পাঁচ পানীয় কমাবে বাড়তি ওজন
বাড়তি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কোন খাদ্য উপাদানগুলো উপকারী ভূমিকা পালন করে সেটা নিয়ে ইতোপূর্বে কথা বলা হলেও, কোন পানীয়গুলোও এক্ষেত্রে অবদান রাখবে সেটা জানানো হয়নি। ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে সঠিক খাদ্যাভ্যাস যতখানি জরুরি, ঠিক ততখানিই জরুরি সঠিক পানীয় পান। পানীয়ের উপরেও ওজনের ওঠানামা নির্ভর করে অনেকখানি। আজকের ফিচার থেকে জেনে রাখুন কোন পাঁচটি পানীয় আপনার ওজন কমানোর যাত্রায় সঙ্গী হতে পারবে।
পানি
শুধুমাত্র শরীরে পানির প্রয়োজন মেটাতেই নয়, ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং বাড়তি ওজনকে কমিয়ে ফেলতেও পানি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যত বেশি পানি পান করা হবে, তত বেশি ক্যালোরি বার্ন করা সম্ভব হবে। এছাড়া প্রতি বেলায় খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস পরিমাণ পানি পান করলে খাবার তুলনামূলক কম খাওয়া হবে। যা সরাসরি ওজন কমাতে কার্যকর। পাশাপাশি নিজেকে সুস্থ ও নীরোগ রাখার জন্যেও প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার পরিমাণ পানি পান আবশ্যিক।
গ্রিন টি
উচ্চমাত্রার ফ্ল্যাভনয়েডযুক্ত গ্রিন টি শরীরের মেটাবলিজমের হার ও ফ্যাট অক্সিডেশনের হারকে ত্বরান্বিত করে। বর্তমানে বিভিন্ন প্রকারের গ্রিন টি পাওয়া যায় বাজারে। তবে সকল ধরনের মাঝে মাচা গ্রিন টিকে ধরা হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরি ও উপকারী। কারণ এই গ্রিন টিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রা থাকে সবচেয়ে বেশি। খেয়াল রাখতে হবে, গ্রিন টি পান করতে হবে যেকোন খাবার গ্রহণের এক ঘন্টা আগে অথবা পরে এবং অবশ্যই চিনি ছাড়া।
মিন্ট টি
একদম ফ্রেশ পুদিনা পাতা থেকে তৈরি করা চায়ে রয়েছে খুব স্বল্পমাত্রার ক্যালোরিফিক ভ্যালু, যা চা হিসেবে তো বটেই ঠাণ্ডা অবস্থায় সফট ড্রিংক হিসেবেও খুব চমৎকার। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই পানীয় অতিরিক্ত ক্ষুধাভাবকে প্রশমিত করতে কাজ করবে। তাই দিনের শুরুতে এক কাপ পুদিনা পাতার চা পান অনেকখানি কার্যকর হবে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
ব্ল্যাক কফি
কফি যেমন আপনাকে চাঙা রাখবে, তেমনি ওজন কমাতেও সাহায্য করবে। কফি থেকে পাওয়া যাবে উচ্চমাত্রার ক্লোরজেনিক অ্যাসিড উপাদান (Chlorogenic Acid) যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে আমাদের শরীরে গ্লুকোজ তৈরির হারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ফ্যাট সেল তথা কোষের বৃদ্ধিকে কমায়। এছাড়া ব্ল্যাক কফি পানে খাবার গ্রহণের রুচি কমায় ও মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি করে। সঠিক ডায়েটের সাথে চিনিবিহীন ব্ল্যাক কফি পান ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।
সবজির জ্যুস
প্রাকৃতিক অন্যান্য যেকোন খাদ্য উপাদানের মাঝে সবজি প্রাধান্য পাবে সবচেয়ে বেশি। উচ্চমাত্রার মিনারেল ও ভিটামিন সমৃদ্ধ নানা ধরনের সবজি ফ্যাট কমাতে কাজ করার সাথে শারীরিক সুস্থতা প্রদানেও অনেকখানি ভূমিকা রাখবে। শসা, টমেটো, গাজর, লেটুস, বাঁধাকপিসহ অন্যান্য সবজি অল্প পানিতে আধা সিদ্ধ করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে লেবুর রস, দারুচিনি ও গোলমরিচ গুঁড়ার সাহায্যে মিশিয়ে পান করতে হবে। স্বাদ বাড়াতে এতে পছন্দসই ফল তথা কলা, আপেল, আঙুর, কমলালেবুও যোগ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: নাস্তায় এই খাবারগুলো ওজন কমাতে সহায়ক
আরও পড়ুন: মুঠো ভরা সুস্থতা!