ওজন কমাতে যে কাজগুলো এড়িয়ে যেতে হবে

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

না খেয়ে থাকার অভ্যাসটি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে

না খেয়ে থাকার অভ্যাসটি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে

বাড়তি ওজনকে ঝেড়ে ফেলতে চাইলে নিয়ম মেনে চলার কোন ব্যতিক্রম নেই একদম।

তবে অনেকেই নিয়ম মানার পরিবর্তে অতি নিয়ম তথা ভুল নিয়মের চক্করে পড়ে যান। ফলে চেষ্টা করেও ওজন কমানো সম্ভব হয় না। কারণ সে সকল ভুল নিয়ম ওজন কমানোর পথে অন্তরায় হয়ে উঠে। শুধু ওজন কমানোর ক্ষেত্রেই নয়, শারীরিক অবস্থার উপরেও তৈরি করে নেতিবাচক প্রভাব। জেনে রাখুন ওজন কমাতে কোন ভুলগুলোকে এড়িয়ে চলতে হবে।

না খেয়ে থাকা

ওজন কমানোর প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ক্ষতিকর হলো একদম না খেয়ে থাকা অথবা কোন এক বেলায় খাবার না খাওয়া। এতে করে প্রাথমিকভাবে কিছুটা ওজন কমলেও পরবর্তীতে সঠিক নিয়মে খাবার খাওয়া শুরু করলে যতটুকু ওজন কমেছিল, তার চাইতে অনেক বেশি ওজন বেড়ে যায়। তাই না খেয়ে থাকা কখনোই ডায়েটের মাঝে পড়ে না। বরং প্রতি বেলায় পরিমিত, স্বাস্থ্যকর ও ডায়েট ফ্রেন্ডলি খাবারকে রাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সকালে নাশতা না করা

প্রথম ভুলের হাত ধরেই এই অভ্যাসটি দেখা দেয়। তাছাড়া অনেকেই সকালের নাশতা করতে অনীহা প্রকাশ করেন। রাতের খাবার গ্রহণের পর লম্বা সময়ের বিরতি থাকে। এরপর সকালে নাশতা করা খুবই জরুরি। কিন্তু সকালেও নাশতা না করা হলে মেটাবলিজমের প্রক্রিয়ায় গড়মিল হয়ে যায়। এতে করে ওজন কমানোর চেষ্টা করা হলেও খুব একটা ফলপ্রসূ হয় না। তাই ওজন কমাতে চাইলে সকালের নাশতাকে কোনভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। ওটস, বাদাম, দুধ, ডিম, কলার মতো উপকারী খাবার রাখা যেতে পারে নাশতা হিসেবে।

কম ঘুমানো

বিজ্ঞাপন

ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় কখনোই প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুমানো উচিত নয়। কম ঘুমানোর সাথে ওজন বৃদ্ধির খুব দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। ঘুম কম হলে শরীর সবসময় ক্লান্ত থাকে এবং এতে করে বারবার ক্ষুধাভাব দেখা দেয়। এতে করে বারংবার খাওয়া হয় এবং স্বাভাবিকভাবেই ওজন বেড়ে যায়। এছাড়া ক্লান্তিতেও শরীর বিশ্রাম না পেলে কর্টিসল হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। যা পরোক্ষভাবে ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

অতিরিক্ত শরীরচর্চা করা

অবশ্যই পরিমিত খাদ্যাভ্যাস, সঠিক ডায়েট ও শরীরচর্চা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে জরুরি, কিন্তু না জেনে ও বুঝে প্রয়োজনের চাইতে বেশি শরীরচর্চা করা হলে তা ব্যাক ফায়ার করে এবং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। প্রত্যেকের শরীরের ধরণ অনুযায়ী একেক ধরনের শরীরচর্চা প্রয়োজন হয় এবং সময়সীমাও ভিন্ন হয়। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তবেই শরীরচর্চা করা উচিত।

খাদ্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অবগত না হওয়া

এই অভ্যাসটি আমাদের সবার মাঝেই আছে, যেকোন খাবারের ক্যালোরি পরিমাপ ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে না জেনে খেয়ে ফেলা। তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এই অভ্যাসটি পরিহার করতে হবে। কী খাওয়া হচ্ছে, তাতে কি উপকারিতা আছে, কতটুকু পরিমাণ খাবারে কত ক্যালোরি- এই সকল তথ্য জেনে তবেই খাবার খেতে হবে। এতে করে ওজনকে খুব সহজেই খাদ্যাভ্যাসের সাথে সাথে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

আরও পড়ুন: ওজন কমানো সম্ভব শরীরচর্চা না করেই!

আরও পড়ুন: খাদ্যাভাসের যে পাঁচ বদভ্যাসে কমছে না ওজন