হার্ট ফেইলুর পরবর্তী সুস্থতায় করণীয়



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
নিয়ম মেনে চললে হার্ট ফেইলুরের পরেও সুস্থ থাকা সম্ভব

নিয়ম মেনে চললে হার্ট ফেইলুরের পরেও সুস্থ থাকা সম্ভব

  • Font increase
  • Font Decrease

হৃদযন্ত্রের সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথেই বৃদ্ধি পায় হার্ট ফেইলুরের সম্ভাবনা।

মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবন ব্যবস্থা থেকেই হার্ট ফেইলুরের মতো বড় সমস্যাটি প্রকাশ পায়। এ কারণে হার্ট ফেইলুর থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখার জন্য সবসময় পরামর্শমূলক আলোচনা করা হয়। কিন্তু যাদের পূর্বে হার্ট ফেইল করেছে, তাদের কোন নিয়মগুলো অবশ্য পালনীয় সেটা নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না। সুস্থতা পেতে সবার জন্যেই নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন প্রয়োজন, তবে হার্ট ফেইলুর পরবর্তী সময়ে নিয়ম মেনে চলা আরও বেশি জরুরি।

নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানা

হার্ট ফেইলুর সম্পর্কে যতবেশি জানা যাবে ততবেশি সচেতন ও সাবধান থাকা সম্ভব হবে। হার্ট ফেইল করার পর কীভাবে জীবনযাপন করা প্রয়োজন, হার্ট ফেইলে কতটা ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকলে অনেকখানি সাবলীলভাবে থাকা সম্ভব হয়। পাশাপাশি চেষ্টা করতে হবে নিয়মিত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ রাখা ও তার পরামর্শ মেনে চলার।

খেয়াল রাখতে হবে লবণ গ্রহণে

অনেক বেশি পরিমাণে লবণ গ্রহণে ওয়াটার রিটেনশন হয়। যা দুর্বল হৃদযন্ত্র ও রক্তনালিকার উপর চাপ প্রয়োগ করে। লবণাক্ত খাবার মানেই অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ। হার্ট ফেইলুরের রোগীদের জন্য যা খুবই শঙ্কাজনক। এ কারণে প্যাকেটজাত খাবার, প্রক্রিয়াজাত বাদাম, খাবারে বাড়তি লবণ গ্রহণের ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে।

নিয়মিত ওজনকে মনিটর করা

heart failure

হার্ট ফেইলের রোগীদের নিয়মিত ওজন মনিটর করা বাধ্যতামূলক। যদি সম্ভব হয় প্রতিদিন ওজন দেখতে হবে। কারণ একটুখানি বাড়তি ওজনও দুর্বল হৃদযন্ত্রের জন্য বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ওজন মনিটর করার সাথে উচ্চতা অনুযায়ী ওজনে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টাও করতে হবে।

নিয়মিত শরীরচর্চা করা

হার্ট ফেইলুরের অন্যতম একটি লক্ষণ হলো অবসাদ (fatigue). তবে এই অবসাদকে দূর করা সম্ভব শরীরচর্চার মাধ্যমে, যা একইসাথে পেশিকে সুদৃঢ় করার সাথে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে কাজ করবে। শরীরচর্চা হৃদযন্ত্রের সঙ্গে ফুসফুসকেও সবল করে। একজন হার্ট ফেইলুর রোগীর প্রতিদিনের জীবনধারার মাঝে শরীরচর্চা থাকা বাধ্যতামূলক। অবশ্যই ভারি কোন শরীরচর্চা করা যাবে না। সাধারণ হাঁটা, ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করলেই উপকার পাওয়া যাবে।

ফ্যাট গ্রহণে সচেতন হওয়া

একজন হার্ট ফেইলুর রোগীর খাদ্যাভ্যাসে স্যাচুরেটেড ফ্যাট (গরুর মাংস, পোলট্রি চিকেন, মাখন, আইসক্রিম, পাম অয়েল) ও ট্র্যান্স ফ্যাট (বেকড খাবার, ফাস্ট ফুড, কফি ক্রিম) সম্পন্ন খাবার থাকবে খুব অল্প পরিমাণে। এই অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটগুলো খুব সহজেই হৃদযন্ত্রে জমা হয়ে আরও বেশি দুর্বল করে দেয়। ফলে হৃদযন্ত্রের রক্ত পাম্প করার জন্য অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। চেষ্টা করতে হবে এ ধরনের ফ্যাটযুক্ত খাবার থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকার।

