নতুন বছর শুরু হোক সাধারণ ‘রেজ্যুলিউশন’ নিয়ে



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
নতুন বছরের শুরুটা হোক নতুন পরিকল্পনা নিয়ে

নতুন বছরের শুরুটা হোক নতুন পরিকল্পনা নিয়ে

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন বছর মানেই নতুন রেজ্যুলিউশন, নতুনভাবে নতুন বছরকে সাজানোর পরিকল্পনা। কী করা হবে নতুন বছরে তার প্রস্তুতি নেওয়া। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নেওয়া হয় আবেগের বশবর্তী হয়ে। যার ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রেজ্যুলিউশ অপূর্ণ রয়ে যায়।

এই সমস্যা থেকে বের হয়ে কীভাবে নতুন বছরটি বিগত বছরের চেয়ে ভালোভাবে কাটানো যাবে সেটার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। সহজভাবে বলতে- আপনি ঠিক করলেন যে নতুন বছরে আপনি নিজেকে সুস্থ রাখবেন। নিজেকে সুস্থ রাখার বিষয়টি অনেক বড় পরিসরে আসে। বিধায় এর পেছনে যে কাজগুলো করা প্রয়োজন, তা ঠিকভাবে করা হয়ে ওঠে না।

রেজ্যুলিউশন ঠিক করার সময় এইভাবে না বলে ছোট পরিসরে নিয়ে আসতে হবে। যেমন- এ বছরে বেশি ফল ও সবজি গ্রহণ করবো। নিয়মিত দাঁতের চেকআপ করাবো। অল্প দূরত্বে হেঁটে যাতায়াত করবো। একদম সাধারণ ও ছোট এই রেজ্যুলিউশনগুলোই বড় ও ইতিবাচক ফল এনে দেবে।

এমন কয়েকটি রেজ্যুলিউশন এই ফিচারে উল্লেখ করা হলো সবার সুবিধার্থে। নিজেকে এই সকল রেজ্যুলিউশনের সাথে মানিয়ে নিতে পারলে শুরু থেকেই বছরটা কাটবে সুন্দরভাবে।

১. এতো বছরের খাদ্যাভ্যাসকে একদিনের মাঝেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। কিন্তু খাদ্যাভ্যাসের উপরেই সুস্থ থাকা অনেকখানি নির্ভরশীল। তাই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার মাঝে প্রথমেই রাখুন সবজি ও ফল নিয়মিত খাওয়া এবং বাইরের খাবার যথাসম্ভব কম খাওয়া। যখনই বাজার করবেন রংবেরংয়ের সবজি ও ফল কেনার চেষ্টা করবেন। এতে করে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে আগ্রহ জন্মাবে।

২. ঢাকার শহরের দূষিত বাতাসে শ্বাস নেওয়া দায়। সুস্থ থাকার জন্য নিয়ম মেনে চললেও নিজেকে সুস্থ রাখা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। নতুন বছরে তাই নিজেকে উপহার দিন গাছ। ঘরের জন্য ইনডোর প্ল্যান্ট, সহজে বেড়ে উঠবে এমন গাছ বারান্দার জন্য এবং ছাদের জন্য নিতে পারেন মাঝারি আকৃতির গাছ। যদি গাছের পরিচর্যার জন্য পর্যাপ্ত সময়ের অভাব থাকে তবে এমন গাছ নির্বাচন করুন, যার জন্য খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হবে না।

new

৩. আপনি যেখানে থাকেন, অর্থাৎ আপনার বাড়ি ও ঘর আপনার উপর অনেকখানি প্রভাব তৈরি করে। এ কারণে নতুন বছরে নিজের সাথে নিজের ঘরকেও প্রাধান্য দিতে হবে। ঘর যতটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে, নিজেকে ততই সুস্থ রাখা সম্ভব হবে এবং মন ভালো থাকবে। ঘরকে শুধু পরিষ্কার রাখাই যথেষ্ট নয়। সাথে ঘরে রঙিন ও উজ্জ্বল বর্ণের পর্দা ও কভার রাখতে হবে। সাথে সেন্টেড ক্যান্ডেল ঘরের পরিবেশকে বদলে দিতে পারে সম্পূর্ণভাবে।

৪. কাজ তো থাকবেই, কিন্তু তার মাঝ থেকে সময় বের করতে নিজের জন্য। বিরতি নিতে হবে, অবকাশ যাপন করতে হবে। তাই আগত বছরে ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন। খুব দূরে হতে হবে তা নয়। নিজের সাধ্যের মধ্যে কোন কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া সম্ভব,ছুটির দিন দেখে সেটা বের করে ফেলুন। যত বেশি ঘোরা সম্ভব হবে, মন প্রফুল্ল থাকবে এবং মনোযোগের সাথে নিজের কাজ করা সম্ভব হবে।

