ডাক্তারের কাছে লুকাবেন না এই ৬টি বিষয়

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শুধুমাত্র যে শারীরিক সমস্যাটি দেখা দিচ্ছে, তার ভিত্তিতেই ডাক্তাররা ওষুধ বা চিকিৎসা প্রদান করেন না। এর পেছনে রোগীর ব্যক্তিগত তথ্যাদিসহ জীবনযাপনের ধরণও নির্ভর করে। রোদের আলোতে কতটুকু সময় থাকা হয় কিংবা প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস- সবকিছুই এখানে গুরুত্বপূর্ণ। জেনে রাখুন কোন ছয়টি তথ্য ডাক্তারদের কাছ থেকে লুকানো উচিত নয়।

বয়স

অন্যদের কাছে বয়স নিয়ে লুকোচুরি খেললেও, চিকিৎসকের কাছে কখনোই বয়সকে লুকানো চেষ্টা করা উচিত নয়। সঠিক বয়সের জানার মাধ্যমে চিকিৎসকেরা বহু রোগ নির্ণয় ও তার স্বরূপকে চিহ্নিত করতে পারেন। এমনকি কিছু রোগ বয়সের দরুন দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে বয়সের উপর নির্ভর করে চিকিৎসা ও সেবা প্রদান করেন চিকিৎসকেরা। এ কারণে বয়সের মতো একেবারে প্রাথমিক তথ্যের ব্যাপারে কখনোই ভুল তথ্যা দেওয়া যাবে না চিকিৎসকদের।

বিজ্ঞাপন

খাদ্যাভ্যাস

খাদ্যাভ্যাস

বেশ কিছু গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, চিকিৎসকদের কাছে রোগীরা তাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে মিথ্যা কথা বলেন বা ভুল তথ্য উপস্থাপন করেন। অনেকেই নিজেদের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে ডাক্তারকে জানাতে আগ্রহী হন না। এতে করে ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন দেওয়া ও সে অনুযায়ি খাবার গ্রহণে নিয়ম বলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। ডাক্তারদের নিজের রোগের ধরণ সম্পর্কে যেমন স্বচ্ছ থাকা প্রয়োজন, তেমনভাবে নিজের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কেও পরিষ্কার ধারণা তুলে ধরা প্রয়োজন।

ধূমপানের অভ্যাস

পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকে নিজের ধূমপানের অভ্যাসটি আড়াল করে রাখলেও, ডাক্তারের কাছে কখনোই আড়াল করা উচিত হবে না। কার্ডিওলজিস্ট (হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ) থেকে শুরু করে ডার্মাটোলজিস্ট (চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ) সকল ডাক্তারের কাছেই এই অভ্যাস সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি জানাতে হবে। ধূমপান থেকে শরীরে প্রবেশ করা নিকোটিনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে নানাবিধ অসুস্থতা ও জটিলতা দেখা দিতে পারে। যা থেকে অনেক সময় অস্ত্রোপচার পরবর্তী সময়ে ক্ষত স্থান সারতে প্রয়োজনের চাইতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে ধূমপান নিয়ে লুকোছাপা মানে নিজের বিপদ ডেকে আনা।

বিজ্ঞাপন

গর্ভপাত

একজন নারীর জন্য এ বিষয়টি একইসাথে খুব বেশি স্পর্শকাতর ও ব্যক্তিগত। গর্ভপাতের বিষয়টি মোটেও হেলাফেলার নয়। অনেক সময় পরিবারের কাছেও এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলা সম্ভব হয় না। কিন্তু নিজের স্বাস্থগত বিষয়ে এবং বিশেষভাবে নারী স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে গাইনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে কখনোই এ বিষয়ে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা যাবে না। প্রতিবারের গর্ভপাতের সাথে একজন নারীর স্বাস্থ্য, গর্ভধারণ, মেয়েলী সমস্যাসহ বহু কিছু সংযুক্ত থাকে। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে ইউটেরাসের টিস্যুতে ক্ষতও তৈরি হতে পারে। স্পর্শকাতর হলেও এ বিষয়ে ডাক্তারের কাছে স্বচ্ছ থাকতে হবে।

মানসিক অবস্থা

মানসিক অবস্থা

নিজের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে পরিচিত ও অপরিচিত কাউকে ‘ভালো আছি’ বললে সমস্যা নেই, কিন্তু ডাক্তারের কাছে এ বিষয়ে সঠিক কথাটি বলাই যুক্তিযুক্ত হবে। আপনি কি ক্লান্ত বোধ করছেন মানসিকভাবে, বিষণ্ণতা কিংবা হতাশা জেঁকে বসছে? মনোযোগ কমে গেছে আগের থেকে? এ বিষয়গুলো ডাক্তারের কাছে খোলাখুলি প্রকাশ করুন। শরীরের সাথে মনের সংযোগ থাকার ফলে মানসিক অবস্থা শরীরের উপরেও প্রভাব ফেলে। এ বিষয়ে জানা থাকলে ডাক্তারের জন্য চিকিৎসা দেওয়া সহজ হবে।

রোদের আলোতে সময় কাটানো

অনেকেই হয়তো ভাববেন এই তথ্যটির কোন গুরুত্ব নেই। কিন্তু এর উপরেও নির্ভর করে বহু শারীরিক সমস্যার লক্ষণ। সেক্ষেত্রে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য সম্পর্কে জেনে ডাক্তারের কাছেও নির্ভুলভাবে তুলে ধরলে রোগ শনাক্তকরণের বিষয়টি সহজ হবে।