লক্ষণ জানুন, আত্মহত্যা প্রতিরোধ করুন



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতন হওয়া প্রয়োজন

আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতন হওয়া প্রয়োজন

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা প্রতিরোধে ২০০৩ সাল থেকে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখ ‘ওয়ার্ল্ড সুইসাইড প্রিভেনশন ডে’ তথা বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়। দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশনের সাথে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) ও ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফোর মেন্টাল হেলথ একসাথে এই দিনটি পালন করে।

বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আত্মহত্যার হার ও আত্মহত্যা প্রবণতা উভয়ই বৃদ্ধি পাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণায় দেখা গেছে গত এক দশকে অস্ট্রেলিয়াতে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। গবেষকেরা এই সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে দুষছে ঋণ, একাকীত্ব ও বন্দী জীবনযাপনকে।

বাইরের দেশের কথা রেখে এবারে নিজ দেশের দিকে তাকানো যাক। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রতি এক লাখ মানুষের মাঝে ১২৮ জন আত্মহত্যা করছে। দ্য ডেইলি স্টারের তথ্যানুযায়ী ২০০২-২০০৯ সাল পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছে ৭৩,৩৮৯ জন।

সঠিক পদক্ষেপ সঠিক সময়ে গ্রহণ করতে পারলে খুব সহজেই আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। একজন আত্মহত্যা প্রবণ ব্যক্তিকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে তার জন্য আত্মহত্যার লক্ষণ, কারণ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরি।

আত্মহত্যা প্রবণতার লক্ষণ

একজন আত্মহত্যা প্রবণ মানুষ অথবা বিষণ্ণতার দরুন নিজের ক্ষতি করার মতো চিন্তা করতে পারে, এমন মানুষের মাঝে কিছু বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ও কমন লক্ষণ দেখা দেয়। লক্ষণগুলো হলো-

১. নিজেকে ট্র্যাপট বা কোন অবস্থায় ও অবস্থানে বন্দী মনে করা।

২. প্রচণ্ড মানসিক কষ্টে থাকা।

৩. মৃত্যু বা সহিংসতা নিয়ে অধিক চিন্তায় সময় কাটানো।

৪. ঘনঘন মেজাজের পরিবর্তন হওয়া। কখনো ভালো আবার পরক্ষণেই খারাপ।

৫. অপরাধবোধ, লজ্জা বা প্রতিশোধ নেওয়া মূলক কথা বলা।

৬. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া।

৭. নিত্যদিনের রুটিনসহ ঘুমের রুটিনে পরিবর্তন দেখা দেওয়া।

৮. মদ্যপান বা মাদকে আসক্তি তৈরি হওয়া।

৯. চারপাশের সবকিছুতে নির্লিপ্ততা চলে আসা।

১০. নিজের পছন্দের জিনিসপত্র অন্যকে দিয়ে দেওয়া।

১১. বিষণ্ণতা, প্যানিক অ্যাটাকের মতো সমস্যাগুলো বেশি দেখা দেওয়া।

১২. নিজেকে অনেকটা গৃহবন্দী করে ফেলা।

১৩. নিজেকে অন্যের বোঝা মনে করা।

১৪. নিজের সম্পর্কে অতিরিক্ত বিরূপ ধারণ পোষণ করা।

১৫. বেঁচে থাকা কতটা যন্ত্রণাদায়ক ও এই বিষয়ক কথা বলা।

আত্মহত্যা প্রবণতা দেখা দেওয়ার কারণ

নানান কারণ ও ঘটনা প্রবাহের দরুন একজনের মাঝে আত্মহত্যা প্রবণতা দেখা দিতে পারে। সেটা হতে পারে আর্থিক সমস্যা, মানসিক সমস্যা, পারিবারিক সমস্যা, শারীরিক অসুস্থতা, সম্পর্কজনিত সমস্যা কিংবা কোন দুর্ঘটনার প্রভাব। মূলত অপ্রতিরোধ্য ও অনিয়ন্ত্রিত দুঃখ ও কষ্ট থেকেই আত্মহত্যার মতো চিন্তা কাজ করে। প্রধান যে সকল কারণে এমন চূড়ান্ত বিষয়টি কারোর মাঝে কাজ করতে পারে তার কয়েকটি এখানে জানানো হলো।

