কীভাবে দূর হবে চোখের ফোলাভাব?
চোখের নিচের অংশে ডার্ক সার্কেলের মতোই আরেকটি সমস্যা হলো ফোলাভাব দেখা দেওয়া। এতে করে চোখের নিচে ব্যাগের মতো আকৃতি সৃষ্টি হয়। ঘুমের অভাব, অপর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণসহ নানা অনিয়মের ফলে এই সমস্যাটি দেখা দেয়। নিয়মিত সাত-আট ঘন্টা ঘুমের পাশপাশি যে কাজগুলো চোখের ফোলাভাবকে দূর করবে সেগুলো জানানো হলো এখানে।
ঠাণ্ডা চামচ
দুইটি চা চামচ রেফ্রিজারেটরে রেখে ঠাণ্ডা করে চোখের উপরে দিয়ে রাখতে হবে। ঠাণ্ডাভাব চোখের ফোলা অংশকে কমিয়ে এনে চোখে সতেজভাব আনতে কাজ করবে।
ফ্রোজেন ওয়াইপস
এর জন্য প্রয়োজন হবে বেবি ওয়াইপস, শসার রস, লেবুর রস ও গ্রিন টি। প্রথমে শসার রস, লেবুর রস ও গ্রিন টি একসাথে মিশিয়ে এতে বেবি ওয়াইপস চুবিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। ঘণ্টাখানিক পর ফ্রিজ থেকে ওয়াইপস বের করে নিংড়ে চোখের উপর ভাঁজ করে দিয়ে রাখতে হবে। এটা চোখের স্ট্রেস দূর করে এবং এতে করে চোখের ফোলাভাব কমে আসে।
ডিমের সাদা অংশ
একসাথে অনেকগুলো উপাদান না থাকলে এক উপাদানে সহজ উপায়ে চোখের নিচের ফোলাভাবকে দূর করতে ব্যবহার করতে হবে ডিমের সাদা অংশ। একটু বাটিতে ডিমের সাদা অংশ ভালভাবে ফেটিয়ে ব্রাশের সাহায্যে চোখের নিচের অংশে ব্রাশ করে পুরু স্তর তৈরি করতে হবে। ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে শুকানোর জন্য। শুকিয়ে আসলে কুসুম গরম পানিতে চোখের নিচের অংশ পরিষ্কার করে নিতে হবে।
শসার রস
ডিমের সাদা অংশ ব্যবহারে অনেকেই অস্বস্তি বোধ করবেন কাঁচা ডিমের গন্ধের জন্য। তাদের জন্য শসার রস ব্যবহার সবচেয়ে উপকারে আসবে। শসার রসে থাকা প্রাকৃতিক অ্যাসকরবিক ও ক্যাফেইক অ্যাসিড ওয়াটার রিতেনশনকে কমিয়ে ফোলাভাব হ্রাস করে। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভনয়েড প্রদাহকে কমাতে কাজ করে।
ব্যবহৃত টি ব্যাগ
চোখের নিচের কালোভাব ও ফোলাভাব কমাতে ব্যবহৃত টি ব্যাগের প্রচলন বহু পুরনো। পুরনো ও ব্যবহৃত টি ব্যাগ ১৫ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে এই টি ব্যাগ চোখের উপরে রেখে দিতে হবে আধা ঘন্টার জন্য। টি ব্যাগের চা পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহ, ট্যানিন ও ক্যাফেইন চোখের নিচের ত্বককে সংকুচিত করে ফোলাভাব কমায়।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
উপরোক্ত প্রতিটি পদ্ধতিই চোখের ফোলাভাবকে প্রশমিত করতে কাজ করে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের উপরে। পুষ্টিকর ও উপকারী খাবার গ্রহণের মাধ্যমে চোখের ফোলাভাব ও ডার্ক সার্কেলের সমস্যাকে হটিয়ে দেওয়া যায়। শসা, গাজর, টমেটো ও অন্যান্য সবজি শরীরকে ভেতর থেকে ডিটক্সিফাই করে এবং ক্ষতিকর টক্সিন উপাদানকে বের করে দেয়। এছাড়া পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ফল যেমন কলাকেও প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন: মাঝরাতে ঘুম ভাঙলে ঘুম আসবে কীভাবে?