ফল ও সবজি গ্রহণ

heart failure

শুধুমাত্র হার্ট ফেইলুরের রোগীর জন্যেই নয়, সুস্থ থাকতে চাইলে প্রত্যেকের উচিত ফল ও সবজি বেশি করে গ্রহণ করা। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের চমৎকার উৎস হলো ফল ও সবজি। সবচেয়ে উপকারী খনিজ পটাশিয়াম, যা হৃদযন্ত্রের সমস্যাকে অনেকখানি প্রশমিত করতে কাজ করে। হৃদযন্ত্র যদি তার প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত পটাশিয়াম না পায়, তবে ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। কলা, বিভিন্ন বীজ, আলু ও বিট থেকে পাওয়া যাবে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম। তবে কোন খাদ্য উপাদান কতটুকু খাওয়া নিরাপদ সেটা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ি খেতে হবে।

ধূমপান বর্জন করতে হবে

ধূমপানের সাথে হার্ট ফেইলুরের কী সম্পর্ক থাকতে পারে- এমন ধারণা থেকে অনেকেই হার্ট ফেইল্যুরের পরেও ধূমপান চালিয়ে যান। যা ডেকে আনতে পারে বড় ধরণের বিপদ। শুধু ফুসফুসের উপরেই নয়, হৃদযন্ত্রের সাবলীলভাবে কাজ করার উপরেও বাধাদান করে ধূমপান। যদি ধূমপানের অভ্যাস থাকে তবে অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে এই অভ্যাসটি বাদ দিতে হবে।

 

   

নারী শরীরে থাইরয়েড এবং গর্ভাবস্থায় শিশুর উপর এর প্রভাব



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
থাইরয়েড / ছবি: সংগৃহীত

থাইরয়েড / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইরয়েড হলো একটি ছোট প্রজাপতি আকারের গ্রন্থি। মানবশরীরের গলায় কণ্ঠমণির ঠিক পেছনে এর অবস্থান। এই ছোট অঙ্গটি শরীরের অ্যান্ডোক্রাইন গ্রন্থির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, বিভিন্ন হরমোনের সংশ্লেষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করে এই অঙ্গ।

বিপাক নিয়ন্ত্রণ, শক্তি উৎপাদন এবং শারীরিক বৃদ্ধিসহ অনেক অভ্যন্তরীণ শারীরিক কাজে ভূমিকা রাখে থাইরয়েড। এর ফলে এই গ্রন্থি আমাদের হৃদস্পন্দন, পরিপাকতন্ত্র, ওজন এবং মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে।

থাইরয়েড মূলত দুটি প্রধান হরমোন তৈরি করে। থাইরক্সিন (টি৪) এবং ট্রায়োডো থাইরোনিন (টি৩)। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি এবং হাইপোথ্যালামাসের নিয়ন্ত্রণে থাইরয়েড এইসব হরমোন উৎপন্ন করে। সেখান থেকেই তা নিঃসৃত হয় এবং সমগ্র শরীরের সুস্থতা নিয়ন্ত্রণ করে।

থাইরয়েড আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শরীরের নানাবিধ কাজে থাইরয়েড প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত। থাইরয়েডের সক্রিয়তা তাই শরীরে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। তবে, থাইরয়েডের উৎপাদনকৃত হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত কম বা অতিরিক্ত বেশি হরমোন বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।  

অত্যধিক সক্রিয় থাইরয়েড গ্রন্থি হরমোনগুলোর উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় (হাইপারথাইরয়েডিজম)। ফলে শরীরের বিপাক দ্রুত হয়। হাইপারথাইরয়েডের কারণে ওজন হ্রাস, হাত কাঁপানো এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দন সমস্যা দেখা যায়। এইজন্য পরবর্তীতে হার্টের সমস্যা এবং হাড় ভঙ্গুর হওয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

হাইপোথাইরয়েডিজম সমস্যা হলো পর্যাপ্ত হরমোন তৈরি করতে সক্ষম হওয়া। এর কারণে শরীরে ওজন বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ধীর হৃদস্পন্দনের মতো লক্ষণগুলি দেখা যায়।