১. পরিবারের কারোর মানসিক সমস্যা থাকা

২. পরিবারের কোন সদস্যের নির্যাতনের ঘটনা ঘটা।

৩. সমস্যাযুক্ত পরিবারের গঠন।

৪. পরিবারের কারোর আত্মহত্যার ঘটনা।

৫. সবসময় আশাহীন বোধ হওয়া।

৬. অনেক মানুষের মাঝে থেকেও নিজেকে একা লাগা।

৭. লিঙ্গ ও যৌনতা নিয়ে সমস্যা থাকা।

৮. মাদকসেবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়া।

৯. মানসিক অসুস্থতা দেখা দেওয়া।

১০. ইতোপূর্বে কোন কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করা।

১১. অপরিশোধযোগ্য ঋণের বোঝ থাকা।

১২. ঘুমের অভাব ও ঘুমের সময় ঠিক না থাকা।

১৩. বায়পোলার ডিসঅর্ডারে ভোগা।

১৪. সোশ্যাল অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারে ভোগা।

১৫. অপমানসূচক আচরণের মুখোমুখি হওয়া।

কীভাবে রোধ করা যায় আত্মহত্যা প্রবণতা?

একজন আত্মহত্যা প্রবণ ব্যক্তিকে এই বিপদজনক স্থান থেকে সরিয়ে আনতে তার পরিবারের মানুষ ও বন্ধুদের সাহায্য প্রয়োজন সবার আগে ও সবচেয়ে বেশি। আত্মহত্যা প্রবণতার লক্ষণগুলো বেশিরভাগ সময়ে খুব স্পষ্ট হয়। এমনটা কারোর মাঝে ধরা পড়লে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

ভারতের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফোর মেন্টাল হেলথ এক্ষেত্রে পরামর্শ দেয় তিনটি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

১. আত্মহত্যা প্রবণ ব্যক্তির সাথে কথা বলা, জিজ্ঞাসা করা যে সে কোন কারণে বিষণ্ণ হয়ে আছে। কী কারণে সমস্যা বোধ করছে।

২. অবস্থা বুঝে দ্রুত তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া। বিশেষত ধারালো কোন জিনিস ও তরল কেমিক্যাল জাতীয় জিনিস তার নাগালের বাইরে নিয়ে যাওয়া।

৩. তার সাথে কথাবার্তা বলার সময় বারবার আশ্বস্ত করা, উৎসাহ দেওয়া ও তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করা। এতে সে মনের ভেতর চাপা কষ্ট বা ক্ষোভ উগড়ে দিতে পারবে।

আরও পড়ুন: দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন!

আরও পড়ুন: নিজের সাথে নিজের কথা বলার অভ্যাসটি কি ভালো?

   

মাইগ্রেনের সাধারণ উপসর্গ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাইগ্রেনের ব্যথা

মাইগ্রেনের ব্যথা

  • Font increase
  • Font Decrease

মাইগ্রেনের ব্যথা আমাদের মধ্যে সাধারণ সমস্যাগুলোর একটি। মূলত মাইগ্রেনের সমস্যার কারণে তীব্র মাথা ব্যথা হয়। মাথায় নির্দিষ্ট স্থানে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং টন টন করে। এছাড়া চোখে আলো পড়লে বা তীব্র বাতাসে সংবেদনশীলতার কারণে অস্বস্তি, মাথাব্যথার তীব্রতা বেড়ে ওঠা বা বমি বমি ভাব হওয়াও মাইগ্রেনের উপসর্গ। এই যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টা থেকে একাধিক দিন অবধিও স্থায়ী হতে পারে।

খুব সূক্ষ্ম মাত্রায় ঔষধ সেবনের মাধ্যমে যন্ত্রণা কমানো যেতে পারে। সঠিক চিকিৎসা এবং ভালো ওষুধের মাধ্যমে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে এটি নিরাময় করার স্থায়ী সমাধান হতে পারে না।

মাইগ্রেনের সমস্যা যেকোনো বয়সের মানুষেরই হতে পারে। একেকজনের ক্ষেত্রে সমস্যা একেকরকম হয়। তবে সকলের ক্ষেত্রেই কয়েকটি সাধারণ ধাপে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। এগুলো হলো- প্রোড্রোম, অওরা, অ্যাটাক, পোস্টড্রোম।

