এখনই ফেলে দিন এগুলো!
ঘরে জিনিসপত্র রাখার জায়গা নেই, ঘর অগোছালো হয়ে থাকে বলে অভিযোগ করা হলেও তার পেছনের কারণ কখনো খুঁজে দেখা হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমনটা হওয়ার কারণ হল, অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে ঘর ভরে থাকা। অব্যবহৃত, পুরনো ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র খুঁজে ফেলে দিলেই ঘরে অনেকখানি জায়গা হয়ে যাবে এবং ঘর গোছানো মনে হবে। এমন কিছু জিনিসের তালিকা এখনে তুলে আনা হল।
ফাস্ট ফুড এক্সট্রা
যখনই বাইরের খাবার অর্ডার করে আনা হয়, খাবারের সাথে প্লাস্টিকের কাঁটাচামচ, চামচ, ছুরি ও স্ট্র পাওয়া যায়। পরে ব্যবহার করা হবে মনে করে এই জিনিসগুলো গুছিয়ে রেখে দেওয়া হয় বেশিরভাগ সময়। এতে একটা সময় পর পরিমাণে অনেক বেশি জমে যায় এবং স্বাভাবিকভাবেই এই জিনিসগুলো কখনোই ব্যবহার করা হয় না। ঘরের যেখানে এই জিনিসগুলো আছে, খুঁজে বের করে সব ফেলে দিন একসাথে।
পুরনো কাগজপত্র
বিভিন্ন আসবাবের ড্রয়ার খুঁজলে একগাদা অপ্রয়োজনীয় কাগজ পাওয়া যাবে। বিভিন্ন ধরনের রিসিট, আউটডেটেড তথ্য, ওয়ারেন্টি কার্ডসহ অন্যান্য কাগজপত্র। এই জিনিসিগুলো খুব সহজেই অতিরিক্ত হয়ে যায়। সময় নিয়ে এখান থেকে প্রয়োজনীয় কাগজ আলাদা করে বাকিগুলো সরিয়ে ফেলুন।
রেজর ও টুথব্রাশ
বাথরুমে খোঁজ চালানো হলে অব্যবহৃত ও পুরনো বহু রেজর ও টুথব্রাশের খোঁজ পাওয়া যাবে। যা ব্যবহার করা না হলেও অকারণে যত্ন সহকারে রেখে দেওয়া হয়েছে। এই জিনিসগুলোতে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়, যা আশেপাশের জিনিসকেও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত করতে পারে। যতদ্রুত সম্ভব এই জিনিসগুলো ফেলে দিতে হবে।
পানির বোতল
রান্নাঘরসহ স্টোর রুমে খোঁজ করা হলে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন আকৃতির পানির বোতল পাওয়া যাবে ১০-২০টি। কোমল পানীয়ের বোতল তো থাকেই, সাথে সাথে পানি পানের বোতলও। কিন্তু প্লাস্টিক হওয়ায় এই বোতলগুলোর মেয়াদ খুব বেশিদিন থাকে না এবং নির্দিষ্ট সময় এই বোতলগুলো ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই প্রয়োজনীয় ও নতুন ৩-৪টি বোতল বাদে সবগুলোকেই বিদায় জানাতে হবে।
প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ
বিছানার তোশকের নিচে, সোফার নিচে, পুরনো ব্যাগের ভেতরে, ড্রয়ারে- কোথায় নেই প্লাস্টিকের ব্যাগ। কাজের সময় প্রয়োজন হবে বলে প্লাস্টিকের ব্যাগ যত্ন করে রেখে দিতে দিতে স্তুপ হয়ে যায়, কিন্তু ব্যবহার করা হয় না। অব্যবহৃত এই ব্যাগগুলো গুছিয়ে ফেলে দিন।
লোফাহ
গোসলের অন্যতম এই অনুষঙ্গটিরও নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে। সেটা পার হয়ে গেলে এই জিনিসটিও ফেলে দিতে হবে। প্রতি ছয় মাস পরপর অবশ্যই মনে করে লোফাহ পরিবর্তন করে নিন।
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ
ভালোভাবে খুঁজলে এক একটি বাসা থেকে এক মাস চলার মতো মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খুঁজে পাওয়া যাবে। এই কথাটি খুবই সত্য। নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করা হয় বলেই ঘরে নানা ধরনের ওষুধ রয়ে যায়। এগুলো খুঁজে বের করে অবশ্যই দ্রুত ফেলে দিতে হবে।
পুরনো জামাকাপড়
পাঁচ বছর আগের যে জামাটা এখন আর পরা হয় না, সাইজেও ঠিক নেই সেটাও তুলে রাখা হয় ড্রয়ারে, আলমারিতে। এবারে এই জামাকাপড়গুলো গুছিয়ে ফেলুন। যেগুলো এখনও ভালো রয়েছে গরীবদের দান করে দিন। যেগুলো অনেক বেশি পুরনো হয়ে গেছে, রঙ উঠে গেছে, ছিঁড়ে গেছে সেগুলো অন্য কোন কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা করুন অথবা ফেলে দিন। এই জামাকাপড়গুলো ঘরের অনেক বেশি জায়গা দখল করে থাকে।