এমনকি হাইপারথাইরয়েডিজম এবং হাইপোথাইরয়েডিজম উভয় কারণেই স্বাভাবিক মাসিক ব্যাহত হতে পারে। মাসিক ধরনের পরিবর্তন হওয় যেমন কম হওয়ার বা একেবারেই না হওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।  

তাছাড়া, সেক্স হরমোনের সাথেও এর সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। এমনকি মায়ের থেকে থাইরয়েঢের হরমোন জনিত জটিলতার কারণে গর্ভের সন্তানের উপরও প্রভাব পড়তে পারে। যেমন- গর্ভপাত, প্লাসেন্টার সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ প্রিক্ল্যাম্পসিয়া, অকাল জন্ম এবং শিশুর কম বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকারিতা।

তাই থাইরয়েডের সমস্যা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন পরীক্ষা করা উচিত।  

;

যেসব খাবার গরম করে খাবেন না



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
খাবার গরম করে খাওয়া যাবেনা

খাবার গরম করে খাওয়া যাবেনা

  • Font increase
  • Font Decrease

খাবার জীবনযাত্রায় ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। আমরা যে খাবারই খাই না কেন, শরীর এবং মস্তিষ্কে তার স্বল্পস্থায়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পরে। তাই স্বাস্থ্যে খাদ্যাভাসের বিশেষ প্রভাব পড়ে। এই কারণেই প্রতিদিনের খাবারের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হয়।

বিশ্বব্যাপী খাবার গরম করে খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ঠান্ডা হয়ে যাওয়া খাবার গরম করে খাওয়া একদমই উচিত নয়। বিশেষ করে বেঁচে যাওয়া বাসি খাবার কখনোই গরম করে খাওয়া উচিত নয়। কারণ সব খাবার গরম করলে ভালো থাকবে এমনটা নাও হতে পারে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে ক্লিনিকাল ডায়েটেশিয়ান গরিমা গয়াল এই ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন এমন কিছু খাবারের নাম যা কখনোই গরম করে খাওয়া যাবে না।

ভাত: চালে ব্যাসিলাস সেরিয়াস ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। সাধারণ তাপমাত্রায় এই ব্যাকটেরিয়া ভাতকে অনেক্ষণ ভালো থাকতে সাহায্য করে। কিন্তু ভাত বার বার গরম করা হলে এই ব্যাকটেরিয়া এবং তাদের টক্সিন ভাতে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে।

চা: বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়। চা তে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে। এছাড়াও চায়ের স্বাদও অনন্য। স্বাস্থ্য ও রুচিভেদে মানুষ বিভিন্ন রকমের চা সেবন করে থাকে। এতে কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল রয়েছে। চা যখন বানানো হয় তখন এতে ট্যানিন এবং ক্যাটেচিনের মতো কিছু যৌগ নির্গত হয়। চা আবার গরম করা হলে এতে থাকা ক্যাফিন ঘনীভূত হয়ে। এতে চায়ের স্বাদ তো নষ্ট হয়ই, তার সাথে পিএইচও পরিবর্তন হয়। স্বাস্থ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে হানি সৃষ্টি করতে পারে।

মাশরুম গরম করে খাবেন না

মাশরুম: মাশরুম অত্যন্ত উপকারী একটা খাবার হওয়ার পাশাপাশি অত্যন্ত আর্দ্রও হয়। এই কারণে ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মাশরুমে পলিস্যাকারাইড থাকার কারণে বার বার গরম করায় প্রোটিনগুলো পরিবর্তন হয়ে বিকৃত কাঠামো ধারণ করে।

পালং শাক: পালং শাক অত্যন্ত উপকারী খাদ্য। এতে ভিটামিন রয়েছে, বিশেষ করে ভিটামিন বি এবং সি। রান্না করা পালং শাক বার বার গরম করলে তাপের কারণে এইসব ভিটামিনের গঠন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পানিতে দ্রবণীয় হওয়ায় ভিটামিনের পুষ্টিমানও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়াও শাকে নাইট্রেট থাকে। পুনরায় গরম করা হলে তা নাইট্রাইটে পরিণত হয় । এছাড়াও পালং-এ থাকা উদ্ভিদ ভিত্তিক আয়রন প্রতিক্রিয়া ঘটায়।

