স্বাস্থ্যকর স্মুদি তৈরির ছয় নিয়ম
বাড়তি ওজন কমাতে ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে স্মুদি অনেকখানি গুরুত্ব বহন করে।
ঘরেই সুস্বাদু ও মজাদার স্মুদি তৈরি করে নেওয়া যায় যেকোন সময়। তবে স্মুদি তৈরির ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম জানা থাকলে তৈরিতে যেমন সুবিধা হবে, তেমনিভাবে স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে সম্পূর্ণ। বাড়তি ফ্যাট, কেমিক্যাল, সুগারবিহীনভাবে কীভাবে ঘন ও পারফেক্ট স্মুদি তৈরি করা যাবে জেনে নিন আজকের ফিচার থেকে।
ব্যবহার করতে হবে পর্যাপ্ত বরফ
২০১৬ সালের অ্যামেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন জানাচ্ছে, ঘন স্মুদি গ্রহণে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ক্ষুধাভাব দেখা দেয় না। স্মুদি ঘন করার জন্য বরফ ব্যবহার অন্যতম চমৎকার একটি পদ্ধতি। এতে করে স্মুদি পারফেক্ট ঘনত্ব পায়, কিন্তু ক্যালোরি বৃদ্ধি পাওয়ার কোন সমস্যা থাকে না।
ব্যবহার করতে হবে লো-ফ্যাট ডেইরি
স্মুদি তৈরির জন্য ফুল ফ্যাট ও ফুল ক্রিম মিল্ক ব্যবহারের পরিবর্তে লো ক্যালোরি ও ফ্যাটযুক্ত টকদই ও কটেজ পনির ব্যবহার করতে হবে। এতে করে স্মুদি ঘন হবে, পুষ্টিগুণ বেশি পাওয়া যাবে এবং স্বাদও মজাদার হবে।
সম্পূর্ণ ফল ব্যবহার করা
স্মুদি তৈরিতে ব্লেন্ড করার সময় ফল ব্যবহার করার পাশাপাশি আস্ত ফল টুকরো করে কেটে ব্যবহার করতে হবে। ব্লেন্ড করা ফল গ্রহণের সঙ্গে সলিড ফল ফল গ্রহণে পেট দীর্ঘসময় ভরা থাকবে এবং এতে স্মুদির স্বাদও মজাদার হবে। সেক্ষেত্রে ফ্রোজেন ফল ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো হবে।
ব্যবহার করা যাবে সবজিও
স্মুদি তৈরিতে শুধু ফল নয়, সবজিও কিন্তু ব্যবহার করা যাবে। এতে স্মুদির স্বাদে যেমন বৈচিত্র আসবে, তেমনিভাবে ভিন্ন ঘরানার স্মুদি তৈরি করা যাবে। লেটুস, বাঁধাকপি, কচুশাক, শসা প্রভৃতি স্মুদির সাথে খুব সহজেই মানিয়ে যাবে।
ওমেগা-৩ যোগ করতে হবে
স্বাস্থ্যকর স্মুদির স্বাস্থ্য উপকারিতার মাত্রা আরও কিছুটা বাড়াতে এতে যোগ করতে হবে ওমেগা-৩ যুক্ত খাদ্য উপাদান। যাতে খাদ্য আঁশ থাকবে পর্যাপ্ত এবং যা প্রদাহ কমাতে কাজ করবে খুব ভালোভাবে। ফ্ল্যাক্স সিডস এমন একটি উপাদান, যা একইসাথে স্মুদির স্বাদ বাড়াবে এবং স্মুদিকে স্বাস্থ্যকর করে তুলবে।
চিনি ব্যতীত মিষ্টি হবে স্মুদি
বিস্বাদ বা তেঁতো স্বাদের স্মুদি পান করতে নিশ্চয় ভালো লাগবে না। কিন্তু স্মুদিতে যদি চিনি যোগ করা হয়, তবে স্মুদি থেকে কোন উপকারিতাই পাওয়া সম্ভব হবে না। তাই স্মুদিকে মজাদার করতে ও মিষ্টি স্বাদ দিতে এতে যোগ করতে হবে মধু অথবা খেজুর। মধু ও খেজুর- উভয় উপাদানই স্বাস্থ্যকর ও ডায়েটবান্ধব এবং এই দুইটি প্রাকৃতিক উপাদান স্মুদিকে মিষ্টি করতে চমৎকার কাজ করবে।
আরও পড়ুন: ‘বেটা ক্যারোটিন’ সম্পর্কে যা জানা জরুরি
আরও পড়ুন: ওজন বাড়াবে না ছয় উপকারী খাবার