৫. বই পড়ার চল উঠেই গেছে এখন। প্রযুক্তি কেড়ে নিয়েছে বইয়ের প্রতি আকর্ষণ। সামনের বছরটিতে তাই বইয়ের দিকে ঝোঁকার চেষ্টা করুন। বই হাতে নিয়ে পড়ার অভ্যাসটি যদি অনেকদিন না থাকে তবে অডিওবুক শোনার মাধ্যমে এই অভ্যাসে ফিরে আসা যেতে পারে। শরীরচর্চা, রান্না কিংবা ঘর গোছানোর সময় অডিওবুক শোনার অভ্যাসটি বই পড়াকে নতুন রূপ দিবে।

new

৬. এবারের পয়েন্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ডিক্লাটার। আপনার আশেপাশের সব অব্যবহৃত ও অপ্রয়োজনীয় জিনিস ডিক্লাটার করার পরিকল্পনা করুন সামনের বছর। যে জিনিসগুলো বছরের পর বছর ধরে ঘরে পরে আছে, সেগুলোকে সরিয়ে ফেললে শুধু যে ঘরে পর্যাপ্ত জায়গা তৈরি হবে তাই নয়। সাথে নিজেকেও ফুরফুরে মনে হবে। এছাড়া ঘরে যত বেশি জিনিস থাকবে, এতে ধুলাময়লা জমবে এবং অসুস্থতাও বেশি দেখা দেবে।

৭. রুটিন মাফিক জীবনে ব্যতিক্রম ও ভিন্ন কিছু করা হয়ে ওঠে কি কখনো! নতুন বছরে এই বিষয়টি মাথায় রাখুন। একেবারেই নতুন কোন কাজ করুন, শখ গড়ে তুলুন। সেটা হতে পারে ছবি আঁকা, ছবি তোলা, বই পড়া কিংবা নতুন স্থানে ভ্রমণ। মূল কথা, নিজের পছন্দ অনুযায়ী নতুন কোন কাজকে স্বাগত জানান নতুন বছরে।

   

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;

প্রচণ্ড রোদে চোখের যত্নে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। এই গরমে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনেক সময় ধরে রোদে থাকার পর অনেকের চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। কড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।

চলুন জেনে নেই গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১) কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরবেন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের আরও বেড়ে যায়।

রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। 

২) সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও সানগ্লাস ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ এবং ইউভিবি দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সানগ্লাস ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে সানগ্লাস পরতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে সুরক্ষা পাবে।

৪) গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা য়ায়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে অয়ানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

প্রচণ্ড উত্তাপে পুড়ছে দেশ, জেনে নিন হিট স্ট্রোকের উপসর্গ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমের কারণে স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। গতবছরের শেষভাগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিল এল নিনোর কারণে চলতি বছর তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়াবে। ইতিমধ্যে গরমে অস্থির সকলে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে সামনে গরম আরও বাড়বে। মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি তাপমাত্রা ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই গরমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানান মানুষ হিট স্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন। অনেকে অতিরিক্ত গরমে মারাও যাচ্ছেন। এত গরম কোনভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। তাই বাইরে গেলে নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করা উচিত। তবে যাদের হিট স্ট্রোক হচ্ছে তারা হয়তো বুঝতেও পারছেন না। হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অবশ্যই হিট স্ট্রোকের উপসর্গগুলো লক্ষ্য করতে হবে। জেনে নেই হিট স্ট্রোকের উপসর্গ-  

১। দেহতাপ

দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে তাপমাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত দেহতাপ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা এরচেয়ে বেশি তাপমাত্রাই হিট স্ট্রোকের পূর্বাভাস। 

২। ব্যবহার

হিট স্ট্রোকের আক্রমণের আগে মানুষের আচরণে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন- এলোমেলো আচরণ, শরীরে অস্বস্তি, চোখে ঝাপ্সা দেখা, বিরক্তবোধ করা, খিচুনি হওয়া এমনকি কোমায় চলে যাওয়ার মতো অনুভূতি।  

৩। ঘাম

গরম আবহাওয়ার কারণে ত্বক গরম এবং শুষ্ক হয়ে যায়। সেই কারণে প্রচণ্ড ঘাম হতে থাকে।

৪। বমি

হিট স্ট্রোকের একটি উপসর্গ হিসেবে পেটের অস্বস্তিকেও চিহ্নিত করা হয়। অনেকে গরমে অসুস্থ বোধ করে বমি করেন। বা বমি না হলেও অনেক সময় শুধু বমি বমি ভাব হয়।