তেল: রান্নার সময় যখন তেল প্রথমবার ব্যবহার করা হয় তখন তা কড়াইতে ঢেলে কিছুটা গরম করে নেওয়া হয়। একবার গরম করে ঠান্ডা হওয়া তেল আবার গরম করে রান্না করলে সেটা রাসায়নিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। বারবার গরম-ঠান্ডা চক্র অতিবাহিত করা তেলের মধে্‌য ট্রান্স ফ্যাট এবং অ্যালডিহাইড ক্ষতিকর যৌগ তৈরি হয়। এতে খাবারের স্বাদ তো নষ্ট হয়ই, তার সাথে খাবারে বিষক্রিয়া হওয়ার মতো গুরুতর সমস্যাও হতে পারে।

 

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস                   

;

ঈদে ভিন্নধর্মী নবাবী নাটি সেমাই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নবাবী নাটি সেমাই

নবাবী নাটি সেমাই

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ মানেই আনন্দ। পবিত্র রমজান মাস শেষে স্বস্তির নামাজ আদায় করে ঈদ উদযাপনে মেতে ওঠে সবাই। ভালো-মন্দ খাবার ছাড়া ঈদ যেন অসম্পূর্ণ, আর মিষ্টি ছাড়া তো কল্পনাও করা যায়না। ঈদে মিষ্টি মুখ মানেই সেমাই। প্রতিবার সেই একই দুধে ভেজা সেমাই না করে এবার ঈদে হোক ভিন্ন কিছু। জেনে নিই, কিভাবে রাধবেন নবাবী নাটি সেমাই:
সেমাই রান্না করতে আমাদের লাগবে-
১. লাচ্ছা সেমাই, ২. লিকুইড খাঁটি গরুর দুধ (জ্বাল করে ঠান্ডা করা), ৩. ঘি, ৪. কাজুবাদাম, ৫. পেস্তা বাদাম, ৬. কাঠবাদাম, ৭. গুড়া দুধ, ৮. চিনি, ৯. কর্ন ফ্লাওয়ার, ১০. টিন ক্রিম, ১১. কাস্টার্ড পাউডার, ১২. কনডেন্স মিল্ক, ১৩. কিসমিস।

পদ্ধতি: 
১. প্রথমে একটি বড় ফ্রায়িংপ্যানে ২ টেবিল চামচ ঘি নেই। তাতে কুচি করে রাখা ১/৪ কাপ কাজুবাদাম, ১/২ কাপ কাঠবাদাম এবং ১/৪ কাপ পেস্তা বাদাম কুচি ঢেলে দেই। হাল্কা রঙ করে ভেজে নেই। বাদামগুলো তুলে নেই। একই প্যানে ৩ টেবিল চামচ মাখন বা ঘি দিয়ে দিন। (তেল ব্যবহার করা যাবে না)।
২. গরম ঘি-তে ৪০০ গ্রাাম লাচ্ছা সেমাই এবং ৪ টেবিল গুড়া দুধ নিব। এর সাথে ১/২ কাপের বেশি চিনি দিন। সবকিছু একত্রে ভেজে নিব। চিনি গলে মিশে যাওয়া অবধি মিশিয়ে নেই। ভালোভাবে মিশিয়ে নেই।
৩. সার্ভিং প্লেট বা বোলে ২/৩ তৃতীয়াংশ ভাজা সেমাই তুলে রাখি। সমান ভাবে ছড়িয়ে দিয়ে লেয়ারের মতো তৈরি করে বিছিয়ে নেই। বাকি ভাজা সেমাইগুলো সরিয়ে রাখি।
৪. ফিলিং তৈরি করতে, প্রথমে ১ লিটার জ্বাল করে ঠান্ডা করে নেওয়া ল্কিুইড দুধ নেই। তাতে ২ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার দেই। ১টি টিন-ক্রিমের ২/৩ অংশ দিন। তার সাথে ২ টেবিল কাস্টার্ড পাউডার, ৪ টেবিল চামচ গুড়া দুধ এবং ১/২ কাপ কনডেন্স মিল্ক (স্বাদ অনুযায়ী বাড়িয়ে/কমিয়ে নিন) নিয়ে নিন।
৫. সব ভালোভাবে মিশিয়ে চুলা ধরিয়ে জ্বাল করে নিন। অল্প আঁচে রান্না করতে থাকুন। এভাবে জ্বাল করে নাড়তে নাড়তে ঠান্ডা করে নিন। সার্ভিং বোলে বিছিয়ে রাখা সেমাইয়ের উপর গরম অবস্থাতেই পুরো মিশ্রন ঢেলে দিন।
৬. দুধের মিশ্রনের উপর বাকি রেখে দেওয়া সেমাইগুলোও দিয়ে দেই। এর উপর কাজু, কাঠ এবং পেস্তা বাদাম কুচি দিয়ে দিই। সাথে আস্ত কিসমিসও দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করি।

