হাত শুকানোর উপরেও নির্ভর করে সুস্থ থাকা
সারাদিন নানান কাজে বিভিন্ন বস্তু ব্যবহার করা ও ধরা হয় এবং এই হাতের সাহায্যেই খাবার খাওয়া হয় বলে হাত সবসময় পরিষ্কার রাখার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সময়ে সময়ে হাত ধোয়ার ব্যাপারে বলা হলেও, হাত ধোয়ার পর পরিষ্কারের ব্যাপারে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অথচ এই ব্যাপারটিও সমানভাবে গুরুত্ব বহন করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক চিকিৎসক নেসোচি ওকেকে ইগবকওয়ে জানান, শৌচাগারের কাজ সারার পর হাত না ধোয়া যতটা ক্ষতিকর, ঠিক একইরকম ক্ষতিকর হলো হাত ধোয়ার পর না শুকানো। ভেজা হাতে জীবাণু খুব দ্রুত স্থানান্তরিত হয়। ভেজা হাতে কোন কিছু ধরার ফলে যতখানি জীবাণু হাতের সংস্পর্শে আসার কথা, তার চাইতেও বেশি জীবাণু হাতের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। নেসোচির সাথে সম্মতি জ্ঞাপন করে একই সুরে কথা বললেন স্যান্টা মনিকার প্রভিডেন্স সেইন্ট জন্স হেলথ সেন্টারের চিকিৎসক ডেভিড কাটলার।
টাকা, কলম, দরজা-জানালার হ্যান্ডেল, সুইচসহ অন্যান্য জিনিস, যেগুলোতে জীবাণুর আনাগোনা বেশি হয়ে থাকে এমন জিনিস ধরার পর অবশ্যই ২০-৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধুতে হবে। এতে করে হাতে থাকা জীবাণুর বেশিরভাগ মরে যাবে।
এরপর আসবে হাত শুকানোর পর্ব। হাত ভেজা অবস্থায় না রেখে পেপার টাওয়েল, তোয়ালে, টিস্যুপেপার বা হ্যান্ড ড্রায়ার- যেকোন জিনিস ব্যবহারে হাত শুকিয়ে নিতে হবে। তবে বেশ কিছু পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে পেপার টাওয়েল ব্যবহারে হাত শুকিয়ে নেওয়া সবচেয়ে কার্যকর ও ভালো উপায়।
এদিকে মায়ো ক্লিনিকের গবেষণা থেকে জানা যায়, হ্যান্ড ড্রায়ার ব্যবহারে হাত শুকানোর ফলে জীবাণু আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে নেসোচি পরামর্শ দেন কোন পাবলিক প্লেসের হ্যান্ড ড্রায়ার ব্যবহার না করার জন্য। এছাড়া অনেক সময় হ্যান্ড ড্রায়ারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে না। এতে করে সহজেই আহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই হ্যান্ড ড্রায়ার ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়াই সবচেয়ে উত্তম।
তোয়ালে, পরিষ্কার শুষ্ক কাপড়, টিস্যু বা পেপার টাওয়েল যেটাই ব্যবহার করা হোক না কেন, হাত ধোয়ার পর অবশ্যই শুকিয়ে নিতে হবে যেকোন কিছু ব্যবহারেই।
আরও পড়ুন: নিজের যত্নে অবহেলা নয়
আরও পড়ুন: অলসতাকে বিদায় জানান ছয় নিয়মে