শীতে কীভাবে বাড়বে মেটাবলিজম?
শীতকালে আবহাওয়ার প্রভাবে কর্মক্ষম থাকার মাত্রা কমে যায়। ফলে গরমকালের চাইতে শীতকালে মেটাবলিজমে কমে যায় তুলনামূলকভাবে অনেকটা। এ কারণে ওজনও বেড়ে যায় হুট করে। মেটাবলিজম যত বেশি হবে, ওজন তত নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শীতকালীন সময়েও মেটাবলিজমকে কীভাবে বেশি রাখা যাবে সেটাই জানানো হলো আটটি ভিন্ন পয়েন্টের মাধ্যমে।
পানি পান করুন
শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠেই মেটাবলিজমকে বাড়াতে চান? তাহলে দ্রুত বড় এক গ্লাস পরিমাণ পানি পান করে ফেলুন। ২০১৬ সালের এক গবেষণার তথ্য মতে, ঘুমাতে যাওয়ার আগে ও ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পরিমাণ পানি পানে মেটাবলিজম দ্রুত কাজ করা শুরু করে এবং বৃদ্ধি পায়। এমনকি ‘জার্নাল অব হিউম্যান নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়াবেটিস’ এমনই সুরে বলছে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস পানি পানের কথা।
সকালের নাশতা হোক লো-কার্ব
সকালে নাশতা না খেলেও মেটাবলিজম ঠিক থাকে, এটা একেবারেই ভ্রান্ত ধারণা। মেটাবলিজমের মাত্রা ঠিক রাখার জন্য সকালের নাশতা খুবই জরুরি। তবে মেটাবলিজম বাড়ানোর জন্য সকালের নাশতা হয়ে হবে লো-কার্ব, নো-সুগার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। এতে করে বারবার ক্ষুধাভাব দেখা দেবে না এবং মেটাবলিজমও ঠিক থাকবে।
পান করুন গ্রিন টি
শীতকালে উষ্ণ পানীয় পান করতে সবসময়ই ভালো লাগে। সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে পান করুন উপকারী ও স্বাস্থ্যকর গ্রিন টি। পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি মেটাবলিজম বাড়াতে চমৎকার কাজ করবে।
স্ন্যাক্স হিসেবে রাখুন স্বাস্থ্যকর খাবার
দিনভর যদি ক্যালোরি সম্পন্ন ও ভারি খাবার খেতেই থাকেন তবে মেটাবলিজমের হার কমে যাবে। তাই বলে না খেয়েও থাকা যাবে না। সেক্ষেত্রে স্ন্যাক্স হিসেবে খেতে হবে হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ৫০-২০০ ক্যালোরির ভেতর খাবার খাওয়া যায়। এর মাঝে বাদাম হবে সবচেয়ে ভালো খাদ্য উপাদান।
যেকোন খাবার গ্রহণের আগে থাকুক আপেল
প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে যত বেশি আপেল রাখা যাবে, সুস্থতা ও মেটাবলিজম ততই বৃদ্ধি পাবে। কীভাবে আপেল বেশি খাওয়া যাবে? প্রতিবেলায় যেকোন খাবার খাওয়ার আগে একটি মাঝারি আকৃতির আপেল খেয়ে নিন। এতে করে খাবার গ্রহণের মাত্রা ও ক্যালোরি ইনটেকের মাত্রা কমবে। যা মেটাবলিজমকে বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ
মেটাবলিজমে যে পুষ্টিগুণটি সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে সেটা হলো ম্যাগনেসিয়াম। শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা কমে গেলে, লক্ষণীয় মাত্রায় কমে যায় মেটাবলিজমের হার। পুরো শীতকাল জুড়ে মেটাবলিজমকে সঠিক মাত্রায় রাখার জন্য নিয়মিত ম্যাগনেসিয়ামপূর্ণ খাবার তথা- কলা, সবুজ শাক, বিভিন্ন সবজির বীজ, বাদাম খেতে হবে।
কোমল পানীয়তে না
নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া হলেও উৎসবে বা কোন বড় আয়োজনে ভারি খাবার বা ফাস্ট ফুড খাওয়া হয়েই যায়। তেমন খাবার খাওয়া হলে, স্বাভাবিকভাবেই তার সাথে কোমল পানীয়ও পান করা হয়। এই অভ্যাসটি বাদ দিতে হবে। ভারি খাবার খাওয়া হলে কোমল পানীয়ের ব্যাপারে ছাড় দেওয়া যাবে না। গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, প্রোটিন ও তেলযুক্ত খাবারের সাথে উচ্চমাত্রার চিনিযুক্ত কোমল পানীয় খাওয়া হলে, স্বাভাবিকের চাইতে বেশি ফ্যাট জমা হয় শরীরে। সাথে মেটাবলিজম কমে যায় আশঙ্কাজনক হারে।
রাতে খাবারের আগে হাঁটাহাঁটি
রাতে খাবার খাওয়ার আগে হাতে ১৫ মিনিট সময় নিয়ে এদিকসেদিক হাঁটাহাঁটি করুন। এতে করে কিছুটা ক্যালোরি বার্ণ হবে এবং মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি পাবে।