নিয়ে হাহাকার করা বোকামি। আশ্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বরতরা  যতক্ষণ না আপনাকে চলে যাওয়ার জন্য জানানো হয় ততক্ষণ আশ্রয়কেন্দ্রেই অবস্থান করুন।

 তথ্যসূত্র: এনডিএমএ

;

পারিবারিক যত্নে কমবে ‘হ্যালুসিনেশন’



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আড়াল থেকে কেউ যেন অনবরত ভয় দেখাচ্ছে। চোখের সামনে যেন বিচিত্র সব দৃশ্য ভাসছে। কাছের মানুষগুলোকেও আর বিশ্বাস হয় না। কল্পনায় ভেসে আসে উত্যক্ত করা কোনো কণ্ঠস্বর। অবচেতন মনেও দেখা যায় কেউ আড়ালে আবডালে ষড়যন্ত্র করছে। মনের এই জটিল অবস্থার নাম স্কিৎজোফ্রেনিয়া বা হ্যালুসিনেশন। এটি এমন এক অসুখ যার প্রকৃত কারণ আজও ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেননি মনোবিদেরা।

‘হ্যালুসিনেশন’ মনের এমন এক অবস্থা যেখানে রোগী সবসময়েই নিজের মনগড়া এক কাল্পনিক জগতে বাস করে। মস্তিষ্কে রাসায়নিক ভারসাম্যের তারতম্যের কারণেই এমন অসুখ হতে পারে। ভ্রান্ত ধারণা ও দৃষ্টিবিভ্রম স্কিৎজোফ্রেনিয়ার দুই লক্ষণ।

মনের যেসব জটিল ও বিচিত্র অসুখবিসুখ নিয়ে গবেষণা চলছে স্কিৎজোফ্রেনিয়া তার মধ্যে একটি। এই অসুখ নিয়ে যেমন স্বচ্ছ ধারণা নেই, তেমনই আর পাঁচজন মনোরোগীর সঙ্গে স্কিৎজোফ্রেনিয়ার রোগীকে আলাদা করাও অনেকক্ষেত্রেই কঠিন হয়ে যায়। ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ’-এর রিপোর্ট বলছে, প্রতি হাজার জন ভারতীয়ের মধ্যে তিন জন স্কিৎজোফ্রেনিয়ার শিকার।

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক মনোবিদ শর্মিলা সরকার বলছেন, স্কিৎজোফ্রেনিয়াকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় ‘মেজর মেন্টাল ডিসঅর্ডার’। মনের এমন এক অবস্থা যেখানে, রোগী সবসময়েই নিজের মনগড়া এক কাল্পনিক জগতে বাস করে। মস্তিষ্কে রাসায়নিক ভারসাম্যের তারতম্যের কারণেই এমন অসুখ হতে পারে।

স্কিৎজোফ্রেনিয়ার রোগী কেমন আচরণ করে?

স্কিৎজোফ্রেনিয়ার রোগীরা অশান্ত ও উত্তেজিত মেজাজে থাকে। অথবা এমনভাবে নিজেকে গুটিয়ে নেয় যে তার মনোজগতে কী চলছে, তা বোঝা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। রোগী কখন কী করবে, কেমন আচরণ করবে তার আঁচটুকুও পাওয়া যায় না। 

মনোবিদ শর্মিলা বলছেন, ‘ক্লিনিকে এমন অনেক রোগী আসেন, যারা বলেন যে তার মা-ই নাকি তার ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন। অথবা নিজের মনেই বিড়বিড় করতে থাকেন সবসময়। এমন রোগীও আছেন যারা সবসময়েই অজানা, অচেনা কারও কণ্ঠস্বর শুনতে পান। চোখের সামনে ভুল জিনিস দেখেন, অযথা আতঙ্কে ভোগেন।’

এই প্রসঙ্গে ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট চিকিৎসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলছেন, ভ্রান্ত ধারণা ও দৃষ্টিবিভ্রম এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। একটি বধ্যমূল ধারণা রোগীর মাথায় গেঁথে যায়। তখন সে চোখের সামনেও ভুল দেখে এবং কানেও ভুল শুনতে শুরু করে। এই ভ্রান্ত ধারণাকে চিকিৎসার ভাষায় বলে ‘ডিলিউশন’ ও দৃষ্টিবিভ্রমকে বলে ‘হ্যালুসিনেশন’। 

হ্যালুসিনেশন হল কাল্পনিক কিছু দেখা বা শোনা। অডিটরি হ্যালুসিনেশন হলে, রোগীর মনে হবে বাইরে থেকে কোনও শব্দ বা কণ্ঠস্বর ভেসে আসছে, যেগুলির কোনও বাহ্যিক উৎস নেই। এরও নানা রকম প্রকাশ হতে পারে। মনে হতে পারে, এক বা একাধিক মানুষ তাকে নিয়ে সারাক্ষণ কথা বলছে বা সমালোচনা করে চলেছে। অথবা সারাক্ষণ কেউ তার সঙ্গে কথা বলে চলেছে। এই রোগীর কথাবার্তাও অসংলগ্ন হয়।

কেন হয় এই রোগ?