প্রোড্রোম: মূলত মাথাব্যথার তীব্রতা বাড়ার আগের ২৪ ঘণ্টার মুহূর্ত এটি। এই ধাপের উপসর্গ হতে পারে মেজাজ পরিবর্তন, কোষ্ঠ্কাঠিন্য, খাবার খাওয়ার ইচ্ছা, ঘন ঘন প্রসাব, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বেশি হাই ওঠা সহ আরও অনেক কিছুই হতে পারে।  

অওরা: এই পর্যায়ে মাথা ব্যাথা হওয়ার আগ মুহূর্তে বা মাথাব্যথার সময়ে নানারকম অসুবিধা দেখা দিতে পারে। কয়েক মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সময়ে মুখ, বাকযন্ত্র, মাথার সংবেদনশীল অংশে উপসর্গ দেখা দিতে পারে।     

অ্যাটাক বা আক্রমণ: এই পর্যায়ে মাথা ব্যথা তীব্রতার পর্যায়ে চলে যায়। একটানা ৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা অবধিও ব্যথা স্থায়ী হতে পারে। চিকিৎসা করা না হলে এই সময়কাল আরও দীর্ঘ হতে পারে।

পোস্টড্রোম: এই পর্যায়ে মাথা সমস্যা ১ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। উপসর্গগুলো অনেকটা অ্যালকোহল সেবনের পরে হ্যাংওভারের উপসর্গের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।  এজন্য এক মাইগ্রেন হ্যাংওভারও বলা হয়।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

;

ভাইরাল হেপাটাইটিস নিয়ে ভুল যত ধারণা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভাইরাল হেপাটােইটিস বা জন্ডিস

ভাইরাল হেপাটােইটিস বা জন্ডিস

  • Font increase
  • Font Decrease

যকৃত মানব শরীরের খুব একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নালীদের প্রবাহিত হওয়া রক্ত পরিশুদ্ধকরণ করা এর প্রধান কাজ। রক্ত থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে যকৃত। এছাড়াও ভিটামিন সঞ্চয় এবং হরমোনও তৈরি করে। তবে হেপাটাইটিস এমন এক ভাইরাস যা সরাসরি কলিজা, তথা যকৃতেই আক্রমণ করে। এতে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ হয়। মূলত হেপাটাইটিস ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘ডি’ এবং ‘ই’ ভাইরাল হেপাটাইটিসের জন্য দায়ী। হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং ‘ই’ খাদ্য ও পানি দূষণের ফলে হয়। অন্যদিকে হেপাটাইটিস বি এবং সি রক্তেএবং রক্তরসের মাধ্যমে ছড়ায়। হেপাটাইটিস ডি হওয়ার সম্ভাবনা তাদের থাকে যারা ইতোমধ্যেই হেপাটাইটিস বি তে আক্রান্ত রয়েছেন।   

ভাইরাল হেপাটাইটি থেকে সাবধানে থাকার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কারণ হেপাটাইটিসে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে নানারকম কুসংস্কার ছড়িয়ে আছে। এক প্রতিবেদনে ভারতীয় হেপাটোলজি বিশেষজ্ঞ অমিত মান্ডোট বলেছেন, `হেপাটাইটসের ক্ষেত্রে ভাইরাসের আক্রমণ যতটা শঙ্কাজনক, একইরকমভাবে এ্ সম্পর্কিত যে ভ্রান্ত ধারণাগুলো রয়েছে সেগুলোও নানারকম সমস্যা বৃদ্ধি করে। এতে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও বাঁধা পড়ে। অনেকে মনে করেন হেপাটাইটিসের সংক্রমণ এইডসের সংক্রমণের মতো। ভয়াবহ ড্রাগ নেওয়ার মাধ্যমে এবং অনৈতিক শারীরিক সম্পর্কে মাধ্যমে হেপাটাইটিস ছড়ায়। এসব একেবারেই ভুল ধারণা।‘

