বার্তার কর্মশালায় ফিজিওথেরাপিস্ট উম্মে সালমা
‘রোগ নিরাময়ের চেয়ে তা প্রতিরোধই শ্রেয়’
ব্যথা হয় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ঘাড়ে ব্যথা করছে। অথবা পিঠে ব্যথায় দাঁড়াতেই পারছি না। হাঁটু ব্যথায় সিঁড়ি ভেঙে উঠতে পারছি না-এমন ব্যথার সমস্যা নিয়ে দিনানিপাত এখন নিত্যদিনের ঘটনা। তবে ব্যথার সমস্যা যখন আছে তখন অবশ্যই তার সমাধানও আছে। সেই আশ্বাসই দিলেন ফিজিওথেরাপিস্ট বিশেষজ্ঞ ডা. উম্মে সালমা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের আয়োজনে স্বাস্থ্য সচেতনামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর মেফেয়ার ওয়েলনেস ক্লিনিক লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক এবং উপদেষ্টা ফিজিওথেরাফিস্ট ডা. উম্মে সালমা এক কর্মশালায় এই আশ্বাস দেন।
স্বাস্থ্য সচেতনায় ফিজিওথেরাপির প্রয়োজনীয়তা এবং কর্মপদ্ধতি বিষয়ে এই কর্মশালায় বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনসহ সংবাদকর্মী ও অন্যান্য সেকশনের কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রাঞ্জল ভাষায়, চমৎকার উপস্থাপনার ভঙ্গিতে প্রজেক্টরে দিক নির্দেশনা দিয়ে ডা. উম্মে সালমা ফিজিওথেরাপির প্রয়োজনীয়তা এবং মাসকুলোস্কেলেটাল ডিসঅর্ডার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ও তা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় জানান।
তিনি বলছিলেন-‘দিনভর টেবিল-চেয়ারে এক জায়গায় বসে যারা কাজ করেন-এদের বেশিরভাগই মাসকুলোস্কেলেটাল ডিসঅর্ডার বা মাংসপেশি ও হাড়জনিত সমস্যায় সহজেই আক্রান্ত হন। চেয়ারে ঝুঁকে, শরীরের সঠিক উচ্চতা বা দূরত্ব না রেখে যারা কম্পিউটার বা ল্যাপটপে দীর্ঘসময় ধরে একনাগাড়ে কাজ করে যান-তারাই সাধারণত এমন মাসকুলোস্কেলেটাল ডিসঅর্ডার সমস্যায় পড়েন। আরে ভাই, সারাক্ষণ কাজ আর কাজ। কম্পিউটারের সামনে থেকে উঠার সময় নাই। কাজে ব্যস্ত আছি, ব্যথা সারানোর সময় নেই-এমন ব্যস্তদেরই মধ্যেই মাসকুলোস্কেলেটাল ডিসঅর্ডার সমস্যা বেশি।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে একই জায়গায় দীর্ঘ সময় ধরে বসে কাজ করাদের মধ্যে কাঁধ, ঘাড়, কোমর, মেরুদণ্ড, পায়ের পাতা, কনুই ও কবজি ব্যথায় ভোগা লোকের সংখ্যা বেশি। যদি কাজের সময় সামান্য নিয়ম-কানুন মেনে চলা যায়, তাহলে এই সংকট থেকেও বেরিয়ে আসা সম্ভব।’
ঘণ্টাখানেকের এই কর্মশালায় ডা. উম্মে সালমা বলেন- ‘অনেকের ধারণা শুধুমাত্র বয়সজনিত কারণেই শরীরে মাংসপেশি ও হাড়ক্ষয় জনিত সমস্যার তৈরি হয়। আদতে কিন্তু তা নয়, এসব সমস্যা তরুণ বয়সেও হতে পারে। যে কোন সাধারণ ইনজুরি থেকেও মাসকুলোস্কেলেটাল ডিসঅর্ডার সমস্যা হতে পারে। যথাযথ ফিজিওথেরাপিতে তা নিরাময় সম্ভব।’