সৌন্দর্য হোক প্রাকৃতিক!

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সত্যি বলতে, নিজের প্রতি আপনি কতটা যত্নবান ও সচেতন সেটাই ফুটে উঠবে আপনার চেহারায়। খাদ্যাভ্যাসের বিষয়ে সচেতন হলে ও সুঅভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে তবেই নিজের আসল সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হবে ভেতর থেকে। সুস্থ ও সুন্দর ত্বক, ডার্ক সার্কেলবিহীন চোখের কোল, প্রাণবন্ত হাসি- ব্যস এতেই চমৎকারভাবে ফুটে ওঠে নিজের আসল সৌন্দর্য।

ত্বকের জন্যে খাবার খাওয়া

শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যেমন খাদ্যাভ্যাসের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন, একইভাবে ত্বককে সুন্দর ও সুস্থ রাখার জন্যেও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ভীষণ জরুরি। ‘আপনি তাই, যা খাবেন’ অর্থাৎ আপনার চেহারায় সেটাই প্রকাশিত হবে যা আপনি খাবেন। বাইরের অস্বাস্থ্যকর ও তেলযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া হলে তার প্রভাব চেহারায় দেখা দেয় খুব অল্প সময়ের মাঝেই। চেষ্টা করতে হবে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে সবজি ও ফল রাখতে। পাশপাশি তৈলাক্ত মাছ খেতে হবে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়ার জন্য। যা ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ও তৈলাক্ততাকে ধরে রাখতে কাজ করবে।

বিজ্ঞাপন

পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান

পানি পানের গুরুত্ব বলে শেষ করা সম্ভব নয়। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সুস্থতায় এবং শারীরবৃত্তীয় কার্যকারিতার জন্য পানি অপরিহার্য এক উপাদান। এর সাথে ত্বককে ভালো ও প্রাণবন্ত রাখার জন্যে পানি পান আবশ্যক। পানি পানে ঘাটতি হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। যা থেকে বলিরেখা ও ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করা অবধারিত।

শান্তির ঘুম

ঘুম

যে রাতে ঘুম কম হয় বা ভালো হয় না, সেদিন সারাদিন চেহারা মলিন হয়ে থাকে। ঘুম সরাসরিভাবে চেহারার উপর প্রভাব ফেলে দেয়। কারণ ঘুমের সময়ে শরীর তার প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পায়, শারীরিক ও মানসিক চাপ এ সময়ে একেবারেই থাকে না। প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টার শান্তির ঘুমের অভ্যাস গড়ে উঠলে ডার্ক সার্কেলও থাকবে না।

বিজ্ঞাপন

নির্দিষ্ট একটি স্কিন কেয়ার মেনে চলা

নিজের ত্বকের ধরণ বুঝে ত্বকের যত্নের জন্য নির্দিষ্ট একটি স্কিন কেয়ার রুটিন নির্ধারণ করতে হবে। ত্বক পরিষ্কার করা, ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করা, রাত্রিকালীন ত্বকের যত্ন- সবকিছুকেই একটি নিয়মের মধ্যে রাখতে হবে। হুটহাট যেকোন উপাদান বা নিয়ম ত্বকের উপর প্রয়োগের ফলে অনেক সময় ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়।

এক্সফলিয়েশন বাদ না দেওয়া

ত্বকের যত্নের কথা যেখানে বলা হচ্ছে, সেখানে এক্সগলিয়েশনকে কোনভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। বিশেষত যাদের নিয়মিত বাইরে ঘোরাঘুরি করা হয়, এক্সফলিয়েশন তাদের জন্য আবশ্যক। ত্বকের মরা চামড়া ও ধুলাবালিকে পুরোপুরিভাবে দূর করার জন্য এক্সফলিয়েশন আবশ্যক। ফেসওয়াস বা ফেস মাস্ক ব্যবহারেও পুরোপুরিভাবে মুখের ত্বককে পরিষ্কার করতে পারে না। প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি এক্সফলিয়েটর ব্যবহার হবে সবচেয়ে উপকারী।

ভোলা যাবে না সানস্ক্রিনকে

অনেকেই ভেবে নেন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ও না করা একটি অপশন। আদতে সেটা নয় মোটেও। সানস্ক্রিন ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। রোদের ক্ষতিকর ইউভিএ, ইউভিবি ও ইউভিসি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সানস্ক্রিনের কোন বিকল্প নেই। রোদের প্রখর আলো ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশন তৈরি করে। যা থেকে মেছতা ও বলীরেখা দেখা দেয়। এ কারণে বাইরে বেরুনোর আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক।

 আরও পড়ুন: সানস্ক্রিনের সাত-পাঁচ তথ্য