মনোবিদেদের মতে, কোনও ওষুধ বা নেশার কারণে এই রোগ হয় না। তবে মানসিক চাপ বাড়লে, তার থেকে স্কিৎজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। এই রোগের কারণ জিনগত। পরিবারে কারও থাকলে তার থেকে রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাছাড়া আক্রান্তের বেড়ে ওঠা, শৈশব বা জীবনের কোনও এক পর্যায়ে ঘটে যাওয়া কোনও বিশেষ ঘটনাও এর জন্য দায়ী হতে পারে।

স্কিৎজোফ্রেনিয়ার প্রতিকার কি সম্ভব?

মনোবিদ শর্মিলার কথায়, স্কিৎজোফ্রেনিয়া পুরোপুরি সারানো সম্ভব হয় না অনেকক্ষেত্রে। তবে সঠিক সময় চিকিৎসা শুরু হলে এবং রোগী ঠিকমতো ওষুধপত্র খেলে এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। এর জন্য রোগীর পরিবার ও আশপাশের লোকজনদের সচেতন থাকা জরুরি। রোগী বিকৃত আচরণ শুরু করলে তাকে উপযুক্ত চিকিৎসা, মনোবিদদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। 

তবে আধুনিক যুগের ব্যস্ততা, বদলে যাওয়া সম্পর্কের সমীকরণ, অনিচ্ছার জীবনযাপন বিভিন্ন মানসিক রোগ ডেকে আনে। পরিবার পরিজনের অবহেলা, কটুক্তি এই রোগকে তার চরম সীমায় নিয়ে যায়। তাই মনোবিদ অনিন্দিতা ও শর্মিলা জানাচ্ছেন, কোনও সময়েই রোগীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করা চলবে না। ঠান্ডা মাথায় তাকে বোঝাতে হবে। সমাজের সঙ্গে মেলামেশা করতে দিতে হবে। বাড়িতে লোকজন এলে তাকে লুকিয়ে রাখবেন না, সকলের সামনে নিয়ে আসুন, কথাবার্তা বলতে দিন। এতে তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে, মনের ভয় দূর হবে। গ্রামের দিকে এমন রোগীকে ‘ভূতে পেয়েছে’ মনে করে ওঝা, তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে তার অবস্থা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তাই শুধু ওষুধ নয়, শিক্ষা ও সচেতনতাও এই রোগ প্রতিরোধের অন্যতম উপায়।

স্কিৎজোফ্রেনিয়ার রোগী অনেকক্ষেত্রেই প্রতিহিংসায় ভোগে। অন্যকে আঘাত করা বা খুন করার ইচ্ছা জন্মায়। একে বলা হয় ‘প্যারানয়েড স্কিৎজোফ্রেনিয়া’। এমন রোগী নিজেরও ক্ষতি করতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে, রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব মনোবিদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। সঠিক ওষুধ ও সাইকোথেরাপিতে রোগীর মানসিক স্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

;

তরমুজ এবং খরমুজ খেয়ে হচ্ছে ফুড পয়জনিং



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তরমুজ এবং খরমুজ / ছবি: সংগৃহীত

তরমুজ এবং খরমুজ / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তপ্ত গরমে প্রশান্তি দিতে পারে রসালো তরমুজ। গরমের সময়ে জন্মানো এই ফল যেমন সুস্বাদু তেমনই পানিসমৃদ্ধ। তবে এই ফল আসলে কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে।  

ইদানিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়াচ্ছে, যেখানে বলা হচ্ছে তরমুজ এবং খরমুজ জাতীয় ফল খেয়ে বিষক্রিয়া হচ্ছে। অনেকেরই নাকি এই ধরনের ফল খাওয়ার পর ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

এই ব্যাপারে কথা বলেছেন ভারতীয় চিকিৎসক কোমল কুলকার্নি। তিনি বলেছেন, অবশ্যই সব জায়গার ফলে এরকম বিষক্রিয়া হওয়ার লক্ষণ নেই। তবে কিছু স্থানে আসলেও সমস্যাযুক্ত ফল মিলছে। এই ফলগুলোতে বিষক্রিয়ার পিছনে মূলত দুটি কারণ রয়েছে।

প্রথমটি হলো ফলে ব্যবহৃত কৃত্রিম রঙ এবং স্বাদ বাড়াতে রঞ্জক পদার্থ।  তার সাথে মিষ্টি স্বাদ বাড়াতে চিনির শরবত ব্যবহার করা। অন্যদিকে দ্বিতীয়টি কারণ হল, মাটির ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত স্থানে ফলের জন্মানো।