;

ঈদের সাজ-পোশাক যেমন হবে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঈদের সাজ-পোশাক যেমন হবে

ঈদের সাজ-পোশাক যেমন হবে

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে ঈদের মৌসুম। ঈদ উপলক্ষ্যে সকলেই বিভিন্ন নতুন পোশাকে সেজে ওঠে। ঈদের দিন পোশাক হতে হবে সুন্দর এবং আরামদায়ক। ঈদের পোশাকের বেলায় ফ্যাশনের দিকে বিশেষ নজর রাখা হয়।

সাধারণত ঈদের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি একই পোশাক পরে থাকতে হয়। তাই পোশাক সুন্দর হওয়ার পাশাপাশি হতে হবে আরামদায়ক। জেনে নিই, ঈদের পোশাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়গুলেরা মাথায় রাখতে হবে-

ঈদে ঐতিহ্যবাহী পোশাক

১. ঐতিহ্য: ঈদের জন্য সবচেয়ে উত্তম হলো ঐতিহ্যবাহী পোশাক। ইসলাম ধের্মে পোশাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেশ জোড়ালো ভাবে পর্দা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যারা বোরখা পড়েন না, তারাও এতিহ্ডবাহী শালীন পোশাক পরে পবিত্র ঈদের মর্যাদা রক্ষা করতে পারেন। জাঁকজমক শাড়ি বা কারুকাজ খচিত সালোয়ার কামিজ ঈদে উৎসবের ছোঁয়া এনে দেয়। তবে কাপড় অবশ্যই আরামদায়ক হতে হবে। সেইজন্য মখমল, সিল্ক বা সিফনের মতো সমৃণ কাপড় বাছাই করুন।

২. রঙ: পোশাকের রঙে অনেক ক্ষেত্রেই অনুষ্ঠানের আমেজ ফুটে ওঠে। উজ্জ্বল রঙ উৎসবের অনুভূতি ফুটিয়ে তোলে। তাই ঈদের মতো আনন্দ উৎসবে সাদামাটা নয়, বরং উজ্জ্বল রঙ বেছে নিন। যেমন: লাল, বা মেটালিক রঙ (যেমন:সোনালী,রুপালি), মেরুন, হলুদ, কমলা, নীল, সবুজ ইত্যাদি।

ঈদের পোশাক

৩. কারুকার্য: পোশাকে কারুকাজ পুরো লুকই পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। সিম্পল কাপড়ের উপর গ্ল্যামারাস সূক্ষ্ণ কাজও উৎসবের আভা ফুটিয়ে তোলে। এজন্য সিকুইন্সের কাজ, অ্যাম্ব্রোডারি, সুই-সুতা ও স্টোনের কাজের পোশাক বাছাই করে নিন।

৪. অস্বস্তি: অনেক সুন্দর পোশাক পরেও যদি আপনি স্বস্তিবোধ না করেন তা ঈদের লুক নষ্ট করতে যথেষ্ট। যেহেতু দীর্ঘসময় একই পোশাকে থাকতে হবে তাই পোশাকের ক্ষেত্রে আরাম অনুভব করার ব্যাপারে আপোষ করা উচিত নয়।

ঈদের সাজ 

৫. সাজগোজ: নারীদের ক্ষেত্রে সাজগোজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঈদের দিন পোশাকের সাথে সাজগোজ অবশ্যই সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। জমকালো পোশাকের সাথে হালকা সাজলে ভালো মানায়। গহনা এবং হ্যান্ডব্যাগে কিছুটা নিজস্বতার ছোঁয়া রাখুন। বাইরে ঘুরতে বের হলে বেশি উচ্চতাসম্পন্ন হির ব্যবহার না করাই ভালো।    

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

                       

 

;