ভাইরাল হেপাটাইটিসে আক্রান্ত রোগী

তিনি ভ্রান্ত ধারনা দূর করার ব্যাপারে বলেন, ‘রক্তের মাধ্যমে হেপাটাইটিস ছড়ায়। এমনটি শিশু জন্মদানের সময় হওয়াও অযাচিত নয়। রক্তদান বা ব্যবহৃত ইঞ্জেকশনের মাধ্যমেও হেপাটাইটিস ছড়াতে পারে। তাই এই রোগ সম্পর্কিত গোড়ামি ভেঙে রোগীকে সুস্থ করে তোলার জন্য সাহায্য করতে হবে। এইজন্য সকলের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এই সংক্রান্ত আরও একটি ভুল ধারণা হলো, ব্যক্তি পছন্দ এবং জীবনধারার সিদ্ধান্তের কারণেও হেপাটাইটিসে কেউ আক্রান্ত হয়। রোগীর প্রতি সকলের এই বিরুপ দৃষ্টিভঙ্গি পরিস্থিতি আরও বিগড়ে দিতে পারে। একঘেয়ে গোড়ামি সমাজের অগ্রগতির পথেও বাঁধা।      

একত্রিত হয়ে এসব ভুল ধারণা দূর করার আহ্বান করেছেন ডাক্তার অমিত। তিনি বলেন, রোগ নিয়ে প্রকাশ্য আলোচনা, প্রাথমিক পর্যায়ে  শিক্ষাপ্রচার এবং আপপ্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা অত্যাবশ্যকীয়। তবেই সকল সাহায্য প্রত্যাশীদের সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।  

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

;

ভিটামিনের ‘ডি‘ এর অভাব পূরণ করবে মাশরুম



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাশরুম

মাশরুম

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা সময় ছিল যখন আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ ভিটামিনের অভাবের কথা ভাবতো না। কারণ তাজা এবং পুষ্টিকর শাক, সবজি এবং ফল প্রায় ঘরে ঘরে পাওয়া যেত। বা বাজারেও ছিল তা বেশ সহজলভ্য। শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সব অভাবই পূরণ করে এসব খাবার। এখন মানুষের জীবনে বেড়েছে ব্যস্ততা। অল্প পরিশ্রমে এখন যতটা সম্ভব বেশি পু্ষ্টি গ্রহণ করা এখন বেশ কঠিন হয়ে উঠছে।

বিভিন্ন প্রকার মাশরুম

ভিটামিন ডি-এর অভাব একটি অন্যতম গুরুতর সমস্যা। এর অভাবে অস্টিওম্যালেশিয়া, রিকেটস, কোমড় বা হাঁটুতে ব্যথা, হাড় ক্ষয়সহ নানারকম গুরুতর সমস্যা হয়।  বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা যেতে পারে। এতে শিশুদের হাড়ের বিকাশ পরিপূর্ণ হয় না। ক্যালসিয়ামের অভাবে তোদর হাড়ে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, পা ধনুকে মতো বেঁকেও যায়। একে রিকেটস রোগ বলে। ভিটামিন ডি এর অতিরিক্ত অভাব হলে শিশু চিরতরে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।

ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুর রিকেটস রোগ

এই সমস্যার সমাধান হতে পারে মাশরুম। কারণ সাধারণত ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার বেশ খরচ সাপেক্ষ। মাছের লে, চর্বিযুক্ত মাছ, মাখন, ঘি, দুধ-এই জাতীয় খাবারে উচ্চপরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। উদ্ভিজ খাবারে যে পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে তা অভাব পূরণে পর্যাপ্ত নয়। তবে এই ক্ষেত্রে মাশরুম কিছুটা ব্যতিক্রম।  এই খাবার যেমন পুষ্টিকর, তেমন সুস্বাদু। এক ইন্সটাগ্রাম রিলে পুষ্টিবিদ লিন্ডি কোহেন বলেন, ‘ভিটামিন ডি‘য়ের চমৎকার উৎস হলো মাশরুম। মাশরুম খাওয়ার যেমন নানা রকম পুষ্টিকর সুবিধা রয়েছে, তেমনই এটি বেশ সাশ্রয়ী। অন্যান্য দামী খাদ্যের বিকল্প হিসেবে মাশরুম খাওয়া একটি ভালো পদক্ষেপ হতে পারে। তবে উত্তম এই খাদ্য উপাদানকে আরও বেশি লাভজনক করা যেতে পারে। খুব ছোট একটি পদক্ষেপের মাধ্যমেই মাশরুমের পুষ্টিগুণ বাড়ানো যায়।’