আরেকটি ইনস্টাগ্রাম রিলে, ভারতীয় এক স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক মিরুনা বাশকার তার নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। তিনি জানান, একটি তরমুজ খাওয়ার পর তার ফুড পয়জনিং হয়। এর পেছনে যে কারণ থাকতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন- তরমুজ বিক্রেতারা লাভ করার লোভ থেকে ফলে ইরিথ্রোসিনের মতো বিষাক্ত ফুড কালার ব্যবহার করে। সাধারণত উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপিন থেকে তরমুজ তাদের প্রাকৃতিক লাল রঙ পায়। তবে আকর্ষণীয় করার জন্য লাল-গোলাপী রঙ তরমুজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলগুলোতে তাজা এবং রসালো দেখিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। এসব রঙে সীসা বা মিথানলের মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে। এর ফলে জ্বর, ডায়রিয়া, বমি এবং ক্র্যাম্প বা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এছাড়াও ফুড পয়জনিং, হজমের সমস্যা এবং এমনকিক্যান্সারও হতে পারে। 

এছাড়া যদি মাটিতে ব্যাকটেরিয়ার কারণে তরমুজে সমস্যা আসে সেটা আরও গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। গর্ভবর্তী মা, ছোট শিশুদের উপর সেই ধরনের ফল অনেক বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। অন্যান্য সাধারণ সমস্যা ছাড়াও গর্ভপাতের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে এইরকম ফল খেলে। এইজন্য ফল বাইরে থেকে এনেই সরাসরি খাওয়া যাবে না। নিজের এবং পরিবারের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ফলগুলোকে দূষণমুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে।  

সুরক্ষার জন্য ভিনেগার দ্রবণ ব্যবহার করতে পারেন। বাটিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ  ভিনেগার নিয়ে তার ৩ গুণ পানি ব্যবহার করে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এই পানি ব্যবহার করে ফল ধুয়ে নিন। যদিও ফলের ভেতরের অংশের সব জীবাণু এর মাধ্যমে ধ্বংম করা সম্ভব নয়।

এছাড়া ফল কাটার আগে এবং পরে পাত্র, কাটিং বোর্ড, ছুড়ি জীবাণু মুক্ত করতে স্যানিটাইজ করে নিন। ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ধীর করার জন্য কাটা তরমুজ ফ্রিজে রাখতে পারেন। বাসি এবং ক্ষতি সম্পন্ন তরমুজ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে কি করবেন!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সময়ে অনেক মানুষই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন। গরমকালে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকে। আর গরমে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে আপনাকে প্রতিদিন এই সবজিগুলো খেতেই হবে। দেখুন তালিকায় কোন কোন সবজি রয়েছে। গ্রীষ্মের মৌসুমে রোজই টমেটো খেতে পারেন আপনিও। কারণ, এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে। এই সবজিটি নিয়মিত খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমবে। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। ত্বকও ভালো থাকে। টমেটো আপনি সালাদ, চাটনি বা স্যুপ করে খেতে পারেন।

কলা
কলা যদি আপনি ইউরিক অ্যাসিড রোগে আক্রান্ত থাকেন তাহলে নিত্যদিন কলা খেতে পারেন। এতে ইউরিক অ্যাসিড কমে এবং গাঁটের ব্যথা থাকলে তাও দ্রুত কমবে।

কুমড়া
কুমড়া গরমকালে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে, শরীর সুস্থ রাখতে নিত্যদিন খান কুমড়া। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এতে থাকে ভিটামিন সি। যা ত্বক ও চুলের জন্য খুব ভালো। এতে কম পরিমাণ পিউরিন থাকে। পিউরিন জাতীয় খাবার খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমতে থাকে শরীরে।

মাশরুম
গরমকালে মাশরুম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এতে বিটা গ্লুকোন থাকে। যা জয়েন্টের ফোলাভাবে কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কমবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা।

শশা
গরমকালে শরীর একেবারে ফিট রাখতে আপনি রোজ খান শশা। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। শশাতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। শশা খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমবে। তাছাড়াও থাকে ফাইবার। যা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।

চেরি
চেরি গরমকালে ইউরিক অ্যাসিডের রোগীরা নিত্যদিন খান চেরি ফল। চেরিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি থাকে। তাছাড়াও থাকে খনিজ। যা আপনার শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

পটল
গরমকালে নিত্যদিন খান পটল। পটল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এমনকি বাতের ব্যথা কমাতেও কার্যকরী পটল।

কিউই ফল
যারা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিত্যদিন খেতে পারেন কিউই ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম ও ফ্লোলেট থাকে। যা শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়।

তথ্যসূত্র- ওয়ান ইন্ডিয়া

;