৫। ত্বক

তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বক লালচে হয়ে যেতে পারে।

৬। শ্বাস

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে শ্বাস গ্রহণ এবং ত্যাগ করা অস্বাভাবিক হয়ে যায়। সাধারণত শ্বাস দ্রুত এবং অগভীর হতে দেখা যায়।

৭। হৃদক্রিয়া

শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সাথেই পালস উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কারণ তাপের কারণে যখন শরীরে অস্বাভাবিকতা শুরু হয় তখন শরীর ঠান্ডা করার জন্য হৃদয়ের উপর চাপ বাড়ে।

৮। মাথা ধরা

হিট স্ট্রোক হওয়ার সময় মাথা ঝিমঝিম করা সাধারণ একটি উপসর্গ।

তথ্যসূত্রঃ মায়ো ক্লিনিক

;

সিডনীর উইলি পার্কে উৎসব মুখর বৈশাখী মেলা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখ মানেই নতুন সূচনা। বছরের প্রথম মাসে নতুন করে চারদিক আন্দোলিত হয় নতুন আনন্দে। এই আনন্দে মেতে ওঠে বাঙালিরা। আমাদের দেশে বেশ ধুমধাম করে পহেলা বৈশাখে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। সকালে পান্তা-ইলিশ খাওয়া, এরপর মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠা, পাশাপাশি বিখ্যাত রমনার বৈশাখীমেলা। দেশের বিভিন্ন স্থানেই বৈশাখে কয়েকদিন যাবত মেলা চলে।

তবে দেশের বাইরেও বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন অনেক বাঙালি। তাদের ভেতরের বাঙালি সত্ত্বাও নতুন বাংলা বছরে জেগে ওঠে। প্রায় সময় দেখা যায় প্রবাসে বসবাসকারীরা বিভিন্ন উৎসব নিজেদের উদ্যোগে উদযাপনের চেষ্টা করে। সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন যেকোনো উৎসব আয়োজন করার।


রোববার (২১ এপ্রিল) অস্ট্রেলিয়ায় সিডনিতে বসবাসকারী বাঙালিরা আয়োজন করেছিলেন বৈশাখী মেলার। নিউ সাউথ ওয়েলসের উইলি পার্কে আয়োজন করা হয়েছে এই মেলার। সেখানে স্থানীয় বাঙালিরা ভিড় জমান এবং বৈশাখ বিলাসে মেতে ওঠেন। লাল-সাদা পোশাকে সকলে একত্রিত হন পরিবার পরিজন এবং বন্ধুদের সাথে। ছোট ছোট শিশুরা বাংলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নাচে-গানে সেজে উঠেছিল সেই অনুষ্ঠান। ঢোল, তবলা, করতালের ছন্দে বাংলার আভায় মেতে ওঠে এক টুকরো সিডনি।

মেলার মাঠে ছোট ছোট তাবুতে স্টল বসেছে। সেখানে সাজানো হয়েছে বাঙালির ঐতিহ্যময় নানান জিনিস। তাঁতের শাড়ি, নানান গহনা, খেলনা, বাঙালি খাবার , পোশাকসহ নাগরদোলা এবং বাচ্চাদের খেলার ব্যবস্থা। খাবারের মধ্যে ছিল সিঙ্গারা, সমুচা, ফুচকা, চটপটি, হালিম সহ নানান পদ।


শুধু বিদেশের মাটিতে বাঙালীর মেলার আয়োজন হয়েছে তা নয়! আমাদের দেশেও বেড়াতে আসা ভিনদেশীদেরা ঐতিহ্যে নিজেদের খাপ খায়িয়ে নেন। প্রায়ই দেখা যায়, অনেক বিদেশীরাও বৈশাখী আনন্দে মেতে ওঠে। গালে শুভ নববর্ষ লিখে মেলায় যায়। মানুষের সাথে মানুষের যে আত্মার বন্ধন; পোশাক, জীবনধারা, ভাষা- কিছুই যে বাঁধা নয় তারই প্রমাণ মেলে। আমরা যেমন আবরণ ভুলে সকলকে জরিয়ে আপন করে নেই, তেমনি তারাও আমাদের সংস্কৃতির ছাঁচে তাদের আবদ্ধ করে নেয়। এমন করে দেশ থেকে বিদেশের মাটিতে বাঙালির সংস্কৃতি ছড়িয়ে যাক! যুগ যুগ বেঁচে থাকুক বাঙালি এবং বাংলা সংস্কৃতি…

;