রান্না করা মাশরুম

তিনি পরামর্শ দেন, বাইরে থেকে কিনে এনে মাশরুমকে রান্না করার আগে রোদে রাখতে। সকালের পরপর ১ থেকে ২ ঘণ্টার জন্য উন্মুক্ স্থানে মাশরুমকে রোদ পোহাতে রাখা যেতে পারে। লম্বা ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট বা চওড়া পাত্রে মাশরুমগুলোকে ছড়িয়ে দিয়ে রোদে রাখা যেতে পারে। এতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মাশরুমের বেশিরভাগ অংশ রোদের সংস্পর্শে আসতে পারে।  বিষুবরেখা থেকে দূরের অঞ্চলে এবং শীতকালে চাষ করা মাশরুমে ভিটামিন ডি এর কিছু ঘাটতি দেখা যায়। কারণ মাশরুমের ধরন, সূর্যের আলোর তীব্রতা ও সংস্পর্শ, চাষের সময়- বিভিন্ন বিষয়ের উপর মাশরুমের পুষ্টির সহজলভ্যতা নির্ভর করে।  

রোদের আলোয় ভিটামিন ডি

আমাদের দেশে যেসব মাশরুম খাওয়া হয় তা সম্পূর্ণরূপে ভিটামিন ডি সরবরাহ করতে পারে কিনা- তা নিয়ে সন্দিহান পুষ্টিবিদরা। ভারতীয় চিকিৎসক শুভ রমেশ এই নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। মাশরুমে এরগোস্টেরল নামের একটি যৌগ রয়েছে। সূর্যরশ্মি যখন মাশরুমে পড়ে তখন অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে এটি ভিটামিন ডি-২ তে রূপান্তরিত হয়। সকালেরেোদ শরীরে পড়লে যেমন শরীরে ভিটামিন ডি-৩ সংশ্লেষণ হয়, অনেকটা অনুরূপ পদ্ধতিতেই এই প্রক্রিয়া হয়। তবে ভিটামিন ডি২ এবং ডি৩ এর কার্যকারিতা এবং ধরন ভিন্ন হয়। ডি৩ সাধারণত ডি২ এ তুলনায় রক্তে ভিটামিন ডি বাড়াতে ও ধরে রাখতে বেশি কার্যকর।      

 তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরিয়ড মানেই মুড সুইং, ক্র্যাম্প, পেইন। তবু এটুকুই যথেষ্ট না। পিরিয়ডের সবচেয়ে কমন ফেনোমেনা হলো রক্তক্ষরণ, যা বয়স ও ব্যক্তিভেদে বিভিন্নরকম হয়। কারও কারও শুরুতে হেভি ফ্লো হয়ে পরে কমে যায়, আবার কারও পুরো সময়জুড়েই হালকা অথবা ভারী ব্লিডিং হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক রক্তক্ষরণের পরিমাণ ৩০-৫০ মিলিলিটার, কিন্তু যখন রক্তক্ষরণের মাত্রা এর চেয়ে বেশি হয়ে যায়, মেডিকেলের ভাষায় তাকে বলে হেভি মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বা এইচএমবি। ধারণা করা হয়, শতকরা ২৫ ভাগ নারীর হেভি ফ্লো হয়। 

যেহেতু হেভি ফ্লো হলে প্রতি ২-৩ ঘন্টায় ন্যাপকিন পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, এবং স্বচ্ছন্দে প্রতিদিনের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমনকি ভালোভাবে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেইন্টেইন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই ডিপ্রেসড হয়ে যায়। 

এছাড়া হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা ঠিক হবে কি হবে না, এ নিয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট না থাকায় হেভি ফ্লো-এর সময়টা অনেকের জন্যই খুবই পীড়াদায়ক মনে হয়। বিশেষভাবে কর্মজীবী নারীরা এই বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ন্যাপকিন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারে।


কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘন্টা পরে থাকা সম্ভব। তাই শুধুমাত্র গৎবাঁধা ধারণার উপর নির্ভর না করে, হেভি ফ্লো-এর কঠিন এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

;